জয়পুরহাটের ঈদবাজার

দেশী পোশাকের চাহিদা বেড়েছে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি I জয়পুরহাট

জয়পুরহাটে বিপণিবিতানে ঈদের পোশাক দেখছেন ক্রেতারা ছবি : নিজস্ব আলোকচিত্রী

জয়পুরহাটে এবার বেশ আগে থেকেই ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। এবার ভারতীয় কাপড় বাজারে কম আসায় দেশী পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি চীনা ও পাকিস্তানি পোশাকও বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, অন্যবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি।

শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কেনাকাটা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতারা ছুটছেন মার্কেটে। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে পূর্ববাজারের বড় কাপড়পট্টিতে। শহরের নিউ মার্কেট, সদর রাস্তা, পূর্ব বাজার কাপড় পট্টি, এনামুল হক সুপার মার্কেট, মীনা বাজার ও হকার্স পট্টি, বিগবাজার, মৌসুমী মার্কেট, শাহাজান আলী মার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার রোজার শুরুর পর থেকে বিক্রি ভালোই হচ্ছে।

বাবা-মায়ের সঙ্গে কেনাকাটা করতে এসেছে শিশু সারা। ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে নায়রা সেট কিনে দিয়েছেন তার বাবা-মা। পোশাক পেয়ে খুব খুশি সে।

বাবুপাড়া মহল্লার শহিদুল জানান, ৫ হাজার টাকার মধ্যে দুটি পাঞ্জাবি ও দুটি ট্রাউজার কিনেছেন। গতবারের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি।

রাকা কালেকশনের প্রোপ্রাইটর পাপিয়া বারিক ও সাজ গার্মেন্টসের নাসরিনসহ কয়েকজন নারী উদ্যোক্তা জানান, এক মাস আগে থেকে ফেসবুক পেজসহ অনলাইনে জয়পুরহাটসহ জেলার বাইরে সরবরাহ করছেন তারা।

ব্যবসায়ী শফি বিশ্বাস বলেন, ‘দেশীয় শাড়ির মধ্যে সিল্ক, কাতান ও টাঙ্গাইল শাড়ির চাহিদা বেশি। বড়দের চেয়ে ছোটদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।’

পূর্ব বাজার কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও আমিন ক্লথ স্টোর অ্যান্ড গার্মেন্টসের প্রোপ্রাইটর সবদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ভারতীয় কাপড় তেমন একটা আমদানি হয়নি। চীনা, পাকিস্তানি, দেশী সুতি, টরে, মাইক্রোসহ অন্যান্য কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে বিভিন্ন থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০-৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি দামে কাপড় কিনতে হয়েছে। এজন্য একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।’

জয়পুরহাট সদর থানার ওসি হুমায়ন কবীর জানান, শহরের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। তার পরও ঈদের কেনাকাটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মার্কেটগুলোয় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঈদের সাতদিন আগে আরো পুলিশ সদস্য বাড়ানো হবে। বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়ায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন