বণিক বার্তা ইলাস্ট্রেশন। ইকবালুর রহিম ও সাইফুজ্জামান শিখরসহ সাবেক
চার সংসদ সদস্যের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৮ আগস্ট) এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বণিক বার্তাকে
তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
বিশেষ তদন্ত শাখা থেকে এ অনুসন্ধান চালানো
হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা-১
আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়াদ্দার
(ছেলুন)। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি ভাবে বাড়ি তৈরিসহ বিভিন্ন
জায়গায় জমি, প্রায় ৮০-১০০টি বাসসহ ১৫-২০টি ট্রাক, তার স্ত্রী ও নিজের নামে সঞ্চয়পত্র,
একটি প্রাডো গাড়িসহ দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য রয়েছে দুদকের কাছে।
দিনাজপুর ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য
ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনিভবে
নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় বাড়ি, ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, দুটি গাড়ি দিনাজপুরের বিভিন্ন
জায়গায় বিপুল পরিমাণ জমি, দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
এছাড়া মো. সাইফুজ্জামান শিখরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনিভাবে নিজ নামে মাগুরার ৩০ বিঘা জমিতে অটোব্রিকস ফিল্ডের ব্যবসা, ১৫০ বিঘা জমিতে মৎস্য খামার, ১০টি ট্রাক, শ্যালকের নামে ২টি এবং খালকুড়া নবাবের ছেলের নামে ২টি গাড়ি কেনা, মাগুরায় তার মালিকানাধীন বহুতল মার্কেট, মাগুরার বিভিন্ন জায়গায় অনেক জমি এবং নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে পেয়েছে দুদক।
এছাড়া সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী
মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইননিভাবে ফরিদপুরে ভবন
নির্মাণ, রাজউক (পূর্বাচল) সহ বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয়, নিজ নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক
পিএলসি, দি সিটি ব্যাংক পিএলসি এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসিতে সঞ্চয় পত্র, স্ত্রী মির্জা
নাহিদা হোসেনের নামে শান্তা দিগন্ত টাওয়ার-২ ও কয়েকটি ফ্ল্যাট দেশের বাইরে টাকা পাচার,
কয়েকটি দেশে একাধিক বাড়ি কেনার তথ্য পেয়েছে দুদদ।
গোয়েন্দা অনুসন্ধানে এসব তথ্য প্রাথমিকভাবে
পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্যে এগুলো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিশন।
