চাহিদার তুলনায় জ্বালানি তেলের উৎপাদন বেশি হওয়ার আভাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উৎপাদন চলতি দশকে চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ার আভাস দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল।

প্রতিবেদনে আইইএ জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ দৈনিক ৬০ লাখ ব্যারেল বেড়ে ১১ কোটি ৩৮ লাখ ব্যারেলে পৌঁছতে পারে। এর আগে এক পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, এ সময় বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের চাহিদা হতে পারে ১০ কোটি ৫৪ লাখ ব্যারেল। এ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দৈনিক উৎপাদন দাঁড়াবে চাহিদার তুলনায় ৮০ লাখ ব্যারেল বেশিতে। 

বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েক বছর ধরেই উত্তোলন কমাচ্ছে পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাস। সম্প্রতি এক বৈঠকে উত্তোলন আরো কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু আইইএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি দশকে চাহিদার তুলনায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উৎপাদন বেড়ে গেলে এর দাম কমবে, যার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারের ওপর ওপেকভুক্ত দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ। 

অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা আগামী বছরগুলোয় বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ২০২৩-৩০ সালে জ্বালানি তেলের চাহিদা দৈনিক ৩২ লাখ ব্যারেল বেড়ে যেতে পারে। আর চাহিদা বাড়ার পেছনে ভূমিকা রাখবে জেট ফুয়েল ও পেট্রোকেমিক্যাল খাত। 

এছাড়া গত বছর জীবাশ্ব-জ্বালানিসহ বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দৈনিক চাহিদা ছিল ১০ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল। চলতি দশকের শেষ নাগাদ তা বেড়ে দৈনিক ১০ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেলে পৌঁছবে। এ সময় বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার বাড়ার সম্ভাবনা চাহিদা বাড়ার পেছনে ভূমিকা রাখবে। গত বছরও ২০২২-২৮ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের চাহিদা ৬ শতাংশ বেড়ে দৈনিক ১০ কোটি ৫৭ লাখ ব্যারেলে পৌঁছবে বলে আইইএ পূর্বাভাস দিয়েছিল। 

আইইএ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোয় জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে। বিশেষ করে চীনের পেট্রোকেমিক্যাল খাত ও ভারতের পরিবহন খাতে এর চাহিদা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। 

তবে উন্নত দেশগুলোয় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকবে। এরই মধ্যে গত বছর চাহিদা কমে দৈনিক ৪ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেলে পৌঁছেছে। ২০৩০ সাল নাগাদ উন্নত দেশগুলোয় এ চাহিদা আরো কমে দৈনিক ৪ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেলেরও নিচে নেমে যেতে পারে।

সম্প্রতি ওপেক জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা চলতি বছর দৈনিক ২২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল ও আগামী বছর দৈনিক ১৮ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা দৈনিক ১১ লাখ ব্যারেল বেড়ে গড়ে দৈনিক ১০ কোটি ৩০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন