পিছিয়ে পড়েছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি

ফিচার ডেস্ক

ছবি: আইএমডিবি

অনেক ধরনের ভাষা ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির মিশ্রণ কেবল ভারতেই দেখা যায়। ভারতের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে গত দশকেও বলিউডের অবস্থান শক্ত ছিল বলা যায়। তবে গত কয়েক বছর বলিউড ভারতের সিনেমাপ্রেমী দর্শকের সঙ্গে কেন যেন তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। এ সময় বলিউডকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিগুলো। তেলেগু, তামিল সিনেমাগুলো এখন কেবল ভারত নয়, ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব দরবারেও দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে। পৌঁছে গেছে অস্কারেও। তবে সে তুলনায় বলিউড অনেক পিছিয়ে। বলিউডে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘ময়দান’, ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’, ‘সারফিরা’, অজয় দেবগনের ‘ওর মে কাহা দাম থা’ ইত্যাদি বেশ কয়েকটি সিনেমা। যেখানে নাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউডের বেশ জনপ্রিয় সব তারকা। তার পরও কেন সিনেমাগুলো বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে! 

এ প্রশ্নে জর্জরিত এখন গোটা বলিউড। বিশাল বাজেট, সুপারস্টার সব তারকা, তার পরও সে অর্থে দর্শক পাচ্ছে না সিনেমাগুলো। এ বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করেছেন বলিউডের সিনেমা বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এদের মালিকদের মতে, সিনেমায় বিনোদনের অভাব ও দর্শকের সঙ্গে সিনেমার গল্পের যোগসূত্র তৈরি না হওয়াকে তারা অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন। এছাড়া একজন বলেন, ‘কেন দর্শক পর্দায় খুব সিরিয়াস ও বিষণ্নতাপূর্ণ বিষয়গুলো দেখতে চাইবে। বিনোদনের অভাবেই দর্শক সিনেমা হল থেকে বিছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’ 

এছাড়া সেখানে ভারতের দর্শকপ্রিয় একজন সিনেমা পরিচালক মনমোহন দেসাইয়ের কথা স্মরণ করে একজন বলেন, ‘একবার সিনেমা নিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিল। আমাকে জানিয়েছিলেন, তিনি সিনেমা তৈরি করেন দর্শকের জন্য। পুরস্কারের আশায় তিনি সিনেমা তৈরি করেন না। তবে সিনেমা বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলো যেন লাভবান হয়, এ বিষয়েও তিনি লক্ষ রাখতে চান।’ 

দর্শক সিনেমা দেখবে, হলে গিয়েই দেখবে এমন প্রত্যাশাই সিনেমা নির্মাতাদের থাকে। তবে গল্প অথবা পছন্দসই তারকার অভাবে যে সিনেমাগুলো কম দর্শক পায়, তার ক্ষতির সম্মুখীন নির্মাতা, বিপণন প্রতিষ্ঠান ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকেই বহন করতে হয়। 

আবার যে সিনেমাগুলো বক্স অফিসে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারে, সে একই ধারার সিনেমা তৈরিতে লেগে যায় পুরো বলিউড। বলা যায়, এ কারণেও বলিউড সিনেমা থেকে দর্শক ছুটে যাচ্ছে। সত্যিকার বিনোদনই একমাত্র মাধ্যম, যে মাধ্যমে সিনেমা হতে পারে সুপারহিট। বলিউডকে আগের অবস্থানে পৌঁছতে সাহায্য করতে পারে এটি। এর বাইরে সিনেমা হতে হবে এমন, যেন একই সিনেমা শহুরে দর্শক গ্রহণ করতে পারে আবার দেশের ছোট কোনো গ্রামেও গ্রহণযোগ্যতা পায়। ২০২৩ সালের বলিউড সুপারহিট সিনেমা ‘জাওয়ান’ ও ‘পাঠান’ও একই কারণে এত বেশি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। সে অর্থে এ বছর ছিল বলিউডের জন্য খুবই সংকটাপন্ন সময়। তবে সামনেই আসছে ভারতের বিজয় দিবস এবং এ বিশেষ দিনকে সামনে রেখে মুক্তি পেতে চলেছে বেশকিছু বলিউড সিনেমা। তাই এখনো আশা করা যায়, হয়তোবা এ বছর ঘুরে দাঁড়াতেও পারে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন