উইন্ডোজ ১১ থেকে দ্রুত ব্লোটওয়্যার মুছে ফেলার উপায়

মোহাম্মদ আসিফ

ব্লোটওয়্যার ছবি: মেক ইউজ অব

পার্সোনাল কম্পিউটার হোক বা ল্যাপটপ নতুন ডিভাইস কেনার পর সবাই পরিষ্কারভাবে ব্যবহার করতে চায়। স্মার্টফোনের মতো এসব ডিভাইসেও ব্লোটওয়্যার থাকে। বিশেষ করে উইন্ডোজ ১১তে এ সমস্যা বেশি। যে কারণে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্লোটওয়্যার মুছে ফেলার ইচ্ছা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

ব্লোটওয়্যার মুছে ফেলার আগে এটি সম্পর্কে জেনে নেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি কোন অ্যাপগুলো আনইনস্টল করতে হবে সে বিষয়েও জানতে হবে। প্রযুক্তিবিদদের ভাষ্যমতে, ব্লোটওয়্যার হচ্ছে সেসব অ্যাপ যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে। তবে উইন্ডোজ পিসিতে বর্তমানে এগুলো প্রিইনস্টলড থাকে। উইন্ডোজ ১১তে থাকা প্রচলিত কিছু ব্লোটওয়্যার হচ্ছে ওয়াননোট, মাইক্রোসফট টিমস ও ক্যান্ডি ক্রাশ। থার্ড পার্টি অ্যাপের মধ্যে রয়েছে ম্যাকাফি বা নরটনের মতো অ্যান্টিভাইরাস, নেটফ্লিক্স ও সিসি ক্লিনার। তবে চাইলে নির্ধারিত পন্থা অবলম্বন করে এসব ব্লোটওয়্যার কম্পিউটার থেকে অপসারণ করা সম্ভব।

সেটিংস থেকে ব্লোটওয়্যার অপসারণ: উইন্ডোজ ১১ থেকে ব্লোটওয়্যার মুছে ফেলার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে সেটিংস ব্যবহার। এ উপায়ে আনইনস্টল করাও সহজ। এজন্য প্রথমে কিবোর্ডের উইন্ডোজ ও আই বাটন একত্রে চাপ দিতে হবে। এটি সেটিংস অপশনে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে অ্যাপ সেকশনে প্রবেশ করলে সব অ্যাপের তালিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ নির্বাচন করে আনইনস্টল করে দিলেই সেটি মুছে যাবে। এ প্রক্রিয়ায় ম্যানুয়ালি সব অ্যাপ মুছে ফেলা যাবে। তবে ফটোজ, মাইক্রোসফট স্টোরসহ সিস্টেম অ্যাপ অপসারণ করা যাবে না।

আরেকটি উপায় হচ্ছে স্টার্ট মেন্যু থেকে অ্যাপ মুছে ফেলা। এজন্য স্টার্ট মেন্যুতে প্রবেশ করে অল অ্যাপসে ক্লিক করলে সব দেখা যাবে। এরপর  যেটি আনইনস্টল করার প্রয়োজন সেটিতে ক্লিক করে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কম্পিউটারের ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব অ্যাপ সচরাচর ব্যবহৃত হয় না সেগুলো স্টার্ট মেন্যুতে চলে আসে। ফলে এখান থেকে আনইনস্টল করা সহজ।

উইন১১ডিব্লোট ব্যবহার করে অ্যাপ মুছে ফেলা: যাদের অ্যাপ সম্পর্কে ধারণা নেই তাদের জন্য সহায়ক অ্যাপ হচ্ছে উইন১১ডিব্লোট। ফলে কোন অ্যাপগুলো অপসারণ করতে হবে সেটি না জানলেও অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো নির্ধারণ করে দেবে। গিটহাব থেকে অ্যাপটি নামানোর পর কম্পিউটারে ইনস্টল করতে হবে এবং অ্যাপের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্লোটওয়্যার মুছে ফেলতে হবে।

নতুন করে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করা: স্টার্ট মেন্যু, সিস্টেম সেটিংস বা উইন১১ডিব্লোট কোনোটিই যদি কাজ না করে সেক্ষেত্রে নতুন করে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করতে হবে। নতুন করে উইন্ডোজ দেয়া হলে সব অ্যাপই কম্পিউটার থেকে মুছে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় অ্যাপ ইনস্টল করে নেয়া যাবে। যদি কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল না করা হয় এবং কম্পিউটার খুব বেশি ব্যবহার না করা হয় সেক্ষেত্রে নতুন উইন্ডোজ সহায়ক হবে।

প্রযুক্তিবিদদের মতে, সাধারণত ব্লোটওয়্যার ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের জন্য খুব একটা ক্ষতিকর নয়। ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকলে বা কম্পিউটারের জায়গা দখল করার মাধ্যমে পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে কম্পিউটার চালু করা হলে এগুলো কার্যকর হয়ে যায়। তাই ব্যবহার করা হচ্ছে না এমন সব প্রিইনস্টলড অ্যাপ বা ব্লোটওয়্যার মুছে ফেলাই ভালো। মেক ইউজ অব অবলম্বনে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন