নারায়ণগঞ্জে মধ্যরাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনি, নিহত ৪

বণিক বার্তা প্রতিনিধি,নারায়ণগঞ্জ

ছবি: বণিক বার্তা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে চারজন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার মধ্যরাতে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, রাতে গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর আরো একজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলো জাকির হোসেন ও মো. রহিম মিয়া। বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া মোহাম্মদ আলী নামের একজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরী গ্রামের বড় বিল এলাকায় কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখতে পায় এলাকাবাসী। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রথমে মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দেয়া হয়। এ ঘোষণা শুনে গ্রামবাসী দ্রুত চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে তারা পালানোর জন্য বিলের পানিতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। 

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন জানান, তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতদের সবার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘নিহত জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নয়টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। সে ডাকাতদের দলনেতা ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। রহিম মিয়ার বিরুদ্ধেও একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক ডাকাতির মামলা আছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ও আহতরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন