শীতের তীব্রতায় কুড়িগ্রামে বেড়েছে শিশু রোগী

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর ভিড় ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করলেও পৌষের শুরুতেই দ্রুত কমছে তাপমাত্রা। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে দরিদ্রদের। গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলায় সর্বনিম্ন ওঠানামা করছে ১১-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এতে বিকাল থেকে পরের দিন সকাল -৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে নেমে আসছে কনকনে ঠাণ্ডা। ফলে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। রেহাই পাচ্ছেন না বৃদ্ধরাও। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক সেবিকাদের।

সরজমিনে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায়, আন্তঃ বহির্বিভাগে বাড়তে শুরু করেছে রোগীর চাপ। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে। হাসপাতালের ডায়রিয়া শিশু ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট শয্যার বিপরীতে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অভিভাবকরাও।

জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী এলাকার শিশু রোগীর বাবা আরমান আলী জানান, ঠাণ্ডার কারণে তার সন্তানের ডায়রিয়া হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করার পর সামান্য উন্নতি হয়েছে। প্রতিটি শয্যায় দুই-তিনজন করে শিশু রোগীকে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

একই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা আনজু আরা বেগম বলেন, ঠাণ্ডা লেগে আমার বাচ্চা অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে এনে জানতে পারলাম নিউমোনিয়া হয়েছে। পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে আছি। এখনো সুস্থ হয়নি।

জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সিনিয়র স্টাফ নার্স কাকলী বেগম জানান, প্রতিদিনই শিশু ওয়ার্ডে ৪৮ শয্যার বিপরীতে ১২০ জনের মতো রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। শীত আসায় রোগীর চাপ বেড়েছে। একজন রোগীর সঙ্গে আবার দুই-তিনজন করে হাসপাতালে অবস্থান করছেন। এতে চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে।

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান শিপন জানান, হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ৪৮, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২ এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ৭৮ শয্যা রয়েছে। এসব শয্যার বিপরীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা তিন শতাধিক। আর প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে হাজার ৩০০ থেকে হাজার ৫০০ রোগী। শীতে রোগীর চাপ বাড়লেও সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন