ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা

ফিচার ডেস্ক

ছবি: ফ্রিপিক, ভেক্টর ও অ্যান্টএ্যাডুকেশন

আর্দ্র তাপ

অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে গরম কাপড় ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। দুশ্চিন্তা কমাতে ও ভালো ঘুমের জন্য কেউ কেউ অনেক ধরনের তেল ব্যবহার করে। যে স্থানে ব্যথা অনুভব করা হয় তা বারবার উষ্ণ রাখা। অথবা কিছুদিন বিশ্রামে থাকলে তা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। 

ক্যাস্টর অয়েল

রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকের সংক্রমণ কমাতে  এবং লিম্ফ্যাটিক ফাংশনকে সমর্থন করার জন্য বেশ আগ থেকে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা হয়। এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল হালকা গরম করে মুখে মালিশ করা যায়। একটি উষ্ণ ভেজা কাপড় দিয়ে জায়গাটি ২০-৩০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখা যায়। উপসর্গ কমে না যাওয়া পর্যন্ত ক্যাস্টর অয়েল দিনে দু্বার মালিশ করা লাগবে। 

চোখের যত্ন

যদি কারো একটি চোখ বন্ধ না হয় তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। দিনের বেলা প্রতিরক্ষামূলক চশমা পরা, রাতে চোখের প্যাচ ও হাইড্রেটিং চোখের ড্রপ ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

মালিশ

কোনো বিশেষজ্ঞ ফিজিক্যাল থেরাপিস্ট থেকে জেনে নেয়া ঘরে বসে কী ধরনের মালিশ করা যায় এবং মালিশের কৌশলগুলো কী। অনেক ক্ষেত্রে মুখে নিয়ম অনুযায়ী হালকা করে মালিশ করলে অস্বস্তি কিছুটা কম হয়।

ভিটামিন বি১২

ভিটামিন বি১২ জাতীয় খাবার এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর। এক্ষেত্রে ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ খাবার যেমন গরুর মাংস, গরুর কলিজা, ডিম, পনির ইতাদি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন বি১২ ইনজেকশনও দেয়া যেতে পারে। 

ভিটামিন বি৬

স্বাস্থ্যকর স্নায়ুতন্ত্র ও চোখের সুস্থতার জন্য ভিটামিন বি৬ জাতীয় খাবার দাবার প্রয়োজন। ভিটামিন বি৬-সমৃদ্ধ খাবার যেমন টার্কির ব্রেস্ট, গরুর মাংস, গুড়, সূর্যমুখী বীজ, তিলের বীজ ও ছোলা খাওয়া।

জিঙ্ক 

শরীরের ক্ষত সারাতে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এবং থাইরয়েডের স্বাস্থ্যকর কার্যকারিতা বাড়াতে জিঙ্ক জাতীয় খাবার প্রয়োজন। এটি সর্দি, নির্দিষ্ট শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা ও ভাইরাস-সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায়ও সাহায্য করে। জিঙ্কজাতীয় খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ভেড়ার মাংস, গরুর মাংস, কাজুবাদাম জাতীয় খাবার। 

মেডিটেশন ও বিশ্রাম

নির্দেশিত মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, নিয়মিত ব্যায়াম এবং গভীর শ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশির টান এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশম করুন। কিছু গবেষণা দেখায় যে স্ট্রেস এ ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। কিছু গবেষণা অনুযায়ী দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেসে থাকলে পুনরায় এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। 

সূত্র: ড. এক্স

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন