বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আইনের বর্তমান অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।’ সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুললে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আবেদনটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হয়। সেই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করে এ ব্যাপারটা। এর কারণ হচ্ছে এটা আইনের ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ উপধারা ১-এর ক্ষমতাবলে শর্তযুক্তভাবে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। সেটা প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা। এখন আইনের যে পরিস্থিতি তাতে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় তাহলে খালেদা জিয়ার আগে যে শর্তযুক্ত মুক্তি সেটা বাতিল করতে হবে। বাতিল করে সহাবস্থানে যাওয়ার পর আবার অন্য বিবেচনা করা...আইনের যে অবস্থান এখন সেই অবস্থানে যেটা করা হয়েছে, আমার মনে হয় আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো ঠেলাঠেলি নেই। আমি পরিষ্কার করেছি, যদি কোনো আবেদন আসে, সেই আবেদন সরাসরি আইন মন্ত্রণালয়ে করা যায় না, সেটাই আইন। সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হবে। আইন মোতাবেক সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এর মধ্যে ঠেলাঠেলির কী দেখলেন?’
সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের মতামত প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, যারা বলছেন তারা ডিএসএ ও সিএসএ পাশাপাশি রেখে পড়েননি।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এর পর থেকে ছয় মাস পরপর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।