ভারতের চাওয়াকে প্রাধান্য দেয়ায় চীন আমাদের ওপর নাখোশ হতে পারে

ছবি : বণিক বার্তা

মো. তৌহিদ হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর (প্রথম শ্রেণীতে প্রথম) ডিগ্রি লাভের পর প্যারিসের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে বাংলাদেশ হাইকমিশন দিল্লি ও কলকাতায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৬-০৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক চীন সফর ও বিভিন্ন ভূরাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে ১৫ জুলাই, ২০২৪ কথা বলেন বণিক বার্তায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবিদিন ইব্রাহিম

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা ছিল তিস্তা প্রকল্প, রোহিঙ্গা সমস্যা, বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক, এ দেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে কিছু আশাব্যঞ্জক খবর আসবে। সার্বিক বিবেচনায় আমাদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সংযোগ কতটুকু?

আমি এ সফরকে দুটি বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা করতে চাই—একটি হলো তিস্তা প্রকল্প, অন্যটি হলো আমাদের যে আর্থিক সংকটগুলো বর্তমানে বিরাজমান তা থেকে উত্তরণের উপায় সন্ধান। ব্যবসা-বাণিজ্যকে আমি এ ব্যাখ্যা থেকে বাদ রাখতে চাই, যেহেতু চীনে বাংলাদেশের বাজার সম্প্রসারণ হুট করে সম্ভব নয়। কারণ সেখানে আমাদের জন্য রফতানি বাজার নেই। আমরা যেসব পণ্য উৎপাদন করি সেগুলো চীনেও উৎপাদন হয়। আর আমরা যে গার্মেন্ট পণ্য রফতানি করি বা অন্য যেসব পণ্য রফতানি করি সেসব উৎপাদন ও রফতানিতে চীন মানে ও পরিমাণে অনেক এগিয়ে। সুতরাং তারা কেন নিজের চেয়ে কম মানসম্পন্ন পণ্য বেশি দাম দিয়ে আমাদের থেকে কিনবে? আবার চীনা শ্রমিকের গুণগত মান ও উৎপাদনশীলতা আমাদের দেশের শ্রমিকের চেয়ে অনেক বেশি। তবে এটার ভালো-মন্দ উভয় দিকই রয়েছে। মন্দ দিকটা হলো তারা ভূতের মতো খাটছে আর ভালো দিক হলো তারা আরো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। সেক্ষেত্রে চীনে যেসব পণ্যের চাহিদা আছে সেগুলো যথাযথ  যদি আমরা তৈরি করতে পারতাম তাহলে আমরাও সেখানে রফতানি করতে পারতাম, যেভাবে ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের কাপড়ের চাহিদা ও বাজার আছে বলে সেখানে আমরা রফতানি করছি। যদিও সেখানে আরো অনেক পণ্যের বাজার আছে যেগুলো আমরা সরবরাহ করতে পারছি না। ভারতের মতো দেশেরও কিন্তু চীনের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। সুতরাং চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই বাণিজ্যের চেয়ে তিস্তা চুক্তি ও আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের প্রত্যাশা থাকাটা বরং বেশি সংগত।

তিস্তা নিয়ে চীন সফরের আগেই আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, এরপরে নতুন করে আর কিছু বলার থাকে না। এটা পরিষ্কার যে ভারতের এখানে স্বার্থ রয়েছে; ভারত এখানে চীনের উপস্থিতি চায় না। তারা এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে শুরু থেকেই। সুতরাং এ চুক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। 

এবার আর্থিক সহায়তা নিয়ে বলা যাক। এক্ষেত্রে আমি অন্তত চিন্তা করেছিলাম, তিস্তা চুক্তি না হলেও একটা আর্থিক সহায়তা আসবে। যদিও একটা ক্ষুদ্র পরিমাণ আর্থিক সহায়তা আমরা পেয়েছি এবং আরো পাওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও সে কথা বলেছেন যে কমপক্ষে ২ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা আমরা পাব। তবে এই পরিমাণও প্রত্যাশার তুলনায় কম; সব মিলিয়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের কথা শোনা যাচি। অর্থাৎ তিস্তা ও আর্থিক সহায়তা—এ দুটি প্রধান বিষয়ে খুব বেশি অর্জন আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চীন থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ঋণসহায়তা আসতে পারে। এ ব্যাপারে আপনি কী আশাবাদী?

আমার মনে হয়, চীনের নিজস্ব হিসাব-নিকাশের পাল্লাও এখানে ধর্তব্যের ব্যাপার। তিস্তা প্রকল্পের প্রসঙ্গ এখানে ক্রিয়াশীল ও যৌক্তিক। যখন আমরা তিস্তা সংকট সমাধানের পরিকল্পনা নিই যে যেহেতু ভারত আমাদের পানি দিচ্ছে না, তাই সমস্যা নিরসনে আমরা যদি কিছু পানি আটকে রাখার ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে তাতে সাময়িক বা আংশিক সমাধান আসবে। তিস্তার পানি আটকে রাখার জন্য প্রযুক্তি ও বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা যখন হাত নেয়া হয় তখন আমরাই চীনকে নিজে থেকে এ প্রকল্পে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিই। কারণ, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক সুবিধা আমাদের নেই। চীনও সেখানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে সেই আগ্রহ শুধু যে আমাদের উপকার করার জন্য তা নয়, বরং এখানে চীনের অনেক স্বার্থও বিদ্যমান—আর্থিক স্বার্থ, বিনিয়োগ ক্ষেত্রসহ আরো নানা দিক রয়েছে।  

চীনের সহায়তায় এ প্রকল্প যদি আমরা শুরু করি তাহলে অবকাঠামো নির্মাণ ও বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় লাগবে; কমপক্ষে চার-পাঁচ বছর। আর প্রকল্পের খুব কাছেই ভারতের সীমান্ত, এখানে নিজেদের উপস্থিতি যতই বাণিজ্যিক বা বেসামরিক হোক, চীনের জন্য একটি অনুকূল ব্যাপার হতো। সুতরাং প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করা সম্ভব হলে চীন নিজ থেকেই আমাদেরকে আর্থিক প্রণোদনা দিত। 

আর ভারত নিজেদের সীমান্তের এত কাছে চীনের উপস্থিতি চাচ্ছে না। সেজন্যই যে তিস্তা প্রকল্প থেকে আমরা পিছিয়ে এসেছি সেটা চীনও বোঝে। এখানে আমরা উভয়সংকটে পড়েছি। কারণ যে ভারতের কারণেই এ সংকটের সৃষ্টি, সেই ভারত যদি শুকনো মৌসুমে আমাদের পানি দিত তাহলে প্রকল্পটির প্রয়োজনই পড়ত না। কিন্তু ভারত তিস্তার পানি শুকনো মৌসুমে আটকে রাখছে আবার বর্ষায় ছেড়ে দিচ্ছে বলেই আমরা তিস্তা নিয়ে সংকটে পড়েছি। তারা যদি শুকনো মৌসুমে আমাদের অর্ধেক পানি দিত তাহলে আমাদের সমস্যার অনেকাংশ সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু সেটি করতে তারা সম্মত নয়। আবার আমাদের চীনের সাহায্য নিয়ে সংকট সমাধানেও তারা বাধা দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা ভারতের চাওয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছি। যে কারণে চীন আমাদের ওপর নাখোশ হতে পারে। হতে পারে সেজন্য তারা আমাদেরকে আর্থিক সহায়তার মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে।

চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেখানে আমাদের ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। আবার সরকার চীনকে আমাদের কাছ থেকে কৃষিপণ্য, চামড়া, ওষুধসহ আরো বেশি পণ্য আমদানির অনুরোধ জানিয়েছে। বাণিজ্য অংশীদারত্বের এমন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন আমরা চীনে রফতানি বাড়াতে পারছি না?

এর কারণ হলো আমাদের তেমন রফতানিযোগ্য পণ্য নেই। আমাদের প্রধান রফতানি পণ্য হলো তৈরি পোশাক। কিন্তু চীন এ শিল্পে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত। গার্মেন্ট পণ্য দিয়ে চীনের বাজার দখল করা যাবে না যেখানে চীনই সারা বিশ্বের গার্মেন্ট বাজার দখল করে বসে আছে। এছাড়া শুরুতেই বলেছি তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি উৎপাদনশীল ও মানসম্পন্ন। গার্মেন্ট পণ্য রফতানিতে তারা বিশ্বে প্রথম আর আমরা তৃতীয়, কাজেই চীনে তৈরি পোশাক রফতানির প্রত্যাশা অমূলক। কিন্তু চীনের বাজার বিশাল। সেখানে অন্যান্য অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে যেগুলো তারা অন্য দেশ থেকে আমদানি করে। তাদের বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সেসব পণ্য যদি আমরা উৎপাদন করতে পারি তাহলে আমরাও তাদের রফতানি বাজার ধরতে পারব এবং বাণিজ্য করতে সক্ষম হব। কারণ, চীনের পক্ষ থেকে তো বাধা নেই আমাদের পণ্য নিতে। চীনে পণ্য রফতানিকারক দেশের চেয়ে আমরা যদি অধিক গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য তুলনামূলক কম দামে পাঠাতে পারি তাহলে তারা অবশ্যই সেটি আমদানি করবে। আমরা এ রকম পণ্য উৎপাদন করতে ও রফতানি করতে পারিনি সেটি আমাদের ব্যর্থতা।

দেশে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। চীন সফরে এ নিয়ে অগ্রগতি দেখছেন কি? 

রোহিঙ্গা সংকটে চীন বরাবরই মিয়ানমারের পক্ষ অবলম্বন করেছে, আমাদের পক্ষ নয়। যদিও আমরা চীনের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। সেজন্য কিছুটা প্রত্যাশা ছিল। যদিও এক্ষেত্রে চীন নিজস্ব স্বার্থই উদ্ধার করতে চেয়েছে, আমাদের বিবেচনায় রাখেনি। অবশ্য এ বিষয়ে চীনের অবস্থান অবাক করার মতো কোনো বিষয় নয়। কেননা সব দেশই প্রথমে নিজস্ব স্বার্থকে গুরুত্ব দেবে এটাই স্বাভাবিক। এ প্রসঙ্গে চীন বলেছে যে প্রয়োজনে তারা আরাকান আর্মির সঙ্গে কথা বলবে। এটিকে আমি ইতিবাচক ফল হিসেবে দেখতে চাই। কারণ এখানেই মূল সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবেও আমি মনে করি, আরাকানিদের সঙ্গে আমাদের আলোচনার টেবিলে বসা উচিত। আনুষ্ঠানিকভাবে না হোক,  অনানুষ্ঠানিকভাবে হলেও আমাদের ওদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে, ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। নয়তো এ সংকট নিরসন সম্ভব নয়। মিয়ানমারের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সংকট কেবল রাখাইন নিয়ন্ত্রণকারী আরাকানি বিদ্রোহী গোষ্ঠীই সমাধান করতে পারে। কারণ গৃহযুদ্ধ আজ বা কাল শেষ হবেই। তাছাড়া দীর্ঘকাল ধরেই মিয়ানমারের বিভিন্ন অংশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব এসব অংশের বিদ্রোহী ও জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর নিজস্ব বাহিনীই নিয়ন্ত্রণ করছিল। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হলেই এসব রাজ্যের ক্ষমতা এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতেই চলে যাবে এবং বলা হচ্ছে এক ধরনের ফেডারেশন গড়ে উঠবে। ফলে রাজ্যগুলোর প্রভাবশালী গোষ্ঠীরাই নির্ধারণ করবে কারা সেখানে বসবাস করবে, কারা করবে না। সেই হিসেবে আরাকান রাজ্যে আরাকান আর্মির যে কোয়ালিশন আছে তাদের হাতেই রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব থাকবে। এছাড়া মিয়ানমারের সব বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর মধ্যে আরাকান আর্মিই সবচেয়ে শক্তিশালী ও সামরিকভাবে সংগঠিত। অফিশিয়ালি এখনো তারা ‘স্ট্যাটাস কো’-তে অবস্থান করছে। সেজন্য আরাকান আর্মিকে বাদ দিয়ে শুধু সেনা সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা বা সমাধান কাজে আসবে না। আমাদেরই উচিত আরাকান আর্মির সঙ্গে কথা বলার প্লাটফর্ম তৈরিতে উদ্যোগ নেয়া। এ সফরে চীনও এ বিষয়ের ওপরই আলোকপাত করেছে। সেজন্য আমি মনে করি, চীন যদি সত্যিই ভালো অভিপ্রায় নিয়ে আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ ও তাদের আলোচনার টেবিলে বসার বিষয়টি উত্থাপন করে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি ভবিষ্যতের নিরিখে এ সফরে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তির জায়গা হবে। 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ও সার্বিক সমাধান এত প্রলম্বিত হচ্ছে এটার কারণ কী? 

এর অন্যতম কারণ রোহিঙ্গারা বেশ বড় একটা জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমার যেসব জাতিগোষ্ঠীতে বিভক্ত তাদের অধিকাংশই রোহিঙ্গাদের চেয়ে সংখ্যায় অনেক কম। দুর্ভাগ্যক্রমে রোহিঙ্গারা এমন একটি অঞ্চলের অধিবাসী যেখানে আরেকটি প্রধান ও প্রভাবশালী জনগোষ্ঠী আছে। যেমন—চিন রাজ্যে চিনরাই  সংখ্যাগরিষ্ঠ, কাচিন রাজ্যে কাচিনরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গারা সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, সেখানে আরাকানিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ও কর্তৃত্বপরায়ণ। এটা হলো মুশকিলের জায়গা। 

দ্বিতীয়ত, মিয়ানমারে ছোট-বড় প্রায় সব নৃগোষ্ঠীর মধ্যেই বিদ্রোহ রয়েছে অর্থাৎ তাদের হাতে অস্ত্র আছে। রোহিঙ্গারা একমাত্র গোষ্ঠী যাদের হাতে অস্ত্র নেই। অল্পসংখ্যক মানুষের হাতে অস্ত্র রয়েছে যারা সাধারণত অপরাধী এবং এই অস্ত্র ব্যবহার করে তারা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আরসা তাদেরই সংগঠন। আরসা অস্ত্র ধারণ করেছে তাদেরই পক্ষে যারা তাদের জাতিগোষ্ঠীকে নিপীড়ন ও বিতাড়িত করেছে। আমি পাঁচ বছর আগে বলেছি, আবারো বলছি আরসা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সুবিধা করার জন্য যা যা করা দরকার তারা তা-ই করেছে। তারা তাতমাদোর সহযোগী ও সমর্থক। তাতমাদোর এই সহযোগী সন্ত্রাসীরা নিজেদের গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা না করে বরং এরা আরো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য আরাকানি জাতিগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন এবং সাধারণ রোহিঙ্গাদের কাছে অস্ত্র না থাকায় তারা রাখাইন রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

শ্রুতলিখন: সুস্মিতা হোসেন স্বর্ণালী

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন