![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_304107_1.jpg?t=1722042188)
২০২২ সালের শেষ নাগাদ চিপনির্ভর ই-পাসপোর্ট আনতে পারে টাটা কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস (টিসিএস)। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর ইটিটেলিকম।
টিসিএসের পাবলিক সেক্টর বিজনেস বিভাগের প্রধান তেজ ভাটলা বলেন, প্রকল্পটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার এবং একটি ডাটা সেন্টার তৈরিতেও প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। সম্প্রতি পাসপোর্ট তৈরিতে সরকারের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে, এটি তার দ্বিতীয় ধাপ।
ভাটলা আরো বলেন, মন্ত্রণালয় চলতি বছর পাসপোর্টটি চালুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এবং সেটি বাস্তবায়নে কাজ করছে। এটি কার্যকর হয়ে গেলে নতুন পাসপোর্টগুলো হবে চিপনির্ভর। বর্তমানে বাজারে যেগুলো প্রচলিত রয়েছে সেগুলোয় পর্যায়ক্রমে নতুন চিপ সংযোজন করা হবে। তিনি আরো বলেন, বিশ্বজুড়ে চলমান চিপ সংকটের কারণে নতুন ধরনের ই-পাসপোর্ট বাজারে আনার সময়ও পিছিয়ে গেছে।
ভাটলা জানান, নতুন পাসপোর্টের জন্য যেসব সেবা কেন্দ্র চালু করা হবে, সেগুলোয় দ্রুতগতি ও উন্নত সেবা প্রদানে আধুনিকভাবে গড়ে তোলা হবে। জানুয়ারিতে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের জন্য টিসিএসের সঙ্গে মন্ত্রণালয় ৬ হাজার কোটি রুপির ১০ বছরের চুক্তিটি নবায়ন করেছে। তবে বাজেট আলোচনায় সরকার জানায়, তারা চিপভিত্তিক ই-পাসপোর্ট চালু করবে। এটি এখন পর্যন্ত দেশটির সবচেয়ে বেশি জটিল ই-গভর্ন্যান্স প্রোগ্রাম। রাজস্বের দিক থেকে ভারতের অন্যতম বড় সফটওয়্যার পরিষেবা প্রতিষ্ঠান টিসিএস ইন্ডিয়া পোস্ট ও আইআরসিটিসির জন্য অনুরূপ বিষয়গুলোর সমাধান দিয়ে থাকে। ভাটলা আশা প্রকাশ করে বলেন, সেমিকন্ডাক্টরের বৈশ্বিক সংকট ই-পাসপোর্ট প্রকল্পে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন, সরবরাহ চেইনের যে সংকট, তা স্বাভাবিকভাবেই সবকিছুতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এমনকি পাসপোর্ট সেভা ভার্সন ২-এর জন্য আমাদের সম্পূর্ণ নতুন ডাটা সেন্টার স্থাপন করতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যমান দুটি সেন্টারও আপডেট করতে হবে। ফলে বাইরে থেকে এসব কাজের জন্য যেসব যন্ত্রাংশ আসছে, আমরা সেগুলোর ওপর নির্ভরশীল।