তিন জেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও ভোলার লালমোহনে আরো দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো একজন। গতকাল বিভিন্ন সময় এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার পঞ্চমালা মাঠে গরু চরাতে যান সাইদুর রহমান (২৭)। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। আহত হন উজ্জ্বল নামে এক যুবক। 

সাইদুর রহমানের খালাতো ভাই নাসির উদ্দীন বলেন, ‘দুপুরে বৃষ্টি দেখে গরু ও মহিষ নিয়ে বাসার দিকে আসছিলেন সাইদুর। এ সময় বজ্রপাত হলে তিনি মারা যান। তার সঙ্গে থাকা উজ্জ্বল গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় তিনটি গরু ও একটি মহিষও মারা গেছে।’

অন্যদিকে একই সময়ে সেলিম শেখ (৫৫) নামে এক কৃষক হেদায়েতপুর মাঠে গরু আনতে যান। সেখানে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। সেলিম শেখ ডেমা ইউনিয়নের হেদায়েতপুর গ্রামের শেখ কাউসারের ছেলে।

এ ব্যাপারে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, ‘বাগেরহাটের ডেমা ইউনিয়নে বজ্রপাতে সাইদুর রহমান ও সেলিম শেখ নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উজ্জ্বল হাওলাদার নামে আরেকজন আহত হয়েছেন। তাকে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

এদিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বজ্রপাতে মো. চৌধুরী মিয়া (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোরে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর-আমিনুল হক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চৌধুরী মিয়া উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর-আমিনুল হক গ্রামের মৃত লেদু মিয়ার ছেলে।

চরওয়াপদা ইউনিয়নের মেম্বার হাজী মো. আবুল কাশেম জানান, কৃষক মো. চৌধুরী মিয়া (৫০) ফজরের নামাজ পড়ে তার মহিষ দেখতে যান। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। চৌধুরী মিয়া উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর আমিনুল হক গ্রামের মৃত লেদু মিয়ার ছেলে।

এছাড়া গতকাল সকালে ভোলার লালমোহন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরতে যান মো. লোকমান ব্যাপারী। এ সময় বজ্রপাতে ঝলসে যান তিনি। আশপাশের লোকজন লোকমানকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। লোকমান ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতা এলাকার মৃত আব্দুল ওহাব ব্যাপারীর ছেলে। লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন