অভিমত

চলমান অর্থনৈতিক সংকট কারণ ও প্রতিকার

আব্দুল্লাহ মাসুম

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির দুনিয়ায় এক নীরব সংকট বিরাজমান। উন্নত দেশগুলোয়ও চলছে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বসহ নানা অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা। সংকট অস্থিতিশীলতার পেছনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের একটি নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে বলে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। ইসলামী অর্থনীতিবিদগণের দৃষ্টিতে অস্থিতিশীলতা তৈরির পেছনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মূল কারণ নয়; বরং অন্তর্নিহিত মূল কারণগুলো অন্য কিছু। অথবা বলুন এটি কেবল একটি বাহ্যিক মোড়ক। এর ভেতরের উপাদানই মূল। সেগুলো হলো বিশ্বব্যাপী ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের চর্চা, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অদক্ষতা, সুদ ঋণভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা, দীর্ঘদিন সম্পদের অসম বণ্টন ব্যবস্থা প্রভৃতি। বিশেষত আমাদের দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির পেছনের মূল কারণ আরো ভয়াবহ। এখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব নামমাত্র।

আমাদের মনে রাখতে হবে, যেকোনো সংকট থেকে মুক্তির ধারাবাহিক ধাপগুলো হলো সংকট স্বীকার করা, সংকটের প্রকৃত কারণ উদ্ধার এবং এরপর উত্তরণের পথ বের করা। দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশে ধাপগুলো চরম অবহেলিত। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ সংকট স্বীকার করতেই রাজি নয়। প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান তো আরো পরের বিষয়। বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপর বাস্তবতা অর্থনীতির মৌলিক সূত্রের আলোকে এর থেকে উত্তরণের একটি পথ বাতলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ কোনো দল বা গোষ্ঠী আলোচনার লক্ষ্যবস্তু নয়, বরং প্রকৃত সমস্যা এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করাই এর মূল লক্ষ্য।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ: একজন ব্যক্তির যেমন চলার এবং প্রয়োজন নির্বাহের জন্য অর্থের প্রয়োজন, একটি কোম্পানির যেমন অর্থের প্রয়োজন হয়, একটি দেশেরও চলার জন্য, ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। সাধারণত একজন ব্যক্তি বা কোম্পানির অর্থ পকেট একটি থাকে, বিনিময় ক্ষেত্রও একটি থাকে।

কিন্তু একটি দেশের জন্য অর্থ পকেট থাকে মৌলিকভাবে দুটি। যথা-এক. রাজস্ব আয়। এটি সংগ্রহ হয় অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। বর্তমানে কর ভ্যাট এর প্রধান উৎস। তবে ইসলামী অর্থনীতিতে জাকাত, উশর, খারাজ, জাতীয় ফান্ড ইত্যাদি আছে। ন্যায্য কর সর্বশেষ উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে সেটিও এখনকার মতো ব্যাপক হয় না। এর সঙ্গে আছে অংশগ্রহণমূলক অর্থনীতি যেমনওয়াকফ, জাকাত প্রভৃতি।

ওই রাজস্ব ব্যয় হয় দেশের অভ্যন্তরীণ প্রয়োজন পূরণে। এর মধ্যে আছে সামাজিক অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো, সাধারণ সেবা খাত। এগুলোর মধ্যে সাধারণত ভৌত অবকাঠামো শীর্ষ ব্যয় খাত। ইদানীং অতিমাত্রায় ঘাটতি বাজেট, দুর্নীতি, টেক্স টু জিডিপি রেশিও কমে আসায় যুক্ত হয়েছে সরকারের সুদভিত্তিক ঋণ থেকে সুদ বাবদ ব্যয় ভর্তুকি। সম্প্রতি দুটিই এখন বাজেটের শীর্ষ ব্যয় খাত। বলার অপেক্ষা রাখে না, চলমান রাজস্ব নীতি ব্যয় খাত নানাভাবে অসংগতিপূর্ণ। এতে অর্থনীতির সুফল প্রত্যাশিত মাত্রায় গণমুখী হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ইসলামের রাজস্ব নীতি বেশ কার্যকর হবে বলে আমরা মনে করি।

দ্বিতীয় সম্পদ পকেট হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষিত হয়। রিজার্ভ সিংহভাগ হয়ে থাকে ডলারে, বরং ডলার- প্রধান রিজার্ভ উপাদান। এর পাশাপাশি স্বল্প পরিমাণে ইউরো, ইয়েন, পাউন্ড স্বর্ণ থাকে। বৈদেশিক মুদ্রার জাতীয় রিজার্ভ একটি দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মাধ্যমে দেশের মুদ্রার মান নির্ণীত হয়। বৈদেশিক যাবতীয় অর্থনৈতিক লেনদেন এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। শুধু বাংলাদেশ বলে কথা নয়; বর্তমান বৈশ্বিক আর্থিক লেনদেনের প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকে ডলারে। এর অর্থ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ওই সম্পদ পকেট সংরক্ষিত হয় ডলারে। সুতরাং এক দেশ থেকে অন্য দেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানিসহ যাবতীয় পেমেন্ট, আদান-প্রদান নিষ্পত্তি হবে ডলারে। ধরুন আপনার দেশে জ্বালানি তেলের সংকট। পরিবহন সেক্টর থেমে আছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন থেমে আছে। অন্য দেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হবে। আপনার একমাত্র উপায় ডলার।

অতএব বুঝতেই পারছি ডলারভিত্তিক রিজার্ভের নগদ প্রবাহ আমাদের অর্থনীতিতে কতটা প্রয়োজনীয় উপাদান।

একটি দেশ কখন দেউলিয়া হয়? ডলারের প্রবাহ যখন কমে যায়।  আমদানি করতে পারবে না, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না। এতে দেশে মুদ্রাস্ফীতি চরম আকার ধারণ করবে। উৎপাদন ব্যাহত হবে। খাদ্যমূল্য বেড়ে সংকট তীব্র হবে। জীবনমান কঠিন হয়ে যাবে। এককথায় পুরো অর্থনীতিই ভেঙে পড়বে। বেইল আউট ঘোষণা দিয়ে দেউলিয়াত্ব বরণ করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা তখন খোলা থাকবে না।

সুতরাং চলমান অর্থনীতির ব্লাড আমাদের ডলার রিজার্ভ। রিজার্ভ আসে বৈদেশিক নানা সোর্স থেকে। আর ব্যয় হয় বৈদেশিক লেনদেনে। যেমনআমদানি মূল্য, ভ্রমণ, বিদেশে পড়াশোনা, ঋণ আদায় ইত্যাদি।

ওই দুটি সম্পদ পকেটের মধ্যে দ্বিতীয়টিই প্রধান। এটি ব্যাহত হলে প্রথম সম্পদ পকেট নিশ্চিতভাবে ধসে পড়বে।

আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ হিসাব করে দুটি পদ্ধতিতে। এক. গ্রস হিসাব। দুই. নিট হিসাব। গ্রস হিসাবে রিজার্ভের নানা পাওনাও যুক্ত থাকে। তবে নিট হিসাবে তা থাকে না। রিজার্ভ ভলিয়ম প্রকাশ করা হয় গ্রস হিসাবে। নিট হিসাবে নয়। এর অর্থ যা প্রকাশ করা হয়, নিট হিসাবে বাস্তবে তা আরো কম হয়। এজন্য সম্প্রতি আইএমএফ এভাবে রিজার্ভ হিসাব প্রকাশ করতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী চলতি বছরের গত জুলাইয়ে ফরেইন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ ছিল হাজার ৯৪৯ কোটি ডলার (৩৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন) (প্রথম আলো ২৮ জুলাই, ২০২২) এটি গ্রস হিসাব।  এর অর্থ এর পুরোটা ব্যবহারযোগ্য নয়। এতে নানা রিসিভেবলস যুক্ত আছে। বিভিন্ন খাতে রিজার্ভ থেকে দেয়া আছে বিলিয়ন ডলার, যা চাইলেই সহজে ফেরত পাওয়া যাবে না। যেমন ইডিএফ খাতে আছে বিলিয়ন ডলার। জিটিএফ- আছে ২০ কোটি ডলার। এলটিএফএফে আছে কোটি ৮৫ লাখ ডলার। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পায়রা বন্দরে দেয়া আছে ৬৪ কোটি ডলার। বাংলাদেশ বিমান খাতে দেয়া আছে কোটি ৮০ লাখ ডলার। (মোট ৭৯২ কোটি ডলার, প্রায় বিলিয়ন ডলার)

সুতরাং নিট হিসাবে আমাদের মুহূর্তে দেশে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ হাজার ১০০ কোটি বা ৩১ বিলিয়ন ডলার। (প্রথম আলো ২৮ জুলাই, ২০২২ দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ৩১ বিলিয়ন ডলার)

রিজার্ভ উৎস: রিজার্ভের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উৎস কি? কী কী খাত থেকে রিজার্ভ সমৃদ্ধ হয়? ব্যাপারে সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মোট তিনটি সোর্স থেকে আমাদের রিজার্ভ সমৃদ্ধ হয়। যথা ) রফতানি আয়। গত অর্থবছরে (২০২১-২২) আমাদের রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৮ দশমিক বিলিয়ন ডলারের পণ্য, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড। তবে এর সঙ্গে দুটি তথ্য যুক্ত করতে হয়। প্রথমত, এত বিশাল পরিমাণ পণ্য রফতানি থেকে প্রত্যাশিত মাত্রায় বৈদেশিক মুদ্রা আসেনি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জাহাজীকৃত পণ্যের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে থাকে। আর এর বিপরীতে কী পরিমাণ আয় এসেছে, তা হিসাব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠান দুটির প্রায় তিন বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, সময় রফতানীকৃত পণ্যের বিপরীতে অপ্রত্যাবাসিত অর্থের পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলছে।

বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, নানা কারণে প্রত্যাবাসিত অর্থের পরিমাণ কম হতে পারে। তবে তা কোনোভাবেই ১০ শতাংশের বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। এর বেশি হলে তা অর্থনীতির জন্য সুখকর হবে না। দুঃখজনকভাবে বর্তমান অর্থবছরে তা দ্বিগুণ হতে যাচ্ছে।

এর পেছনে বাণিজ্য কারসাজি বা অর্থপাচারের যে সম্পর্ক নেই তা কি উড়িয়ে দেয়া যাবে? ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ কি যথেষ্ট সন্তোষজনক?

গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ট্রিগ্রিটি (জিএফআই) তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাচার হয়। বর্তমান বাজারদরে (১০০ টাকায় প্রতি ডলার) এর পরিমাণ ৭৫ হাজার কোটি টাকারও অধিক।

গড় অর্থ পাচারের হিসাবে ১৩৫টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩৩তম। (দৈনিক প্রথম আলো, ১১ জুলাই ২০২০, টাকা পাচার কেন করে, কীভাবে করে)

দ্বিতীয়, যে তথ্যটি যুক্ত করা দরকার, এত বিশাল অংকের রফতানি হওয়া সত্ত্বেও রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। আমদানি ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলার। এতে ব্যালান্স অব ট্রেডে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ৩২ বিলিয়ন ডলার।

) রেমিট্যান্স প্রবাহ। একে সেকেন্ডারি ইনকাম বলে। গত অর্থবছরে (২০২১-২২) আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের জুনের হিসাব অনুযায়ী ওই মাসে মাত্র বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসে। অথচ নানা দেশে আমাদের শ্রমিক আছে এক কোটিরও অধিক। আমরা দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক প্রেরণ করি। তাও বিশেষ কোনো দক্ষতা তৈরি করে নয়। আমরা খুব কমই একজন সিইও, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ইমাম, আলেম, গবেষক, শরীয়াহ কনসালট্যান্ট পাঠাতে পারি। একজন সিইও পাঠানো আর ২০ জন শ্রমিক পাঠানো সমান নয়। দুটি পক্ষের রেমিট্যান্স প্রবাহে তফাৎ থাকবে।

তাছাড়া বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার যেসব পন্থা রয়েছে, তাও নানাভাবে তুলনামূলক সহজলভ্য করা হয়নি। দেখা যায়, ব্যাংক একাউন্ট না থাকায় প্রবাসী আত্মীয় ব্যাংক ব্যবহার করতে পারে না। আবার ব্যাংক একাউন্ট থাকলেও সেটি তার দোরগোড়ায় থাকে না।  

এমএফএস যেভাবে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার পথও সেভাবে আমরা সহজ করতে পারিনি। এসব নানা অদক্ষতা অব্যবস্থাপনার কারণে আমাদের রেমিট্যান্স বৈধ পথে আসছে কম। 

) প্রাইমারি ইনকাম। এর দ্বারা বোঝানো হয়, দেশের নির্দিষ্ট দক্ষ কোনো ব্যক্তি বা অর্থনৈতিক কোনো ক্ষেত্রকে বহির্বিশ্বের কাজে সুকৌশলে ব্যবহার করা। যেমন বড় কোনো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা ধরনের কোনো দক্ষ ব্যক্তিকে যথাযথ মূল্যায়ন করে বহির্বিশ্বে প্রেরণপূর্বক তার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা। পদ্ধতিতে সাধারণত উন্নত দেশগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। আমাদের দেশে কয়েক বছর ধরে খাত থেকে কোনো ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়নি, বরং উল্টো দশমিক বিলিয়ন ডলার মাইনাস হয়েছে। (২০২১-২২ অর্থবছর) যারা দেশে জব করেন, তবে থাকেন বিদেশে, তাদের পাওনা মূলত মাইনাসে যুক্ত আছে। গত ২০২০-২১ খাত থেকে আমাদের কোনো অর্জন নেই, বরং মাইনাস হচ্ছে। একে নেগেটিভ প্রাইমারি ইনকাম বলা হয়।

তাহলে দেখা যাচ্ছে আমাদের রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা জমা হওয়ার প্রকৃত প্রধান শীর্ষ সোর্স মাত্র দুটি। যথা. রফতানি আয়, . রেমিট্যান্স।

রিজার্ভ ব্যয় ঘাটতি সৃষ্টি: নানা কারণে দেশের জাতীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস হয়। আমাদের পর্যবেক্ষণে এক্ষেত্রে দুই ধরনের উপাদান সক্রিয়। এক ধরনের উপাদান প্রত্যক্ষভাবে রিজার্ভ হ্রাসে সক্রিয়। ধরনের উপাদান মোট তিনটি। যথাআমদানি ব্যয় বাণিজ্য ঘাটতি, অর্থপাচার, ব্যালান্স অব পেমেন্ট কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঘাটতি।

আরেক ধরনের উপাদান পরোক্ষভাবে সক্রিয়। যেমন অদক্ষতা দুর্নীতি, বৈদেশিক ঋণ বা মেগা প্রজেক্ট, নেগেটিভ প্রাইমারি ইনকাম। সব মিলিয়ে মোট ছয়টি অর্থনৈতিক উপাদান রিজার্ভ ঘাটতিতে ভূমিকা রাখছে। [চলবে]

 

আব্দুল্লাহ মাসুম: সিএসএএ, অ্যাওফি, বাহরাইন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন