উদ্ভাবনী তরুণদের ডিজিটাল পরিকল্পনার
প্রতিযোগিতা বাংলালিংক ইনোভেটর্সের ষষ্ঠ আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত
হয়েছে। এবারের আসরের তিন বিজয়ীর দলের নাম গ্র্যান্ড ফিনালেতে ঘোষণা করা হয়। মাননীয়
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস,
বাংলালিংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ
ও প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
জরুরি প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক রক্তদাতার
খোঁজ দিতে সক্ষম অ্যাপের ধারণা প্রণয়ন করেছেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থী
সুমাইয়া তাসনীম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিহা বিনতে ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
মো. ফারহান মাসুক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এহসানুল হক। তাদের দলের নাম উই শোড আপ।
দলটি মুঠোফোন সংযোগদাতা বাংলালিংক আয়োজিত ইনোভেটর্স প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
বিজয়ী হিসেবে দলের সদস্যরা নেদারল্যান্ডসের
আমস্টারডামে বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওনের কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। পাশাপাশি
দলটি বাংলালিংকের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামে যোগ দেয়ার সুযোগ পাবে।
প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে যথাক্রমে ‘দ্য কনট্রাইভার্স’ এবং ‘টিম
সুপারলেটিভস’ দল। বাংলালিংকের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামে যোগ দেয়ার
সুযোগ পাবে দল দুটির সদস্যরা।
বারো সপ্তাহব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় দেশের
নানা প্রান্তের প্রতিভাবান তরুণরা বুট ক্যাম্প, গ্রুমিং, ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য প্রশিক্ষণের
মাধ্যমে তাদের প্রতিভা বিকাশ ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পায়। চার সদস্যবিশিষ্ট মোট পাঁচটি
দল গ্র্যান্ড ফিনালেতে তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করে। পাঁচটি দলের মধ্যে থেকে সেরা
তিনটি দলকে নির্বাচিত করে গ্র্যান্ড ফিনালের জুরি বোর্ড।
চ্যাম্পিয়ন দল ‘উই শোড আপ’ বাংলালিংকের
পৃষ্ঠপোষকতায় নেদারল্যান্ডসের অ্যামস্টারডামে অবস্থিত বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী কোম্পানি
ভিওনের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছে। প্রথম রানারআপ দল ‘দ্য কনট্রাইভার্স’
ও দ্বিতীয় রানারআপ দল ‘টিম সুপারলেটিভস’-এর সদস্যরা পেয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার। এছাড়া
সেরা তিন দলের সব সদস্য বাংলালিংকের ফ্ল্যাগশিপ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামে
অংশগ্রহণ করতে পারবে। শীর্ষ পাঁচটি দলের সব অংশগ্রহণকারীকে
বাংলালিংকের অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে সুযোগ দেয়া হবে। তারা বাংলালিংকের
বিভিন্ন উদ্যোগ এবং প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবে, যা তরুণদের স্টার্ট-আপ এবং করপোরেট
অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন,
তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে পরিচালিত বাংলালিংকের বিভিন্ন উদ্যোগ তরুণদের উদ্ভাবনী
হতে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছে। এ কর্মসূচি থেকে পাওয়া শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা
নিজেদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে পারবে। বাংলালিংকের এ উদ্যোগের
ফলাফল দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত। আগামীতে আমি এটির আরো সাফল্য কামনা করি।
প্রথম আসর থেকে ইনোভেটর্সে এ পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি উদ্ভাবনী তরুণ অংশগ্রহণ করেছে।