নেত্রকোনায় ভাইরাস আক্রান্ত ১৫ হাজার হাঁসের মৃত্যু

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নেত্রকোনা

ছবি : বণিক বার্তা

নেত্রকোনায় কয়েকটি হাঁসের খামারে ভাইরাস দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে শত শত হাঁস। দুই সপ্তাহে ১০-১৫ হাজার হাঁসের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। তবে ভাইরাসটি চিহ্নিত করতে পারেননি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

সঠিক রোগ নির্ণয় করার জন্য মৃত হাঁসের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ভাইরাস আক্রমণের কারণ ও রোগ নির্ণয় করতে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ওয়াহেদুল আলম।

নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের দরুনবালী গ্রামের খামারি মো. নুরুল আমীন ও তার ছোট ভাই কবীর আহম্মেদ লিংকন অনেক দিন ধরে হাঁস পালন করে আসছেন। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের সিরাজ মিয়ার কাছ থেকে চার হাজার হাঁসের বাচ্চা কেনেন। হাঁস বড় হলে তা বিক্রি করার জন্য পাইকারকে (ক্রেতা) খবর দেয়া হয়। পাইকার হাঁস গাড়িতে তুলতে গেলে বাধে বিপত্তি। ধরা পড়ে হাঁসগুলোর চোখ ঘোলা ও ঘাড় বাঁকা।

খামারিরা জানান, আক্রান্ত হাঁসগুলোর চোখ ঘোলা হয়ে যাচ্ছে ও মাথা ঘোরাতে থাকে। একপর্যায়ে দুর্বল হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। প্রথম দিনে ২৫-৩০টি হাঁসের মৃত্যু হয়। কিন্তু দিন দিন বাড়তে থাকে মৃত্যুর হার। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় শত শত হাঁস। এখন পর্যন্ত তাদের খামারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হাঁস মারা গেছে। পরে তারা প্রাণিসম্পদ অফিসে যান। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহার করলেও কাজ হয়নি।

শুধু নূরুল আমীন নন, ভাইরাসের আক্রমণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন আরো বেশ কয়েকজন খামারি। পার্শ্ববর্তী শাদবুড়িকান্দা গ্রামের সিরাজ মিয়া, আব্দুল মোতালিবসহ ৮-১০ খামারির কয়েক হাজার হাঁস ভাইরাসের আক্রমণে মারা গেছে বলেও জানান তারা।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ওয়াহেদুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটিকে প্লেগ রোগ হিসেবেই বিবেচনা করে ওষুধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য মৃত হাঁসের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন