আসিফ সালেহ ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক। ২০০১ সালে ব্র্যাকে যোগদানের পর থেকে অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ, ইনফরমেশন টেকনোলজি, কমিউনিকেশন এবং সোশ্যাল ইনোভেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন এবং প্রয়োজনীয় নেতৃত্ব দেন। ব্র্যাকে যোগদানের আগে আসিফ সালেহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির পলিসি স্পেশালিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া গোল্ডম্যান স্যাক্সে তিনি দীর্ঘ ১২ বছর কাজ করেছেন এবং নিউইয়র্ক ও লন্ডনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ মেয়াদে তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া গ্ল্যাক্সো ওয়েলকাম, আইবিএম ও নরটেলের সঙ্গেও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ২০১৩ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইয়ং গ্লোবাল লিডার নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে তিনি এশিয়া ২১-এর ফেলো নির্বাচিত হন। ব্র্যাকের সুবর্ণজয়ন্তী, করোনা-পরবর্তী সামাজিক চ্যালেঞ্জ, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এনজিওগুলোর কার্যক্রমসহ নানা বিষয়ে বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এমএম মুসা
৫০ বছর পার
করল ব্র্যাক। এ সময়ে
স্যার ফজলে
হাসান আবেদের স্বপ্ন কতটা
পূরণ হয়েছে?
৫০
বছর
পর
স্যার
ফজলে
হাসান
আবেদের
স্বপ্ন
কতটা
পূরণ
হয়েছে
সে
প্রসঙ্গে
আমি
বলব,
ব্র্যাক
সবসময়
চেষ্টা
করেছে
বৈষম্য
কমাতে।
বৈষম্যমুক্ত
পৃথিবী
ব্র্যাকের
ভিশন,
যা
একদিনে,
এক
বছরে
বা
৫০
বছরে
অর্জন
সম্ভব
নয়।
এখানে
পদ্ধতিগত
জটিলতা
রয়েছে।
তার
পরও
আমি
বলব
যে,
বাংলাদেশের
উন্নয়ন
অন্য
অনেক
দেশের
তুলনায়
সুষম
হয়েছে।
এর
অন্যতম
কারণ
ব্র্যাকের
মতো
সামাজিক
সংগঠনগুলো
কাজ
করেছে
বলে।
একেবারে
প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীর
কাছে
ব্র্যাক
তার
সেবা
নিয়ে
যেতে
পেরেছে।
এ
সামাজিক
চ্যালেঞ্জ
মোকাবেলায়
বাংলাদেশ
আগের
তুলনায়
অনেক
ভালো
করেছে
বলে
বর্তমানে
বিভিন্ন
সামাজিক
সূচকে
অনেক
দেশের
তুলনায়
এগিয়েছে।
যেমন
গড়
আয়ু,
শিশুমৃত্যু
হার,
মাতৃমৃত্যু
হার,
নারী
শিশুদের
স্কুলে
যাওয়া,
শিক্ষায়
অংশগ্রহণ
বৃদ্ধি,
কর্মসংস্থানে
যোগ
দেয়া
ইত্যাদি
সূচকে
বাংলাদেশের
অবস্থান
ভালো।
কিন্তু
৫০
বছরে
এসে
যে
স্বপ্নটা
আমাদের
এখনো
পূরণ
হয়নি
এবং
এখনো
অনেক
কাজ
বাকি
তা
হচ্ছে
নারীর
পূর্ণাঙ্গ
ক্ষমতায়ন
প্রতিষ্ঠা।
আজও
সমাজের
নারীদের
পুরুষতান্ত্রিক
দৃষ্টিভঙ্গি
দিয়ে
দেখা
হয়।
এক্ষেত্রে
সমতা
প্রতিষ্ঠায়
আমাদের
অনেক
কাজ
করতে
হবে।
কাঠামোগত
জটিলতা
নিরসনে
কাজ
করতে
হবে
অনেক
বেশি।
সেক্ষেত্রে
ব্র্যাক
আগামী
দিনগুলোয়
কাজ
করে
যাবে।
যে
জনগোষ্ঠী
ধীরে
ধীরে
উপরে
উঠে
আসছে
তারা
যাতে
মানসম্পন্ন
স্বাস্থ্য
ও
শিক্ষার
সুযোগ
পায়
ব্র্যাক
সেজন্য
কাজ
করবে।
পাশাপাশি
উন্নয়নযাত্রায়
যারা
শামিল
হতে
পারছে
না
বা
পিছিয়ে
রয়েছে
তাদের
সংযুক্ত
করার
জন্য
আরো
সমন্বিত
প্রক্রিয়ায়
ব্র্যাক
অগ্রসর
হবে।
প্রভার্টি
পকেটগুলোতে
ও
নগরদারিদ্র্য
দূরীকরণে
ব্র্যাক
আরো
একনিষ্ঠভাবে
কাজ
করবে।
কোন বিষয়গুলো ব্র্যাককে এক
নম্বর এনজিও
হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে
বলে মনে
করেন?
আমি
মনে
করি,
উদ্যমী
মনোভাব
ব্র্যাকের
এ
পর্যায়ে
আসার
প্রধান
কারণ।
আমরা
যখনই
যে
সমস্যা
দেখেছি,
এর
সমাধানে
এমন
একটা
মডেল
তৈরি
করতে
চেয়েছি
তা
যেন
বৃহৎ
আকারে
সারা
দেশে
ছড়িয়ে
পড়ে।
সে
উদ্যোগ
নিয়েছি।
যেসব
জায়গায়
শূন্যস্থান
ছিল
তা
পূরণ
করতে
সক্ষম
হয়েছি।
মানুষের
কাছাকাছি
থাকা
ও
তাদের
সমস্যা
সমাধানে
উদ্যমী
উদ্যোগগুলো
নিয়ে
আসা
একটি
অন্যতম
দিক।
পাশাপাশি
সাংগঠনিকভাবে
প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ,
প্রাতিষ্ঠানিক
সুশাসন
প্রতিষ্ঠা,
কর্মীদের
দক্ষতা
উন্নয়ন,
সুনির্দিষ্ট
কাঠামো
প্রতিষ্ঠা
করা।
এছাড়া
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়টি
হচ্ছে
সাংগঠনিক
সংস্কৃতি
গড়ে
তোলা—যেটার
পেছনে
ব্র্যাকের
প্রতিষ্ঠাতা
স্যার
ফজলে
হাসান
আবেদ
অনেক
বেশি
নজর
দিতেন,
যা
আমাদের
কার্যকরভাবে
কাজগুলো
সম্পাদনে সাহায্য
করেছে।
তৃতীয়ত,
অবশ্যই
ফজলে
হাসান
আবেদের
লক্ষ্য,
প্রজ্ঞা
ও
কৌশলগত
দৃষ্টিভঙ্গি।
এক্ষেত্রে
তার
মতো
দ্বিতীয়
কোনো
মানুষ
আমি
দেখি
না।
উল্লিখিত
দিকগুলো
ব্র্যাককে
আজকের
অবস্থায়
নিয়ে
এসেছে
বলে
আমি
মনে
করি।
এখান
থেকে
আরো
সামনে
অগ্রসর
হতে
চাইলে
আমাদের
আরো
কিছু
বিষয়
মাথায়
রাখতে
হবে।
সে
সমস্যাগুলো
হয়তো
ভিন্ন
রকমের।
আগামী
৫০
বছরের
পৃথিবীকে
আমি
দেখি
অনেক
বেশি
দুর্যোগপূর্ণ
ও
অপ্রত্যাশিত
হিসেবে।
আগামী
পাঁচ
বছর
পর
কী
হবে
তা
আমরা
বলতে
পারছি
না।
উদীয়মান
বিভিন্ন
সমস্যা
আমরা
দেখছি।
আমরা
জলবায়ু
পরিবর্তনের
বড়
ধরনের
সমস্যার
মুখোমুখি।
বাংলাদেশ
জলবায়ু
পরিবর্তনের
প্রভাবের
অন্যতম
ক্ষতিগ্রস্ত
ভূখণ্ড।
জলবায়ু
পরিবর্তন
মোকাবেলায়
আমরা
কোনো
কার্যকর
সমাধান
বা
মডেল
তৈরি
করতে
পারছি
কিনা
এটা
গুরুত্বপূর্ণ।
ক্ষতিগ্রস্ত
এলাকাগুলো
থেকে
ব্যাপকসংখ্যক
লোক
শহরমুখী
হবে।
তাদের
জন্য
জীবিকার
ব্যবস্থা
কিংবা
আগে
থেকে
কোনো
প্রশিক্ষণের
আওতায়
তাদের
আনতে
পারছি
কিনা
তা
খুব
জরুরি।
আমাদের
পপুলেশন
ডিভিডেন্ড
কাজে
লাগাতে
তরুণদের
কর্মসংস্থানের
ব্যবস্থা
করা
জরুরি।
তাদের
সমস্যা
হিসেবে
না
দেখে
দক্ষ
জনসম্পদে
পরিণত
করার
লক্ষ্যে
শিক্ষা
ও
দক্ষতা
উন্নয়ন
কর্মসূচির
আমূল
পরিবর্তন
আনাতে
ব্যাপক
আকারে
কাজ
করার
প্রয়োজন
হবে।
পাশাপাশি
এটাও
চিন্তা
করতে
হবে
যে,
অর্থনৈতিকভাবে
সংগঠনকে
আরো
বেশি
সক্ষম
ও
সাবলীল
হতে
হবে।
এ
লক্ষ্যে
আমরা
কাজ
চালিয়ে
যাচ্ছি
এবং
আগামীতে
আরো
কাজ
করে
যাব।
করোনা মহামারীর দুই বছর
পার হলো।
এটি আমাদের নতুন অনেক
অভিজ্ঞতা-চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থাটা এখন
কেমন দেখছেন?
বাংলাদেশের
সার্বিক
অবস্থা
বিশ্বের
অনেক
দেশের
তুলনায়
ভালো।
আমরা
বিষয়টিকে
অর্থনৈতিক
ও
স্বাস্থ্য
সংকটের
দিক
থেকে
দেখছি।
করোনার
ধাক্কা
থেকে
আমাদের
অর্থনীতি
অনেকটাই
পুনরুদ্ধার
করতে
পেরেছি।
ফলে
তৃতীয়
ঢেউ
সেরকম
প্রভাব
ফেলতে
পারেনি।
এখন
মোটামুটি
স্বাভাবিকতার
পর্যায়ে
চলে
এসেছে।
মানুষ
ধরে
নিয়েছে
এ
রকম
হবে।
এটা
নিয়ে
থাকতে
হবে।
অর্থনৈতিক
কার্যক্রম
বন্ধ
করা
যাবে
না।
এদিক
থেকে
মোটামুটি
স্বাভাবিকতা
ফিরে
এসেছে।
আবার
স্বাস্থ্যগত
দিক
থেকে
ক্ষতির
যে
রকম
আশঙ্কা
করা
হয়েছিল
তার
থেকে
অনেক
কম
হয়েছে।
মৃত্যু
বা
হাসপাতালে
ভর্তিতে
বড়
আকারের
প্রভাব
ফেলেনি।
তবে
অবশ্যই
অনেক
মানুষ
মারা
গিয়েছে।
অনেক
পরিবার
আপনজনদের
হারিয়েছে।
তার
পরও
অন্যান্য
দেশ,
এমনকি
পার্শ্ববর্তী
দেশ
ভারতের
চেয়ে
আমরা
ভালো
সময়
পার
করেছি।
কিন্তু
যে
জায়গায়
অনেক
বেশি
ক্ষতি
হয়েছে
এবং
যেটা
নিয়ে
খুব
বেশি
চিন্তা
করতে
হবে
তা
হলো
শিক্ষা।
শিক্ষায়
অপূরণীয়
ক্ষতি
হয়েছে।
এখানে
‘লস্ট
জেনারেশন’
তৈরি
হওয়ার
একটা
ভয়
আছে।
বিষয়টি
নিয়ে
সরকারি
মহল
ও
নাগরিক
সমাজের
মধ্যে
আরো
আলোচনা
হওয়া
উচিত।
প্রত্যেক
বাবা-মা
এটি
উপলব্ধি
করছেন।
কিন্তু
হতাশার
বিষয়
হলো,
জাতীয়
পর্যায়ে
শিক্ষার
ক্ষতি
নিয়ে
পর্যাপ্ত
সংলাপ
দেখছি
না।
যে
ক্ষতিটা
হয়েছে
সেটি
কীভাবে
পোষাতে
পারি,
এখন
সে
চেষ্টা
জরুরি।
শিক্ষার্থীরা
স্কুল
থেকে
ঝরে
পড়েছে।
তাদের
আবার
স্কুলে
ফিরিয়ে
আনতে
এ
বছর
অনেক
জোরদার
পদক্ষেপ
নিতে
হবে।
করোনা
আমাদের
স্বাস্থ্য
ব্যবস্থার
বেশকিছু
দুর্বলতা
চিহ্নিত
করেছে।
করোনার
সময়ে
তাড়াহুড়ো
করে
যে
বিনিয়োগ
করা
হয়েছে
আগামী
দিনগুলোয়
সেটা
যেন
না
হয়,
সেদিকে
লক্ষ
রাখতে
হবে।
স্বাস্থ্য
ব্যবস্থা
যে
দ্রুত
ভেঙে
পড়ার
উপক্রম
বা
পড়ে
যাওয়ার
একটা
আশঙ্কা
তৈরি
হয়েছিল
ভবিষ্যতে
এমন
দুর্যোগে
সেটা
যাতে
না
হয়
সে
চেষ্টা
করতে
হবে।
এ
ধরনের
সংকট
ভবিষ্যতে
আবারো
আসবে।
চলমান
অতিমারী
অবসান
হতে
যাচ্ছে
বলে
আত্মতুষ্টির
সুযোগ
নেই।
আমার
ধারণা,
আগামী
অতিমারীর
জন্য
১০০
বছর
অপেক্ষা
করতে
হবে
না।
এমন
পরিস্থিতি
হলে
কীভাবে
তা
সামাল
দেয়া
হবে,
সেটা
গত
দুই
বছরের
অভিজ্ঞতার
ভিত্তিতে
নিতে
হবে।
কমিউনিটি
পর্যায়ে
স্বাস্থ্য
ব্যবস্থা
আরো
শক্তিশালী
করতে
হবে।
ঢাকাকেন্দ্রিক
স্বাস্থ্য
ব্যবস্থা
থেকে
বেরোতে
হবে।
স্বাস্থ্য
ব্যবস্থা
ও
সেবার
বিকেন্দ্রীকরণ
হতে
হবে।
ব্যক্তি
খাতের
সঙ্গে
সরকারি
খাতের
সম্মিলন
ঘটাতে
হবে।
গবেষণা
সক্ষমতাও
বাড়াতে
হবে।
দেশে
এখনো
জেনোম
সিকোয়েন্সিং
খুবই
ছোট
মাত্রায়
হচ্ছে,
কিছু
সরকারিভাবে
হচ্ছে,
কিছু
ব্যক্তি
খাতের
মাধ্যমে
হচ্ছে।
রোগের
ধরন
ও
ওষুধ
আবিষ্কারের
জন্য
জেনোম
সিকোয়েন্সিংয়ের
সম্প্রসারণ
প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে
বাংলাদেশে
যেসব
রোগের
ব্যাপকতা
রয়েছে
সেগুলো
আরো
ভালো
করে
বুঝতে
হলে
স্বাস্থ্য
গবেষণায়
বরাদ্দ
বাড়াতে
হবে।
করোনা-পূর্ববর্তী সময়ে সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ছিল
আশাব্যঞ্জক। করোনায় এ অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এখন করণীয়
কী?
নিউ
নরমালের
পর
এখন
চলছে
নেক্সট
নরমাল।
নেক্সট
নরমালের
সময়ে
দুর্যোগের
বিষয়টি
ধীরে
ধীরে
স্বাভাবিকতার
দিকে
যাবে।
নিয়ন্ত্রণের
মধ্যে
থাকুক
বা
না
থাকুক
আমাদের
দুর্যোগ
মোকাবেলা
করতে
হবে।
তার
জন্য
দরকার
‘রেজিলিয়েন্স’।
এর
মানে
হলো
মানুষের
ঘুরে
দাঁড়ানোর
ক্ষমতা।
বাংলাদেশের
মানুষের
রেজিলিয়েন্স
ক্ষমতা
বিশ্ববিদিত,
কিন্তু
তার
পরও
করোনার
সময়ে
দেখা
গেছে
একটা
পর্যায়ে
মানুষের
সাহায্যের
দরকার
হয়।
এ
সহায়তাকে
সোশ্যাল
প্রটেকশন
বা
সামাজিক
নিরাপত্তা
বলা
হয়।
মানুষ
যখন
নেটের
ভেতর
থেকে
পড়ে
যাবে,
তখন
তাকে
ধরার
ব্যবস্থা
করতে
হয়।
ব্র্যাক
প্রোগ্রামিংয়ের
মাধ্যমে
করোনায়
নতুন
করে
দরিদ্র
হওয়া
কিছু
মানুষকে
চিহ্নিতপূর্বক
তাদের
কিছু
সহায়তা
দেয়।
প্রথমে
একবারের
জন্য
গ্র্যান্ট
দেয়া
হয়েছিল।
তারপর
তাদের
জীবনযাত্রা
স্বাভাবিক
করার
জন্য
কিছু
সহায়তা
দেয়া
হয়।
শহর
থেকে
যারা
গ্রামে
গিয়েছিল
তাদের
আয়
বাড়ানোর
জন্য
সহায়তা
দেয়া
হয়।
সেখানে
আমরা
দেখেছি,
সামান্য
সহায়তা
পাওয়ার
পর
তারা
তাড়াতাড়ি
ঘুরে
দাঁড়িয়েছে।
অনেক
সময়
এ
রকম
ছোট
কয়েকটি
বিষয়
তাদের
ঘুরে
দাঁড়ানোর
জন্য
যথেষ্ট।
এসব
ক্ষেত্রে
তাদের
আত্মবিশ্বাস
তৈরি
করার
জন্য
আমরা
অনেক
সময়
দিই।
এক
সময়ে
দেখা
যায়,
আত্মবিশ্বাসের
জোরে
তারা
একটা
জায়গায়
চলে
এসেছে।
নিজের
ভাগ্য
নিজেই
পরিবর্তন
করেছে।
ব্র্যাকের
আল্ট্রা
পুওর
গ্র্যাজুয়েশন
প্রোগ্রামে
আমরা
দেখেছি
যে
দুই
বছর
ধরে
একটা
হতদরিদ্র
পরিবারকে
সহায়তা
দিলে
ওই
পরিবার
অতিদারিদ্র্য
থেকে
বেরিয়ে
আসে।
নিউ
পুওরদের
ক্ষেত্রে
আমরা
দেখলাম
যে,
তাদের
ঘুরে
দাঁড়াতে
ছয়
মাসও
লাগেনি।
সাপোর্ট
পাওয়ার
পর
তারা
দ্রুত
ঘুরে
দাঁড়িয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদে
আমরা
নানাভাবে
দরিদ্রদের
রেজিলিয়েন্স
তৈরি
করতে
পারি।
কৃষি
খাতে
শস্য
বীমা
চালু
করতে
পারি।
ভবিষ্যতে
এ
ধরনের
দুর্যোগ
আরো
আসবে।
সেক্ষেত্রে
স্বাস্থ্যের
ক্ষেত্রে
প্রতিরোধমূলক
আর
কী
কী
ব্যবস্থা
নেয়া
যায়,
তার
পথ
সন্ধান
করতে
হবে।
স্বাস্থ্যের
পেছনে
মানুষ
ব্যাপক
খরচ
করে।
ফলে
কোনো
একটা
দুর্যোগ
হলে
পরিবার
একদম
বসে
পড়ে।
এ
জায়গায়
আরো
কী
ধরনের
সাপোর্ট
দেয়া
যায়,
সেটি
আমাদের
চিন্তা
করতে
হবে।
সহস্রাব্দ
উন্নয়ন
লক্ষ্যমাত্রা
অর্জনে
বাংলাদেশ
সফল
হওয়ার
বড়
কারণ
ছিল
সরকারি
ও
বেসরকারি
সংগঠনগুলো
মোটামুটি
একই
কাঁধে
কাঁধ
মিলিয়ে
কাজ
করেছিল।
আগামী
দিনগুলোতেও
এ
বিষয়গুলো
অনেক
বেশি
দরকার
হবে।
এটা
না
হলে
বৃহত্তর
সাফল্য
অর্জন
সম্ভব
নয়।
সরকারেরও
সীমাবদ্ধতা
আছে
তাদের
সার্ভিস
প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীর
কাছে
পৌঁছানোর
জন্য,
বেসরকারি
সংগঠনগুলোরও
অনেক
সীমাবদ্ধতা
আছে
তাদের
অর্থায়ন
কমে
গেছে।
আমাদের
বড়
বড়
অবকাঠামো
তৈরির
ক্ষমতা
নেই,
সেক্ষেত্রে
সরকারের
অবকাঠামো
ব্যবহার
করে
আমরা
যদি
কমিউনিটিকে
সেবা
দিয়ে
যাচ্ছি,
সেই
জায়গায়
সমন্বয়ের
দরকার
আছে
এবং
কভিডের
সময়
আমরা
এটা
খুব
ভালোভাবে
করেছি।
উন্নয়নশীল দেশে
উত্তরণ এবং
কভিডের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক দেশেই
বৈদেশিক সহায়তা কমিয়ে দিচ্ছে বা বন্ধ
করে দিচ্ছে। এ সংকট
কাটিয়ে উঠতে
এনজিও খাত
কী ধরনের
প্রস্তুতি নিচ্ছে?
বৈদেশিক
সহায়তা
বন্ধ
হয়ে
যাওয়া
এনজিওগুলোর
জন্য
এখন
বড়
একটি
সমস্যা।
বিশেষ
করে
যেসব
এনজিও
শতভাগ
বৈদেশিক
অর্থায়নের
ওপর
নির্ভর
করেছে
তাদের
জন্য
এটি
সংকট।
কভিডের
কারণে
অনেকে
বিদেশী
সংস্থা
তাদের
ফান্ড
সরিয়ে
নিয়েছে
বা
বন্ধ
করে
দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের
সরকার
বাংলাদেশের
এনজিও
সহায়তা
প্রায়
৭০
শতাংশ
কাটছাঁট
করেছে।
দেশটির
সরকারই
আমাদের
ফান্ডের
বড়
উৎস
ছিল।
এখন
চ্যালেঞ্জ
হলো,
নিজস্ব
অর্থায়নের
ব্যবস্থা
করা।
আর
সরকারি
অর্থায়নে
এনজিওগুলো
কীভাবে
কাজ
করতে
পারে,
সেটি
দেখা।
সরকারকেও
চিন্তা
করতে
হবে
যে
এনজিও
খাত
লাখ
লাখ
মানুষের
কর্মসংস্থানের
জায়গা।
মানুষের
কাছে
সেবা
পৌঁছে
দেয়ার
জন্য
এনজিওকে
একটা
সক্রিয়
শক্তি
হিসেবে
দেখা
প্রয়োজন।
উন্নত
দেশগুলোয়
সরকারই
এনজিওগুলোর
অর্থায়নের
বড়
জায়গা।
কারণ
তারা
জানে
যে,
কিছু
বিষয়
এনজিওগুলোর
মাধ্যমে
দ্রুত
বাস্তবায়ন
করা
যায়।
অনেক
ইনোভেশন
যেগুলো
সরকারি
সংস্থার
মাধ্যমে
আসে
না
সেটা
এনজিওর
মাধ্যমে
দ্রুত
হয়।
জলবায়ু
পরিবর্তন
মোকাবেলায়
এনজিও
খাত
বড়
ভূমিকা
রাখতে
পারে।
তবে
এর
জন্য
গত্বাঁধা
প্রোগ্রামিং
না
করে
মানুষকেন্দ্রিক
প্রোগ্রামিং
করতে
হবে।
জলবায়ু
পরিবর্তনের
যারা
সবচেয়ে
ভুক্তভোগী—কৃষক
কিংবা
যারা
জীবিকার
অভাবে
উপকূলীয়
এলাকা
থেকে
শহরমুখী
হচ্ছেন
বা
নগর
দরিদ্র
ও
ভাসমান
তাদের
দিকে
এনজিওগুলোকে
মনোযোগ
দিতে
হবে।
সেসব
জায়গায়
আগামী
দিনগুলোয়
অর্থায়নও
আসবে।
এনজিওগুলো
এক্ষেত্রে
ভালো
প্রোগ্রাম
ডিজাইন
করতে
পারে,
যা
অনেক
বেশি
ইম্প্যাক্টফুল
ও
ইফেক্টিভ
হবে।
অনেক ছোট
এনজিও বন্ধ
হয়ে গেছে।
মাঝারি কিছু
এনজিওর অবস্থা খারাপ। বাংলাদেশে এনজিও খাতের
ভবিষ্যৎ কেমন?
বিশ্বব্যাপী
ডেভেলপমেন্ট
বা
হিউম্যানিট্যারিয়ান
প্রোগ্রামিংই
বলেন
সব
ক্ষেত্রেই
একটা
বিষয়
বলা
হয়েছিল
যে,
উন্নয়নকর্মের
স্থানীয়করণে
জোর
দিতে
হবে।
যারা
সমস্যার
খুব
কাছে
আছে,
তাদের
দিয়ে
কর্মসূচিগুলো
বাস্তবায়ন
করা
প্রয়োজন।
সেক্ষেত্রে
আন্তর্জাতিক
এনজিওগুলো
যাদের
খরচ
বেশি
কিংবা
যারা
একটা
নির্দিষ্ট
প্রেসক্রিপশন
নিয়ে
আসে,
তাদের
ধীরে
ধীরে
ছোট
করে
কীভাবে
স্থানীয়
এনজিওগুলো
কাজ
করতে
পারে,
তার
পথ
অনুসন্ধান
দরকার।
কিন্তু
এক্ষেত্রে
ডোনাররা
বলেন
যে,
স্থানীয়
এনজিওগুলোর
অনেক
কাজের
সক্ষমতা
নেই।
অনেক
সময়
অভিযোগ
করা
হয়,
স্থানীয়
এনজিওগুলোর
মধ্যে
সুশাসনের
সমস্যা
আছে,
দুর্নীতি
আছে।
আমি
যদি
বাংলাদেশের
কথা
বলি,
এখানে
ভালো
এনজিও
আছে,
মন্দ
এনজিও
আছে।
এখানে
সুশাসনের
দিক
যেমন
আছে
তেমনি
দক্ষতা-সক্ষমতার
দিকও
আছে।
ডোনাররা
সক্ষমতা
বাড়ানোর
দিকে
তেমন
নজর
দেন
না।
সেটা
আমরা
সিএসও
জোটের
মাধ্যমে
করার
চেষ্টা
করছি।
এনজিওগুলোর
ক্যাপাসিটি
ডেভেলপমেন্টের
জন্যও
কিছু
কাজ
করা
দরকার।
নতুন
ধরনের
প্রোগ্রামিংয়ের
কথা
বলছি।
তাদের
ওপর
বিনিয়োগ
করা
দরকার।
এখানে
অনেক
নিবেদিত
মানুষ
কাজ
করছে।
সমাজের
প্রতি
অঙ্গীকার
ও
দায়বদ্ধতা
থেকেই
অনেকে
কাজ
করছে।
কিন্তু
শুধু
ভালো
রিপোর্ট
লিখতে
না
পারা
বা
প্রপোজাল
লিখতে
পারে
না
বলে
অর্থ
না
দেয়া
হলে
সেটা
বড়
রকমের
মিসড
অপরচুনিটি
হবে।
এনজিও খাতকে
বলা হয়
বিশ্বের পঞ্চম
বৃহৎ অর্থনীতি। কিন্তু আমাদের দেশে এনজিওগুলোর কাজের স্বীকৃতি মেলে না
কেন?
এর
নানা
কারণ
হতে
পারে।
আমি
১০-১২
বছর
ধরে
কাজ
করছি।
আমি
যখন
আমাদের
প্রতিষ্ঠাতার
সঙ্গে
কথা
বলতাম,
তিনি
বলতেন
আমরা
কৃতিত্বের
জন্য
কাজ
করি
না।
আমাদের
উদ্দেশ্য
কাজটা
সফলভাবে
সম্পন্ন
করা
এবং
এর
সর্বোচ্চ
সুফল
নিশ্চিত
করা।
পিছিয়ে
পড়া
জনগোষ্ঠীর
সুফল
নিশ্চিত
করা।
যদি
কাজটা
শেষ
পর্যন্ত
সফল
হয়,
তাহলে
কে
কৃতিত্ব
নিল
সেটা
খুব
একটা
গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়
নয়।
মাঠের
মানুষ
জানে
কারা
কাজ
করছে।
স্বীকৃতিটা
যদি
তাদের
কাছ
থেকে
আসে
আমার
মনে
হয়
সেটি
এক
বড়
পাওয়া।
আর
জাতীয়
স্বীকৃতির
কথা
বলি
তাহলে
সেটি
দেশের
ভেতরে-বাইরে
সবখানে
ওয়েল
ডকুমেন্টেড।
প্রাইভেটলি
যখন
পলিসি
মেকারদের
সঙ্গে
কথা
বলি
তারা
স্বীকার
করেন
যে,
বাংলাদেশের
উন্নয়নের
একটা
বড়
শক্তি
হলো
এনজিও
খাত।
শিক্ষা,
স্বাস্থ্য
প্রভৃতি
ক্ষেত্রে
তাদের
অবদানের
অনেক
দৃষ্টান্ত
আছে।
আমি
বলব
যে,
কভিড
মোকাবেলায়ও
যে
সফলতা
এসেছে
তার
একটা
কারণ
এনজিওগুলো
তাদের
ভূমিকা
যথাযথ
পালন
করেছে।
গত
৫০
বছরের
যাত্রায়
সরকারের
সক্ষমতা-সামর্থ্য
অনেক
বেড়েছে।
সরকার
অনেক
শক্তিশালী
ভূমিকা
পালন
করছে।
অনেক
বেশি
অর্থায়ন
হচ্ছে
উন্নয়নকাজে।
কিন্তু
এখন
দেখতে
হবে
যে
অর্থায়নটা
ভালোভাবে
হচ্ছে
কিনা।
সুফলটা
সবার
কাছে
সমানভাবে
পৌঁছাচ্ছে
কিনা।
বর্তমানে
সমাজে
বহুমাত্রিক
বৈষম্য
বাড়ছে।
বৈষম্য
হ্রাস
ও
উন্নয়নের
সুফল
পিছিয়ে
পড়া
মানুষের
কাছে
পৌঁছে
দিতে
এনজিও
বড়
ভূমিকা
রাখতে
পারে।
অনেক এনজিওতে অভ্যন্তরীণ সুশাসনের দুর্বলতা রয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের এনজিওর অবস্থাটা কেমন?
ভালো-মন্দ
মিলিয়েই
আমাদের
এনজিও
খাত।
আমাদের
বড়
সমস্যা
হলো
আমরা
খুব
একটা
আত্মসমালোচনা
করি
না।
নিজেদের
আত্ম
মূল্যায়নেরও
দরকার
আছে।
এ
কারণেই
আমরা
গত
বছরের
ডিসেম্বরে
সিএসও
জোট
তৈরি
করেছি,
যাতে
সবাই
মিলে
একসঙ্গে
বসে
সমস্যা
চিহ্নিতপূর্বক
সেগুলোর
সমাধান
বের
করতে
পারি।
এটি
আসলে
নেটওয়ার্কেরও
নেটওয়ার্ক।
এখানে
ক্ষুদ্রঋণ
দাতা
নেটওয়ার্কেরও
সদস্য
আছে,
থিংক
ট্যাংক
আছে,
নতুন
প্রজন্মের
সোশ্যাল
এন্টারপ্রাইজ
আছে।
বাইরে
হয়তো
এটা
নিয়ে
তেমন
কথা
শোনা
যায়নি,
ভেতরে
ভেতরে
অনেক
কাজ
হচ্ছে।
এই
যে
পরিবর্তনের
ভেতর
গোটা
বিশ্ব
যাচ্ছে
সেখানে
এনজিও
খাতের
ভবিষ্যৎ
কী,
এ
খাতকে
নতুন
জায়গায়
নিয়ে
আসা
এবং
সক্ষমতা
বাড়ানো,
অনেক
সময়
এ
খাতের
সমস্যাগুলো
নিয়ে
সরকারের
সঙ্গে
আলোচনা
করাই
আমাদের
মূল
উদ্দেশ্য।
এ
জায়গায়
আমরা
একটা
বড়
দুর্বলতা
দেখছি।
যেমন
ব্যবসায়ীদের
একটা
বড়
সংগঠন
আছে।
যারা
দরকষাকষি
করে,
নিজস্ব
খাতের
সমস্যাগুলো
নিয়ে
কাজ
করে।
এ
ধরনের
সংগঠন
আসলে
সব
খাতেরই
আছে।
এনজিও
এত
বড়
খাত
হওয়া
সত্ত্বেও,
এত
লোকের
কর্মসংস্থান
সত্ত্বেও
আমাদের
অবস্থান
অনেক
দুর্বল,
দরকষাকষির
ক্ষমতা
অনেক
কম।
আমরাও
বিপুল
অর্থ
নিয়ে
এসেছি।
অনেক
দেশের
সঙ্গে
প্রতিযোগিতা
করেই
নিয়ে
এসেছি।
এটা
কিন্তু
মানুষ
বোঝে
না।
সবাই
মনে
করে
যে,
ডোনাররা
সহজেই
আমাদের
অর্থ
দিয়ে
দিচ্ছে।
এমনকি
কভিডের
মধ্যে
ছয়-সাত
মিলিয়ন
জোগাড়
করতেও
আমাদের
প্রচুর
কষ্ট
করতে
হয়েছে।
অনেক
কাঠখড়
পোড়াতে
হয়েছে।
আমরা
যে
মানুষকে
মাস্ক
বিতরণ
করেছি,
সেটা
ওই
টাকা
দিয়েই
করেছি।
তখন
আমরা
তত্পর
না
হলে
অর্থগুলো
অন্য
দেশে
চলে
যেত।
আফগানিস্তানে
এখন
বিপুল
অংকের
টাকা
চলে
যাবে।
জাতিসংঘ
প্রায়
৪
বিলিয়ন
ডলারের
মতো
একটা
তহবিল
গঠন
করেছে।
আমাদের
অর্থে
যেমন
দেশের
মানুষের
উন্নয়ন
হচ্ছে,
তেমনি
বিপুল
জনগোষ্ঠীর
কর্মসংস্থানও
হচ্ছে।
কর্মসংস্থানের
দিকটি
আমরা
যথেষ্ট
বলি
না।
কর্মসংস্থানের
দৃষ্টিকোণ
থেকে
এনজিও
খাতকে
শক্তভাবে
দেখা
হয়
না।
এ
কারণে
ছোটখাটো
প্রকল্প
অনুমোদনের
জন্য
আমাদের
অনেক
দৌড়ঝাঁপ
করতে
হয়।
প্রাতিষ্ঠানিক
আমলাতান্ত্রিক
জটিলতার
কারণে
একটা
বড়
সময়
চলে
যায়
দৌড়াদৌড়িতে।
যে
সময়টা
আসলে
আরো
ভালোভাবে
দেয়া
যেত
মাঠ
পর্যায়ে।
সামনের দিনের
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এনজিও খাতে
স্ট্র্যাটেজিক কী
ধরনের পরিবর্তন আসা প্রয়োজন বলে মনে
করেন?
মোটাদাগে
বলতে
গেলে
যত
দ্রুত
পরিবর্তন
আসা
উচিত
তত
তাড়াতাড়ি
আসছে
না।
এখানে
নেতৃত্বের
অভাব
আছে।
এটা
পরিবর্তন
করা
জরুরি।
আগামী
দশকে
বা
পরবর্তী
সময়ে
আমাদের
কাজটা
হবে
মূলত
যেসব
নতুন
ধরনের
সমস্যা
আবির্ভূত
হচ্ছে
সেগুলো
মোকাবেলা
করা।
অন্যদিকে
সরকার
বা
অন্য
প্রতিষ্ঠানগুলো
জনগণের
যেসব
চাহিদা
মেটাতে
পারছে
না,
সেসব
জায়গায়
কাজ
করার
সুযোগ
আছে—সামাজিক
উদ্যোগ
বা
সোশ্যাল
এন্টারপ্রাইজ।
যদি
বলি
শিক্ষা
বা
স্বাস্থ্যের
কথা,
তাহলে
দেখব
এসব
সেবার
জন্য
মানুষের
বড়
অংশ
যাচ্ছে
বেসরকারি
খাতের
কাছে।
সরকারি
হাসপাতালে
চিকিৎসার
খরচ
কম,
কিন্তু
মানসম্মত
সেবা
পাচ্ছে
না,
সে
কারণে
মানুষ
ব্যক্তি
খাতে
যাচ্ছে।
বেসরকারি
স্বাস্থ্যসেবার
একেকটা
মর্মান্তিক
গল্প
শুনছি।
এ
জায়গায়
সোশ্যাল
এন্টারপ্রাইজ
দরকার।
এটা
মুনাফাতাড়িত
নয়।
এখানে
চূড়ান্ত
উদ্দেশ্য
হলো
সাশ্রয়ী
মূল্যে
মানুষের
কাছে
ভালো
সেবা
পৌঁছে
দেয়া।
এ
সেবার
জন্য
মানুষ
টাকা
দিতে
রাজি।
এ
অর্থ
দিয়ে
আমরা
আমাদের
প্রতিষ্ঠান
ধরে
রাখতে
পারব।
এ
রকম
অনেক
সুযোগ
তৈরি
হচ্ছে।
সোশ্যাল
এন্টারপ্রাইজের
পেছনে
আরো
উদ্যোগ
যুক্ত
হওয়া
উচিত।
সামগ্রিকভাবে
এনজিও
খাতকে
সোশ্যাল
এন্টারপ্রাইজ
নিয়ে
অনেক
কাজ
করতে
হবে।
আশার
দিক
হলো,
তরুণরা
সোশ্যাল
এন্টারপ্রাইজ
নিয়ে
ভাবছেন।
উদ্যোগও
নিয়েছেন।
একটা
উদাহরণ
দিই।
আমাদের
ছোট
একটা
সাহায্য
নিয়ে
কাজ
শুরু
করেছিল
ভূমিজ
নামে
একটি
সংগঠন,
যারা
পাবলিক
টয়লেট
নির্মাণ
করে।
তারা
এনজিও
নয়।
তারা
এটাকে
একটা
সামাজিক
ব্যবসা
হিসেবেই
দেখছে।
এসব
জায়গায়
কোনো
প্রাইভেট
সেক্টর
আসবে
না।
এখানে
আসলে
কোনো
মুনাফা
নেই।
মুনাফা
পেতে
অনেক
বছর
লাগবে।
এ
কাজ
করতে
গিয়ে
ভূমিজ
হয়তো
কিছু
অনুদান
পাচ্ছে।
অনুদানের
ওপর
তাদের
একটা
কর
দিতে
হচ্ছে।
যেহেতু
তারা
এনজিও
নয়।
তারা
কিছু
জায়গায়
মেইনটেন্যান্সের
কাজ
নিচ্ছে,
পাবলিক
টয়লেট
করে
দিচ্ছে।
কিছু
জায়গায়
বাজার
সমিতির
সঙ্গে
কথা
বলে
টয়লেটগুলো
উন্নত
করছে।
এখানে
সামাজিক
দায়বদ্ধতা
ও
ব্যবসা
দুটো
মিলে
তরুণ
প্রজন্মের
সোশ্যাল
এন্টারপ্রাইজ
ধীরে
ধীরে
গড়ে
উঠছে।
এসব
জায়গায়
অনেক
সুযোগ
রয়েছে।
তরুণরা
এগিয়ে
এলে
ব্র্যাক
যেমন
তাদের
সাপোর্ট
করবে,
সরকারেরও
সাপোর্ট
করা
উচিত।
এখানেই
বড়
ভবিষ্যৎ
আছে,
যেখানে
সামাজিক
সমস্যাগুলো
মোকাবেলা
হবে,
অর্থায়নেরও
চিন্তা
করতে
হবে
না,
সরকারও
মনে
করতে
পারবে
যে
এটা
যেহেতু
মুনাফাতাড়িত
নয়,
সেহেতু
জনগণের
কল্যাণও
নিশ্চিত
হবে।
নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এনজিওগুলোর কাজের ক্ষেত্রে কি বৈচিত্র্য আনা দরকার?
সাশ্রয়ী
ও
ভালো
সেবা
প্রদানে
এগিয়ে
আসতে
হবে।
এটি
সোশ্যাল
এন্টারপ্রাইজ
নিয়ে
আসতে
পারে।
আমরা
দেখছি,
জনগণ
খরচ
করতে
চায়,
খরচ
করতে
পারে।
এটা
একটা
সুযোগ।
বাংলাদেশের
এত
দ্রুত
পরিবর্তন
ঘটছে,
সেখানে
কেউ
যদি
ভালো
উদ্যোগ
নিয়ে
আসে,
তাহলে
অনেক
কাজ
করার
আছে।
যেমন
তরুণদের
মধ্যে
মাদকের
একটা
সমস্যা
আছে।
কিন্তু
দেশে
কয়টা
ভালো
রিহ্যাবিলিটেশন
সেন্টার
আছে?
এখানে
মানুষ
টাকা
দিতে
চায়,
কিন্তু
ভালো
সেবা
পাচ্ছে
না।
আমাদের
অনেক
ভালো
রিহ্যাব
সেন্টার
প্রয়োজন।
আমরা
বৃদ্ধনিবাসের
কথা
বলছি।
বাংলাদেশের
জনমিতিক
বোনাস
২০৩৩
সালে
শেষ
হয়ে
যাবে।
এখন
মানুষ
অনেকদিন
বাঁচে।
একক
পরিবারের
প্রাধান্যে
তাদের
সেবা-শুশ্রূষায়
ব্যাপক
ঘাটতি
আছে।
অবশ্যই
এটা
মাথায়
রেখে
এনজিওগুলো
বৃদ্ধনিবাস
করতে
পারে।
মানসিক
স্বাস্থ্য
নিয়ে
কাজ
করতে
হবে।
এগুলোই
হলো
নতুন
ফ্রন্টিয়ার।
এসব
জায়গায়
চিন্তা
না
করলে
আমরা
প্রাসঙ্গিক
থাকতে
পারব
না।
প্রাসঙ্গিক
থাকতে
হলে
যেসব
সমস্যা
তৈরি
হচ্ছে
সেগুলোর
নতুন
নতুন
সমাধান
নিয়ে
আসতে
হবে।
ভালো
সমাধান
দেয়া
হলে
অর্থায়ন
পাওয়া
যাবে,
সিএসআর
থেকে
টাকা
পাওয়া
যাবে,
এমনকি
ব্যক্তি
খাত
থেকেও
টাকা
পাওয়া
যেতে
পারে।
ফান্ডিং কমে
গেলে আপনাদের কি সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ থেকে
আসা বিনিয়োগ বাড়বে?
অবশ্যই।
আমাদের
তো
নিজস্ব
অর্থায়নের
ব্যবস্থা
করতে
হবে।
কিন্তু
এটা
খেয়াল
রাখতে
হবে
যে,
বিনিয়োগগুলো
দুই
ধরনের
হতে
পারে।
একটা
হলো
একদম
বাণিজ্যিক
বিনিয়োগ।
যেগুলো
থেকে
একটা
স্থির
লভ্যাংশ
আসে।
যেমন
একটা
টেলকো
টাওয়ার
কোম্পানিতে
আমরা
প্রায়
২৪
শতাংশ
শেয়ার
ধারণ
করি।
সেটা
আবার
পুরোপুরি
বাণিজ্যিক
বিনিয়োগ।
তাতে
আমাদের
সামাজিক
দায়বদ্ধতা
নেই।
টাওয়ারগুলো
টেলিকম
কোম্পানিগুলো
ভাড়া
নেয়।
সেখান
থেকে
ওই
কোম্পানির
একটা
বছরভিত্তিক
লাভ
হয়।
সেখান
থেকে
আমাদের
একটা
লভ্যাংশ
দেয়,
তা
দিয়ে
আমরা
আমাদের
অর্থায়নের
কাজ
করি।
কিন্তু
আমাদের
আড়ং,
ব্র্যাক
এসব
প্রতিষ্ঠান
শুরু
হয়েছে
একটা
সামাজিক
দায়বদ্ধতা
থেকে।
এসবের
মধ্য
দিয়ে
আমরা
কিছু
সামাজিক
সমস্যার
সমাধান
করছি।
ব্র্যাকের
ক্ষেত্রে
আমাদের
প্রথম
প্রাধিকার
হবে
ওই
ধরনের
বিনিয়োগ
করা
যেগুলো
একদিকে
সামাজিক
সমস্যার
সমাধান
করতে
পারে,
অন্যদিকে
সেখান
থেকে
আসা
রিটার্ন
যেন
অর্থায়নে
কাজে
লাগাতে
পারি।
পুরোপুরি
বাণিজ্যিক
বিনিয়োগ
আমরা
খুব
বেশি
করব
না,
আমরা
এমন
উদ্যোগই
গড়ে
তুলতে
চাই
যেটি
দুটো
সমস্যার
সমাধান
করে।
ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক রূপান্তরের জন্য
আসলে আমাদের কোন কোন
বিষয়ে নজর
দিতে হবে?
আমাদের
সবচেয়ে
বেশি
নজর
দিতে
হবে
শিক্ষায়।
আমরা
প্রাথমিক
শিক্ষা
নিয়ে
অনেক
কাজ
করেছি।
আমাদের
আসলে
কাজ
করতে
হবে
মাধ্যমিক
শিক্ষা
নিয়ে।
বর্ধিষ্ণু
অর্থনীতিতে
মানসম্পন্ন
মাধ্যমিক
শিক্ষার
ব্যাপক
প্রয়োজন
ও
চাহিদা
আছে।
এখানে
আমাদের
ভয়াবহ
দুরবস্থা।
বেশির
ভাগই
প্রাইভেট
বিদ্যালয়ের
ওপর
নির্ভরশীল।
সবকিছু
দ্রুত
পরিবর্তন
হয়ে
যাচ্ছে।
একটা
ডিগ্রি
নেব।
চাকরিতে
ঢুকব।
চাকরি
শেষে
রিটায়ার
করব।
ক্যারিয়ার
শুরুতে
একটা
টানেলের
মধ্যে
ঢুকব,
রিটায়ারমেন্ট
করে
টানেল
থেকে
বেরোব।
ওই
ধারণা
পুরোপুরি
পরির্বতন
হয়ে
যাচ্ছে।
আপনার
এক
জীবনে
তিন-চার
রকমের
ক্যারিয়ার
হবে।
আপনি
হয়তো
পার্টটাইম
এখানে-ওখানে
কাজ
করবেন।
২০১০
থেকে
২০২১
সালে
বাংলাদেশে
কত
পরিবর্তন
হয়েছে
এবং
পরিবর্তনের
গতিটা
ক্রমেই
বাড়ছে।
টেকনিক্যাল
স্কিলের
চেয়ে
লার্নিংটা
খুব
গুরুত্বপূর্ণ।
আমি
কত
দ্রুত
শিখতে
পারছি।
কত
দ্রুত
অভিযোজন
করতে
পারছি।
এর
মূলটা
হবে
প্রথম
১২
বছরের
শিক্ষায়।
প্রাথমিক
এবং
মাধ্যমিকে।
ভিত্তি
ঠিক
না
হলে
পিছিয়ে
পড়বে।
একবিংশ
শতকের
পৃথিবীতে
বিশ্লেষণ
সক্ষমতা,
যোগাযোগ
দক্ষতা
এবং
সফট
স্কিলস
খুব
দরকার।
এসব
জায়গায়
কাজ
হচ্ছে
না।
এখন
সরকার
নতুন
একটা
শিক্ষাক্রম
প্রণয়ন
করছে।
আমরা
আশা
করছি,
এ
পাঠ্যক্রমে
এসব
বিষয়ে
দিকনির্দেশনা
থাকবে।
বর্তমান
অর্থনীতিতে
অনেক
ধরনের
কাজের
সুযোগ
আছে।
যেহেতু
বাংলাদেশ
বৈশ্বিক
অর্থনীতির
সঙ্গে
অনেক
বেশি
সংযুক্ত।
সে
কারণেও
বিকল্প
উপায়গুলো
অনুসন্ধান
করা
জরুরি।
পরিকল্পনা
ও
বাস্তবায়নে
সমন্বয়
করা
গেলে
অনেক
দূর
যাওয়া
যাবে।
বাংলাদেশের
বড়
শক্তি
হলো
বিশাল
জনসংখ্যা।
এ
জনসংখ্যা
যদি
কিছুটা
দক্ষ
হয়,
তাহলে
২০৪১
সালে
আমরা
উন্নত
দেশে
উন্নীত
হতে
পারব।
আমার
কাছে
এখন
উন্নত
দেশ
হওয়ার
চেয়ে
বড়
বিষয়
হলো,
আমরা
যেন
মধ্যম
আয়ের
ফাঁদে
না
পড়ি।
এ
জায়গায়
মালয়েশিয়া,
থাইল্যান্ডসহ
অনেক
দেশই
কিন্তু
আটকে
গেছে।
বাংলাদেশ
ঘনবসতিপূর্ণ
দেশ,
অনেক
মানুষ
আছে।
আগামী
দিনগুলোয়
আমাদের
দেশে
অভ্যন্তীরণ
চাহিদাগুলো
অনেক
বাড়বে।
অভ্যন্তরীণ
বাজার
অনেক
বড়
হবে।
অভ্যন্তরীণ
বাজার
উপযোগী
জনগোষ্ঠীকে
গড়ে
তুলতে
পারলে
আমরা
বিশ্ববাজারের
দিকেও
এগোতে
পারব।
শ্রুতলিখন: হুমায়ুন কবির ও রুহিনা ফেরদৌস