![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_389129_1.jpg?t=1719870382)
স্মার্টফোন বাজারের ৯০ শতাংশ ২০৩০ সালের মধ্যে এআই-চালিত ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সম্প্রতি সাংহাইয়ে গ্লোবাল ফাইভজি-এ কমার্শিয়াল পাইলট প্রোগ্রামের উদ্বোধনী সম্মেলনে হুয়াওয়ের নির্বাহী পরিচালক ওয়াং তাও এ কথা জানিয়েছেন। খবর গিজমোচায়না।
সম্মেলনে হুয়াওয়ের নির্বাহী পরিচালক ওয়াং তাও উন্নত সংস্করণের ফাইভজি-এ ও এআই প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে জানান, চলতি বছর এআই স্মার্টফোনের বিক্রি ১১ শতাংশ হবে, যা আগামী সাত বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। এছাড়া লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ও এআই ফিচারগুলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে স্মার্টফোনের জন্য নতুন স্ট্যান্ডার্ড হয়ে দাঁড়াবে।
ওয়াং তাও বলেন, ‘আমরা শিগগিরই এআই থেকে ইন্টারনেট ট্রাফিকের বৃদ্ধি দেখতে পাব অর্থাৎ এআই ডাটা ব্যবহার আরো বাড়াবে। এরই সঙ্গে উন্নত সংস্করণের ফাইভজি-এ নেটওয়ার্কের ফলে ইন্টারনেটের উচ্চ গতি, কম ল্যাটেন্সি ট্রাফিক বাড়াতে অবদান রাখবে।’
প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এগিয়ে থাকতে নিজেদের ডিভাইসে এআই অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে স্মার্টফোন নির্মাতারা। বর্তমানে হুয়াওয়ে, অপো, স্যামসাং, গুগল ও অ্যাপলের মতো শীর্ষ নির্মাতারা ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনে লাইট ওয়েট লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) ব্যবহার করছে। এ পদক্ষেপ ডিভাইসের সুরক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি অফলাইন কার্যক্ষমতাও বাড়াচ্ছে।
আগামীতে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলোর চিপ আরো শক্তিশালী ও সাশ্রয়ী হয়ে উঠলে আরো একাধিক এআই ফিচার সরাসরি ডিভাইসে চালানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ পরিবর্তন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার পাশাপাশি সম্ভাব্যভাবে ক্লাউড সার্ভারের ব্যয় কমাতে সাহায্য করবে।
অন্যদিকে সম্প্রতি ডেভেলপার কনফারেন্সে অ্যাপল এআই সিস্টেম চালু করেছে। মূলত অ্যাপল ডিভাইসের সিস্টেম অ্যাপস ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সিরিতেও অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স চালু করেছে কোম্পানিটি।
জেনারেটিভ এআইয়ের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির কারণে গ্রাহক পর্যায়ে এআই নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এ প্রযুক্তি একজন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত পছন্দ মনে রাখতে পারে এবং সে অনুযায়ী পরিষেবা দিতে পারে। এতে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতায়ও বেশ পরিবর্তন আসে। এছাড়া এ প্রযুক্তি ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে শুরু করে ক্যামেরা, ডিসপ্লের কার্যক্রম ও ব্যাটারি কানেক্টিভিটিতেও পরিবর্তন আনে। এগুলো সামগ্রিকভাবে ডিভাইসের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়।
স্মার্টফোন এআইয়ের ব্যবহারকারী দ্রুত হারে বৃদ্ধি মোবাইল প্রযুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্বকে তুলে ধরেছে। যদি হুয়াওয়ের নির্বাহী পরিচালক ওয়াং তাওয়ের পূর্বাভাস সঠিক হয়, তাহলে আগামী বছরগুলোয় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যাবে।