ফাইল ছবি বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযানে গ্রেফতার
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৫৭ সদস্যের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোসেনের আদালতে
পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন
আদালত।
আদালত ও পুলিশ সুত্র জানায়, গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি
উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় আক্রমণ ও ডাকাতি করে কেএনএফের সদস্যরা।
সে সময় সরকারি অস্ত্র, গুলি ও টাকা লুটসহ রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করা
হয়। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত রুমা থানায় পাঁচটি ও থানচি থানায় চারটি মামলা করা হয়। এসব
ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর পর
সমন্বিত অভিযান চালিয়ে দুই উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এ পর্যন্ত কেএনএফের সদস্যসহ
সহযোগী মিলে ৫২ জনকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। এছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে আরো নয়জন আটক
রয়েছে। বৃহস্পতিবার কেএনএফের ৫২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আবেদন শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
করেন আদালত।
রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ। তিনি
বণিক বার্তাকে বলেন, রিমান্ড মঞ্জুর করা ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছে। ব্যাংক ডাকাতির
ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিশেষ নিরাপত্তায় বান্দরবান কারাগারে রাখা হয়েছে।
এদিকে কেএনএফ নির্মুল করতে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি
উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি)
এম খুরশীদ হোসেন। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) বান্দরবান সার্কিট হাউজে সাংবাদিকের দেয়া এক
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
