ভোমরা বন্দর দিয়ে হলুদ আমদানি কমেছে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শুকনা হলুদ আমদানি কমেছে। ভারতে দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশটি থেকে সরবরাহ নিম্নমুখী হওয়ায় এ মসলাপণ্যের আমদানি কমেছে বলে মনে করছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। 

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে শুকনা হলুদ আমদানি গত অর্থবছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ কমেছে। জুলাই-মে মাস পর্যন্ত ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে মোট ২৬ হাজার ৪৭৭ টন শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছে, যার মূল্য ৪০৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার ৯৭৩ টন, যার আমদানি মূল্য ছিল ৪৬৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শুকনা হলুদের আমদানি কমেছে ৭ হাজার ৪৯৬ টন। 

আমদানি কমে যাওয়ার বিষয়ে বন্দরের মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান বণিক বার্তাকে জানান, গত চার-পাঁচ মাস ধরে ভারতের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কম। পাশাপাশি দামও চড়া যাচ্ছে। তাছাড়া ডলারের মূল্য অনুযায়ী টাকার মান কমে যাওয়ার কারণেও পণ্যটির আমদানি মূল্য বাড়ছে। এ কারণে অন্য সময়ের তুলনায় শুকনা হলুদের আমদানি কমে গেছে। 

অন্যদিকে আমদানি কমে যাওয়ায় সাতক্ষীরার মসলাবাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। তিন মাসের ব্যবধানে গুড়া হলুদের দাম কেজিতে ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি মসলা আড়ত ও বিপণন প্রতিষ্ঠান ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

সাতক্ষীরা বড় বাজারের ঠাকুর স্টোরে গতকাল প্রতি কেজি গুঁড়ো হলুদ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। তিন মাস আগেও যার দাম ছিল কেজিতে ২৮০-৩০০ টাকা।

এ বিষয়ে মসলা ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র জানান, পাইকারিতে দাম বাড়ার কারণে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া চাহিদার তুলনায় বাজারে এর সরবরাহও কম। 

সাতক্ষীরা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা অপু সরকার বণিক বার্তাকে জানান, বন্দরে আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে গুঁড়া হলুদের সরবরাহ কম। এ কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। আমদানি বাড়লে পুনরায় দাম স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন