ইউক্রেন থেকে রওয়ানা দিয়েছে আরো দুটি শস্যবাহী জাহাজ

ছবি: রয়টার্স

সোমবার ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর থেকে রওয়ানা দিয়েছে ভুট্টা এবং সয়াবিন বহনকারী আরো দুটি জাহাজ। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে আজ দুটি শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেন ছেড়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, ইউজানি থেকে ছেড়ে আসা দ্য সাকুরা জাহাজটি ১১ হাজার টন সয়াবিন ইতালিতে নিয়ে যাচ্ছেতুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, অন্য জাহাজটি দক্ষিণ তুরস্কের ইস্কেন্ডারুনে ৪৮ হাজার ৪৫৮ টন ভুট্টা নিয়ে যাচ্ছে।

 

এর আগে খাদ্যসামগ্রী বোঝাই চারটি জাহাজ ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ওডেসা বন্দর থেকে ছেড়ে যায়। ইউক্রেনিয়ান সি পোর্ট অথরিটি সূত্রে জানা যায়, এ জাহাজগুলোয় রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টন ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য।

 

এপির খবর অনুসারে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে লেবাননের মতো দেশে যে খাদ্য সরবরাহে সংকট পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, এসব জাহাজ ইউক্রেন বন্দর ছেড়ে আসায় সে পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কারণ খাদ্য সরবরাহের জন্য কেবল কৃষ্ণসাগরেরই ওপর নির্ভর করে লেবানন। সেখানে পণ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১২২ শতাংশ।

 

যুদ্ধের কারণে দুই কোটি টন খাদ্যশস্য ইউক্রেনের অভ্যন্তরে আটকা পড়েছিল। গত সোমবার দ্য রাজোনি নামের জাহাজের ইউক্রেন বন্দর ছাড়ার মধ্য দিয়ে খাদ্য সরবরাহ সংকট থেকে উত্তরণের দিকে কিছুটা এগিয়ে গেল বিশ্ব। এসব শস্য বিভিন্ন খামার ও বেকারিতে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার কিছু অংশের দরিদ্র মানুষের খাদ্যে পরিণত হবে। তবে এখনই সব সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে না।

 

ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য সরবরাহ শুরু হওয়াকে বিশ্বের জন্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। যুদ্ধ শুরুর পর গত শনিবারই প্রথম বিদেশী পতাকাবাহী কোনো জাহাজ ইউক্রেনের বন্দরে ভিড়েছে, যেটি ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য পরিবহন করতে এসেছে। দেশটির অবকাঠামো-বিষয়ক মন্ত্রী ওলেজান্দার কুবরাকভ বলেন, আমরা ধীরে ধীরে কাজের পরিমাণ বাড়াচ্ছি। ভবিষ্যতে যেন বন্দরগুলো মাসে অন্তত ১০০ জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের কাজে সমর্থ হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছি। এজন্য নতুন নতুন বন্দরকে যুক্ত করার কথাও ভাবা হচ্ছে।

 

যুদ্ধ শুরুর আগে, ইউক্রেন ও রাশিয়া মিলে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ গম রফতানি করত। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ইস্তানবুলে অবস্থিত একটি জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (জেসিসি) মাধ্যমে শস্য রফতানির কাজ শুরু হয়েছে; যেখানে রাশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে কাজ করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন