বিশ্বে চালের শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ভারত। দেশটিতে সম্প্রতি চালের মজুদ আগের তুলনায় বেড়েছে। এ কারণে দেশটির সরকার নন-বাসমতী চালের রফতানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা বিবেচনা করছে। বুধবার দেশটির খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়া সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স।
সঞ্জীব চোপড়া বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে ভারত সরকার চিনি ও ইথানলের দাম বাড়ানোর কথাও বিবেচনা করছে।’
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকার গত বছর নন-বাসমতী চালের রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পরবর্তী সময়ে চলতি বছরও তা অব্যাহত রাখে। ভারত গত সপ্তাহে কৃষকদের কথা বিবেচনা করে ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে রফতানি বাড়াতে বাসমতী চাল রফতানিতে ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) বাতিল করে দেয়।
সরকারি সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশটির কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (এপিইডিএ) গত শুক্রবার এমইপি ছাড়াই বাসমতী চালের রফতানি নিবন্ধন করার নির্দেশ পাঠিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরো জানায়, এপিইডিএ বাসমতী চালের রফতানি চুক্তিগুলো ‘ যেকোনো অবাস্তব মূল্য’ নজরদারি করবে।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর চালের ন্যূনতম রফতানি মূল্য টনপ্রতি ৯৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সরকার প্রথমে এমইপি টনপ্রতি ১ হাজার ২৫০ ডলার নির্ধারণ করেছিল। পরে এটি কমিয়ে দেয়া হয়।