লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত ছাত্রলীগ নেতা মো. সজিব মারা গেছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত দুইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্রবার (১২এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের জৈদের পুকুরপাড় এলাকায় চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর গ্রুপ অতর্কিত গুলি চালিয়ে সজিবসহ ছয়জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত মো. সজিবসহ ৪ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সজিবের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হলেও তার আর জ্ঞান ফিরেনি। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজিবকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।
মো. সজিব সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার দ্বিতীয়পুত্র। সে কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র এবং ছাত্র নেতা ছিলেন।
এদিকে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজু ভুঁইয়াসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে ৩১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাজু ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেছে।
