বিশ্বব্যাপী হীরার বাজার সম্প্রসারণের পূর্বাভাস

বিশ্বে ২০২২ সালে খনি থেকে হীরা উত্তোলন হয়েছে ১২ কোটি ২ লাখ ক্যারেট ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী হীরার বাজার আগামী বছরগুলোয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। সম্প্রতি এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ফরচুন বিজনেস ইনসাইটস। খবর ইয়াহু ফাইন্যান্স।

বিশ্বব্যাপী হীরার বাজারের আকার গত বছর ছিল ৯ হাজার ৪১৯ কোটি ডলারের। ফরচুন বিজনেস ইনসাইটসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩২ সালের মধ্যে তা ১৩ হাজার ৮৬৬ কোটি ডলারে পৌঁছতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ২০২৩-২০৩২ সালের মধ্যে তা বার্ষিক ৪ দশমিক ৫ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে পারে। 

অন্যদিকে মার্কেট রিসার্চ ও স্ট্র্যাটেজি কনসাল্টিং কোম্পানি ইমারজেন রিসার্চ জানিয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী হীরার বাজারের আকার ছিল ৯ হাজার ৭১০ কোটি ডলার। আগামী বছরগুলোয় তা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। 

তবে প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলেও বিশ্বব্যাপী এ মূল্যবান ধাতুর বাজার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে বলে ধারণা করছেন অন্যান্য বিশ্লেষক। তারা বলছেন, হীরার দাম সাধাণরত উৎপাদন, মুদ্রার ওঠানামা ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে পরিবর্তন হয়। সামনের দিনগুলোয় এসব অনুষঙ্গে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে, যা বাজার বৃদ্ধির গতিপথে প্রভাব ফেলতে পারে। 

এদিকে কিম্বারলি প্রসেস জানিয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী খনি থেকে হীরা উত্তোলন হয়েছে ১২ কোটি ২ লাখ ক্যারেট, যার বাজারদর দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার। ২০২১ সালে উত্তোলন হয়েছিল ১১ কোটি ৮৭ লাখ ক্যারেট, যার বাজারমূল্য ছিল ১ হাজার ২৯২ কোটি ডলার। এ হিসাবে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ক্যারেট হিসেবে হীরার বাজার ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং মূল্যের দিক থেকে ২৬ শতাংশ বেড়েছিল। এছাড়া গত বছর বিশ্বব্যাপী হীরার মজুদ ১ হাজার ৭০ কোটি ক্যারেট হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম হীরার মজুদকারী দেশ রাশিয়ায় ৮৬ কোটি ক্যারেট এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম মজুদকারী দেশ বতসোয়ানায় ২৮ কোটি ক্যারেট মজুদ থাকতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। 

এদিকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ল্যাব বা গবেষণাগারে তৈরি হীরার দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক ভারত। মূলত বাজারে একাধিক দেশের সরবরাহ থাকায় প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে দেশটি। একই সঙ্গে এ ধরনের হীরার মূল্য নিম্নমুখী প্রবণতা ধরে রেখেছে। এ বিষয়ে বিশ্লেষক সংস্থা কেয়ারএজ অ্যাডভাইজরির পরিচালক তানভি শাহ বলেন, ‘যদি ল্যাব হীরার মূল্য কমতে থাকে, তবে এটি উৎপাদকদের লাভের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতীয় শিল্পের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ধরনের হীরার দাম কমার মূল কারণ অতিরিক্ত সরবরাহের সঙ্গে চাহিদার অসামঞ্জস্য।’

বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম হীরার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে ক্যারেটপ্রতি গড় মূল্য ছিল ১৯৮ ডলার ২২ সেন্ট। সেখানে আগের অর্থবছরে প্রতি ক্যারেট গড়ে ৩৫৫ ডলার ৫১ সেন্টে বিক্রি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন