আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল বেরোবি প্রশাসন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রংপুর

ছবি : বণিক বার্তা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবু সাঈদের বাবা-মায়ের হাতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ ও কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম।

প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ভিসি মহোদয়ের নির্দেশে সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভিসি স্যার নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে।’

নিহত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেক দিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন। সে সময় ভিসি স্যার আমার সঙ্গে সেলফোনে কথা বলেন। আমাদের খোঁজ-খবর নেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। সন্তানকে তো আর ফিরে পাব না। আমাদের পরিবারের একজনকে চাকরি দিলে আমরা হয়তো একটু ভালোভাবে চলতে পারব।’ প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন। এছাড়াও পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলেও জানান তিনি।

এর আগে ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রংপুর শহরের লালবাগ এলাকায় থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিলেন। ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সংঘর্ষে নিহত হন পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালি ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ।

২২ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন