চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে পারে ভারত

বণিক বার্তা ডেস্ক

চিনির স্থানীয় সরবরাহ ঠিক রাখতে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াবে ভারত ছবি: রয়টার্স

ভারত টানা দ্বিতীয় বছরের মতো চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। দেশটির স্থানীয় এক সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিজনেস রেকর্ডার। 

সূত্র জানায়, ভারতে আখের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই চিনির স্থানীয় সরবরাহ ও ইথানল উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে দেশটির সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। 

আন্তর্জাতিক চিনির বাজারে ভারতের অনুপস্থিতির কারণে বিশ্বব্যাপী চিনির সরবরাহ আরো কমে যাবে। এতে নিউইয়র্ক ও লন্ডনের বাজারগুলোয় বেড়ে যেতে পারে পণ্যটির দাম। 

সূত্র জানায়,"বর্তমান ফসলের পরিস্থিতিতে দেশটি থেকে চিনি রফতানির কোনো সুযোগ নেই। পণ্যটির স্থানীয় চাহিদা পূরণ করার পর আমাদের পরবর্তী অগ্রাধিকার হলো ইথানল উৎপাদনে চিনির ব্যবহার। আর এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য আমাদের আরো আখের প্রয়োজন। 

প্রসঙ্গত, কার্বন নিঃসরণ রোধ করার লক্ষ্যে ভারত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে পেট্রলে ইথানলের অংশ ২০ শতাংশে উন্নীতের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে এর পরিমাণ ১৩-১৪ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী, জৈব জ্বালানির সরবরাহ বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল কোম্পানিগুলো চিনির মিল থেকে যে দামে ইথানল কিনবে তার দাম বাড়ানোরও পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি। নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া নতুন বিপণন মৌসুমের জন্য ইথানল সংগ্রহের মূল্য ৫ শতাংশেরও বেশি বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে সরকার। 

এদিকে চিনির শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল থেকেও সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

ভারত গত মৌসুমে মিলগুলোকে মাত্র ৬১ লাখ টন চিনি রফতানির অনুমতি দিয়েছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের মোট রফতানির তুলনায় প্রায় অর্ধেক।

সূত্র আরো জানায়, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে ২০২৪-২৫ মৌসুমে দেশটিতে চিনির উৎপাদন ৩ কোটি ২০ লাখ টনে নেমে যেতে পারে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন