গণআন্দোলনের ঢেউও তুলতে পারেনি বিএনপি —ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান নয়, গণআন্দোলনেরও ঢেউ তুলতে পারেনি বিএনপি। তাদের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। আন্দোলন শুধু দলের নেতাদের মধ্যে সীমিত। গতকাল গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বকশীবাজার নবকুমার ইনস্টিটিউটশন ডক্টর শহীদুল্লাহ কলেজ প্রাঙ্গণে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মতিউর রহমান মল্লিকের স্মরণে নির্মিত বেদিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ বিএনপি অভ্যুত্থানের কথা বলে। তাদের যে আন্দোলন এটা নিজেদের নেতাকর্মীদের আন্দোলন, এখানে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ভূখণ্ডের ইতিহাসে বাস্তবে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল একটি, সেটি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। নব্বইয়ের আন্দোলন ছিল গণআন্দোলন।

সময় বিএনপির বিভিন্ন দিবস পালন না করার প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ২৪ জানুয়ারি অভ্যুত্থান দিবস ছিল, স্বাধীনতার পথে চূড়ান্ত মাইলফলক। ঐতিহাসিক মাইলফলককেও তারা অস্বীকার করে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগ সেটাই মেনে নেবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা সব আসনে ইভিএম চেয়েছিলাম। এবারের নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা সব আসনে ইভিএমের দাবি করেছি। এখন সিদ্ধান্ত আমাদের না, আমরা শুধু দাবি করেছি। এখন ইসি যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তা মেনে নেব।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে দুটি ছাড়া ১৬৭টি আসনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল। বিজয়ী দলকে পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করায় বঙ্গবন্ধু এক দফায় চলে যান তা হলো স্বাধীনতা। আজকে অনেককেই স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করা হয়। কিন্তু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারো ছিল না। অন্যরা স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ছিল। এটাই হলো বাস্তবতা।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন