শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর কমেছে ৬.৪৭ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির সমাপনী শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৫৯ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭৪ পয়সায়। 

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে কোম্পানির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৩৯ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৫ টাকা ১৬ পয়সায়। 

কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল বি’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও সর্বশেষ ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। 

২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যেখানে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ৩ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৫ টাকা ২৫ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৪ টাকা ৬৭ পয়সায়। 

২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের আড়াই শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। তার আগের হিসাব বছরে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের অনুমোদিত মূলধন ১৯০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৫৪ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর রিজার্ভ রয়েছে ৭৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারসংখ্যা ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৩ এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫১ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ৬০, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ৯ দশমিক ৪৯ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইতে গত এক বছরে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১২ টাকা ৩০ পয়সা ও ২৪ টাকা ৭০ পয়সা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন