![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_372842_1.jpg?t=1722037701)
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে ৩০ জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। এ সময় তাদের কাছ থেকে আটটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং পাঁচটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত দুটি ট্রলার। গতকাল ভোরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব সদর দপ্তর জানায়, গ্রেফতার শাহেদ মাঝি প্রথম গ্রুপের দলনেতা। সে কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তার দলের কাজ ছিল ডাকাতি করার জন্য অস্ত্র, বোট, জাল এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা। তার দলে কাজ করত নয়জন। গ্রেফতার আরেকজন ইউসুফ মাঝি দ্বিতীয় গ্রুপের নেতা। সে-ই ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী। প্রথমে ডাকাতির জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিবার্চন করত সে। ইউসুফ মাঝির দলে ১১ সদস্য ছিল। এছাড়া গ্রেফতার করিম মাঝি ছিল তৃতীয় গ্রুপের নেতা। তার কাজ ছিল ডাকাতির পরে লুট করা বোট, মাছ, জাল এবং অন্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করে সুবিধামতো বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি এবং সেই টাকা গ্রুপের সব সদস্যকে সমানভাবে বণ্টন করা।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম জানান, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরের গভীরে ডাকাতির পর কয়েকজন জেলেকে হত্যা করেছিল জলদস্যুরা। সে সময় কয়েকজন জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে ৩০-৪০ জনের একটি গ্রুপ গত রোববার রাত ১১টার দিকে ঘাট এলাকা ত্যাগ করে। পরে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল এবং একটি আভিযানিক দল ট্রলারটি শনাক্ত করে।