ঈদ ও নববর্ষে লাউয়াছড়ায় রাজস্ব আহরণের রেকর্ড

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার

ছবি : বণিক বার্তা

ঈদ ও নববর্ষের ছুটিতে মৌলভীবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক এসেছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ার পাশাপাশি পর্যটন ব্যবসায় চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে। পাঁচদিনে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৫০৬ টাকা। এটি লাউয়াছড়ায় এ যাবৎকালের রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয়।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচদিনে লাউয়াছড়ায় ১২ হাজার ৫৫৮ জন পর্যটক প্রবেশ করে। প্রবেশমূল্য হিসাবে তাদের কাছ থেকে আয় হয়েছে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া জেলার চা বাগান, হাওর, দুটি জলপ্রপাত, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, মাধবপুর লেক, বিভিন্ন খাসিয়া পুঞ্জিসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল রেকর্ড পরিমাণ।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার ঈদের দিন উদ্যানে পর্যটক এসেছে ৩ হাজার ৩৬ জন। এ থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৬৯ টাকা। ২ হাজার ৪৬১ জন পর্যটকের কাছ থেকে রাজস্ব এসেছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৮৬ টাকা। শনিবার ৩ হাজার ৩৩৪ জন পর্যটক এসেছে। এ থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ১৮৪ টাকা। রোববার ২ হাজার ৩৬০ জন পর্যটকের কাছ থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। সোমবার ১ হাজার ৩৬৭ জন পর্যটকের কাছ থেকে আয় হয়েছে ৬৮ হাজার ৭১৯ টাকা।

স্থানীয়রা জানান, প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি এখানকার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও আকর্ষণ করে পর্যটকদের। মণিপুরী, খাসিয়া, গারো, সাঁওতাল, ত্রিপুরা, ওঁরাও, মুণ্ডা ও গারোসহ ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জীবন ও সংস্কৃতি দেখতে ভিড় করে দর্শনার্থীরা।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের টিকিট কালেক্টর শাহিন আহমদ জানান, এবারই প্রথম পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় ছিল জাতীয় উদ্যানে, যা অন্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এর আগে এত পর্যটক কখনো আসেনি। পর্যটকদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে ব্যবস্থাপনা কমিটির।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতি ঈদেই পর্যটকদের উপস্থিতি বেশি হয়। তবে এবার পর্যটকের সমাগম অধিক ঘটেছে। ঈদের পরবর্তী ১০ দিন পর্যটকদের ভিড় থাকে। এবার ছুটির সঙ্গে ছিল নববর্ষ। এ কারণে পর্যটক বেশি এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন