আলোকপাত

জনপ্রত্যাশা, ব্যাংক খাত এবং বাংলাদেশ ব্যাংক

সেলিম জাহান

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংক খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের মনোভাবের তিনটি মাত্রিকতা আছে—একটি ক্ষোভের, একটি অনাস্থার এবং অন্যটি আশঙ্কার। এ তিন মাত্রিকতা যে পরস্পরবিচ্ছিন্ন, তা নয়; তারা একে অন্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ তিনটি মাত্রিকতা মিলে এমন একটা নাজুকতা ও ভঙ্গুরতার জন্ম দিয়েছে, যেখানে দেশের সাধারণ মানুষের মনে ব্যাংক ব্যবস্থা বিষয়ে নানা প্রশ্নের উদয় হয়েছে।

ব্যাংক খাত সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কারণ সহজেই অনুমেয়। দিনের পর দিন আমাদের ব্যাংক ব্যবস্থায় নানা অনাচার চলেছে, ঘটেছে বিভিন্ন দুর্নীতি। কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠান জনগণের ব্যাংক ব্যবস্থাকে ব্যক্তিগত কোষাগার হিসেবে ব্যবহার করেছে। ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে ফেরত দেয়া হয়নি, খেলাপি ঋণের পরিমাণ ক্রমাগতভাবে বেড়ে গেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে। 

এসব ঘটনা সাধারণ মানুষের মনে একটা গভীর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে তিনটি কারণে—প্রথমত, একটি শ্রেণী ব্যাংক ব্যবস্থাকে যেভাবে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে, তাতে সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রতারিত মনে করেছে; দ্বিতীয়ত, ব্যাংক ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে বোঝা গেছে যে কিছু মানুষ অজস্র সম্পদ কুক্ষিগত করেছে এবং সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হয়েছে এবং তৃতীয়ত, বিপুল পরিমাণ দেশজ সম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে, যা সাধারণ মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে।

এ অবস্থায় দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের অনাস্থা খুবই স্বাভাবিক। আমজনতার মনে হয়েছে যে ব্যাংক ব্যবস্থায় কোনো নিয়মকানুন নেই, কোনো নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নেই, বিত্তশালী এবং ক্ষমতাবানরা এ ব্যবস্থাকে যেমন খুশি তেমনভাবে স্বীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে পারেন। নামে-বেনামে ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে নেয়া, রাজনৈতিক চাপে ব্যাংকের পরিচালকদের সরিয়ে দেয়া, ব্যাংক ব্যবস্থায় পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ফলে ব্যাংক খাতের ওপর জনগণের আস্থা আরো কমে গিয়েছিল। এ রকম অনাস্থার হাত ধরেই এসেছে জনমনে আশঙ্কা। বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা কতখানি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে? এই যে এতগুলো ব্যাংককে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হলো, এই যে একাধিক ব্যাংকের একীভূতকরণ করা হলো—এগুলোও তো ব্যাংক ব্যবস্থার নাজুকতাই প্রমাণ করে। কোনো কোনো ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার কথাও তো শোনা যাচ্ছে। তাহলে ব্যাংক ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষের গচ্ছিত আমানত কতখানি নিরাপদ? শঙ্কার কারণটা সেখানেই।

তবে স্বস্তির কথা হচ্ছে, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং ঘোষিত পদক্ষেপগুলো দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা বিষয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ প্রশমনে, আস্থার জায়গা তৈরি করতে এবং আশঙ্কা দূরীকরণে একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এ ব্যাপারে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

যেমন বাংলাদেশ ব্যাংকের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে ব্যাংকে জমা রাখা টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। দেশের ব্যাংকগুলোর ৯৫ শতাংশ হিসাব জমার অর্থ ২ লাখ টাকার নিচে। প্রতিটি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত বীমার আওতায় থাকে। দ্বিতীয়ত, দুর্বল হয়ে পড়া ১০টি ব্যাংককে নিবিড় তদারকিতে রাখা হচ্ছে। আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে। সফল না হলে এসব ব্যাংককে একীভূত করে দেয়া হবে। তৃতীয়ত, গত এক মাসে একাধিক ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন হয়েছে এবং এসব জায়গায় নতুন নেতৃত্ব এসেছে। চতুর্থত, সাম্প্রতিক সময়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক খাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। তার মধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকা ফেরত এসেছে। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমাও তুলে নেয়া হয়েছে। পঞ্চমত, ব্যাংক খাতে দুটো কর্মদল বা টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। তার একটি হবে ব্যাংক খাত নিয়ে—এটি প্রথমে দুর্বল ১০টি ব্যাংকের ওপর কাজ করবে, পরে এর কর্মপরিধি সব ব্যাংকের নিরীক্ষা ও মূল্যায়ন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। দ্বিতীয় কর্মদলটি হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার জন্য, যেখানে দেশী-বিদেশী সংস্থার মাধ্যমে ‘‌ফরেনসিক অডিটের’ ব্যবস্থাও থাকবে। 

এছাড়া জনগণ এটা শুনে আশ্বস্ত হয়েছে যে নোট ছাপিয়ে তারল্য সংকটের সমাধান করা হবে না। কারণ এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটাও আশার কথা যে দীর্ঘদিন পর বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে সভা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই সঙ্গে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে যে প্রত্যেকটি কু-ঋণকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা হবে এবং নামে-বেনামে এগুলোর ধারক যারা, তাদের চিহ্নিত করা হবে।

এসব পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে সাধুবাদ দাবি করে। কিন্তু সেই সঙ্গে এসব ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কতগুলো ব্যাপার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রথমত, দেশের ১০টি দুর্বল ব্যাংকের আমানতকারীদের আশ্বাস দেয়া হয়েছে যে সরকার তাদের পাশে আছেন। তাদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে, কারণ আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেয়ার মতো সক্ষমতা এসব ব্যাংকের নেই। তবে মনে রাখা দরকার যে এ ধৈর্যধারণকাল যেন অনাবশ্যকভাবে দীর্ঘায়িত না হয়। অকারণ কালক্ষেপণ করলে পরে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষয়িত হবে এবং একটি অনিশ্চয়তার পরিবেশ জন্ম নেবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের অর্থনীতিতে দুর্বল ব্যাংকের অস্তিত্ব নতুন কিছু নয়। রাজনৈতিকীকরণ, ব্যাংক খাতের নীতিমালা লঙ্ঘন, সে খাতে একটি সুষ্ঠু নিয়ম কাঠামোর অনুপস্থিতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বল খবরদারি ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন সময়ে আমাদের অর্থনীতিতে দুর্বল ব্যাংকের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। নানা সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের একীভূতকরণের মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংক সমস্যার সমাধান খোঁজা হয়েছে। বর্তমান সময়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে খুব পরিষ্কার, দৃশ্যমান ও বস্তুনিষ্ঠ নির্ণায়ক নির্ধারণ করা প্রয়োজন। যেমন কোনো ব্যাংক যদি দেউলিয়া হয়ে যায়, সেটাকে যদি কোনোভাবেই রক্ষা না করা যায় এবং সেটা যদি কিন্তু সামগ্রিক অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে তাৎপর্যহীন হয়, তাহলে সেসব ব্যাংককে অবসায়িত করার ক্ষেত্রে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুনর্গঠন, কখনো কখনো একীভূতকরণ, অন্য ক্ষেত্রে তারল্য সাহায্য দিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দাঁড়াতে সাহায্য করতে হবে। কিন্তু এসব ব্যবস্থার নির্ণায়কগুলো সর্বদা যেন বাস্তবসম্মত ও বস্তুনিষ্ঠ হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক একদিকে যদি বলে যে কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে আছে এবং অন্যদিকে যদি প্রত্যাশা করে যে কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হবে না, তাহলে এমন দ্বন্দ্বমূলক বক্তব্য দেশের ব্যাংক খাতের জন্য ইতিবাচক হবে না। তৃতীয়ত, বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যক্ত করেছে যে ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক খাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে ৩০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত এসেছে। এক্ষেত্রে দুটো বিষয় জনগণের কাছে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এক. ব্যাংক খাতের বাইরে চলে যাওয়া এ ৭০ হাজার কোটি টাকা কি দেশের বাইরে পাচারকৃত অর্থকে নিয়ে, নাকি এটা শুধু ব্যাংকের বাইরে কিন্তু দেশের অভ্যন্তরেই রয়ে যাওয়া টাকা? দুই. কোন কোন প্রক্রিয়ার পথ ধরে এ টাকা আবার ব্যাংক খাতে ফেরত এসেছে—স্বতঃস্ফূর্তভাবে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে, চাপ সৃষ্টি করে আদায় হয়েছে, সম্পদ জব্দকরণ করে এসেছে, নাকি অন্য উপায়ে? ব্যবহৃত প্রক্রিয়ার জ্ঞান ভবিষ্যৎ পথনির্দেশের ক্ষেত্রে শিক্ষামূলক হতে পারে। চতুর্থত, খুব সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যেসব কু-ঋণ রয়েছে তার ধারকদের চিহ্নিত করা হবে—কোন পরিবার থেকে এগুলো নেয়া হয়েছে, তাদের কত সম্পদ আছে, তার হিসাবও জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে। এরপর সে সম্পদ উদ্ধারের দিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যাবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে এ লক্ষ্যকে কোনো অপশক্তি যাতে বানচাল না করতে পারে, তার জন্য তীক্ষ্ণ নজরদারি প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ আশ্বাস দিয়েছে, তারা চান দেশের সব প্রতিষ্ঠান চালু থাকুক এবং সে কারণে তারা এমন কোনো উদ্যোগ নেবে না যাতে দেশের উৎপাদন- কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হয়। সে লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো প্রতিষ্ঠানের হিসাব স্থগিত করেনি, শুধু ব্যক্তির হিসাব স্থগিত করেছে। লক্ষ্য রাখতে হবে কোনো ব্যক্তি যেন ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেয়া ছাড়ের অপব্যবহার করে ফায়দা না লুটতে পারে। পঞ্চমত, এটা সর্বজ্ঞাত যে বিভিন্ন ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়ে গেছে এবং সেসব অর্থের গন্তব্যস্থল হিসেবে যুক্তরাজ্য, দুবাই, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার এবং জানা গেছে, সে লক্ষ্যে সেসব দেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ পরিপ্রেক্ষিতে একটি কথা মনে রাখা অতীব প্রয়োজন। যেকোনো দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ আপাতদৃষ্টিতে কতগুলো বৃহৎ দেশে যায় সত্যি, কিন্তু তারপর তারা ছোট ছোট দ্বীপপুঞ্জের অর্থনীতিতে এবং কর আশ্রয়স্থলে (tax haven) গিয়ে উপস্থিত হয়। তখন এসব অর্থের বহুমাত্রিক আশ্রয়স্থল চিহ্নিত করাই দুষ্কর হয়ে পড়ে, উদ্ধার করা তো পরের কথা। কিছুকাল আগে শ্রীলংকার ক্ষেত্রে এ সত্য হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গিয়েছিল। ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারি উদ্ঘাটনের মূলমন্ত্র ছিল, অর্থকে অনুসরণ করো (Follow the money). বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থের জাল এত জটিল যে ওই অর্থকে অনুসরণ করতে গেলে শুধু বড় কয়টি দেশের সঙ্গে আলোচনা করলে হবে না, সেক্ষেত্রে তদন্তজাল বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। ষষ্ঠত, ব্যাংক খাতের নানা সমস্যা নিরসনে দুটো কর্মদল বা টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং এ প্রচেষ্টাকে স্বাগতম। এ জাতীয় কর্মদল এবং তাদের প্রতিবেদন ব্যাংক খাতের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি সমস্যাগুলো সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সন্দেহ নেই। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য একটি ব্যাংক কমিশনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সপ্তমত, বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতার প্রশ্নটি বার বার এসেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি বিশেষ স্বাধীনতা ভোগ করে। এ জাতীয় স্বাধীনতা ভিন্ন কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকই একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংককেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রভাববলয়ের বাইরে অবস্থান করে তার ভূমিকা পালন করতে হবে। নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ব্যাংক তার কর্মকাণ্ড নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে, কিন্তু মু্দ্রানীতি প্রণয়ন থেকে তার অন্যান্য কর্মপরিধিতে বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে দেয় স্বাধীনতার মাধ্যমে কাজ করবে। 

এসব কার্যকরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ক্ষোভটুকু মিটিয়ে দেবে, আস্থার জায়গাটি ফিরিয়ে দেবে, আশঙ্কার পর্দাটি সরিয়ে দেবে এবং অনিশ্চয়তার দেয়ালটি ভেঙে দেবে এটাই জনমনে কাম্য। 

সেলিম জাহান: ভূতপূর্ব পরিচালক, মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন