![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_389142_1.png?t=1719872906)
সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড। পুনর্মূল্যায়নে জমি ব্যতীত কোম্পানিটির অন্যান্য সম্পদের মূল্য বেড়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
তথ্য অনুসারে, প্রফেশনাল ভ্যালুয়ার কোম্পানির মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়নকৃত সম্পদের মধ্যে আছে প্রপার্টি, প্লান্ট ও ইকুইপমেন্ট। পুনর্মূল্যায়নের আগে এসব সম্পদের মূল্য ছিল ১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। পুনর্মূল্যায়নের পর মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। পুনর্মূল্যায়নে সম্পদমূল্য বেড়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হবে।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৭৫ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩৯ টাকা ৬৮ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৫৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৮ টাকা ২১ পয়সা।
এনভয় টেক্সটাইলসের পর্ষদ ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৮ টাকা ২১ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৭ টাকা ৭৯ পয়সা।
এনভয় টেক্সটাইলসের সার্ভিলেন্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ ওয়ান’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন ও ব্যাংক ঋণের অবস্থান এবং রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)।
২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনভয় টেক্সটাইলসের অনুমোদিত মূলধন ৪৭৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৬৭ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩৬৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৭। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ২৫, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য ৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৩৩ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩০ টাকা ৭০ ও ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা।