খেলা

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম। বাংলাদেশের হোম অব ক্রিকেট। ২৫ মে ২০০৭ থেকে ৪ ডিসেম্বর ২০২১। শেরেবাংলার ১৪ বছরের ইতিহাসে চলমান বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের আগ পর্যন্ত ২১টি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ম্যাচগুলোর মধ্যে ১৮টিতে ফল হয়েছে, অমীমাংসিত ছিল তিনটি। এই ১৪ বছরে মিরপুরে রাজত্ব করেছেন স্পিনাররা। বিশেষ করে স্বাগতিক দলের স্পিন তারকারাই কর্তৃত্ব করে এসেছেন। দীর্ঘ দাপটে শেরেবাংলা হয়ে ওঠে স্পিনের স্বর্গরাজ্য।

মিরপুরে এর আগের সর্বশেষ ৫ টেস্টে ১২০ উইকেটই নিয়েছেন স্পিনাররা, বিপরীতে ৪৩ উইকেট নিয়েছেন পেস বোলাররা। এ পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, এখানে কতটা দাপট দেখিয়ে চলেছেন স্পিনাররা। এখানে আবার এগিয়ে বাংলাদেশের স্পিনাররাই। চলমান টেস্টেও তিন স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ঢাকা টেস্টের আক্রমণে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। ত্রিশূলের উপস্থিতিতে শেরেবাংলার স্পিন-স্বর্গে এই ম্যাচেও কি রাজত্ব করবেন স্পিনাররা?

শেরেবাংলার ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ৬৪৬টি উইকেটের পতন ঘটেছে। বলাই বাহুল্য, এখানে দাপট দেখিয়েছেন স্পিনাররা। চলমান টেস্টে কোনো উইকেট শিকারের আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬৩টি শিকার সাকিব আল হাসানের দখলে। ৫৪ উইকেট নিয়েই এর পরে তাইজুল ইসলাম, যিনি গতকাল পাকিস্তানের পতন ঘটা দুটি উইকেটই নিয়েছেন। পাকিস্তানের ওপেনার আবিদ আলী ও আব্দুল্লাহ শফিক দুজনকেই বোল্ড করেন এ ঘূর্ণি বোলার। আরেক শীর্ষ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৪১ উইকেট নিয়ে রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।

শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ইনিংসে সেরা বোলিংয়েও এগিয়ে স্পিনাররা। এই ভেন্যুতে ৩৯ রানে ৮ উইকেট শিকার করে রেকর্ডটা বাংলাদেশের বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার তাইজুলের দখলে। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি, যিনি গত সপ্তাহে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১৬ রানে ৭ উইকেট শিকার করেন। কাল দুই ওপেনারকে বোল্ড করে তাইজুল বুঝিয়ে দিলেন মিরপুরে তিনি কতটা ভয়ংকর হতে পারেন।

মিরপুরে দ্বিতীয় সেরা বোলিং মিরাজের। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানের খরচায় ৭ উইকেট শিকার করেন এই ডানহাতি অফ স্পিনার। এছাড়া দুবার ৬ উইকেট ও দুবার ৫ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। এই মাঠে শীর্ষ উইকেট শিকারি সাকিব আল হাসান ছয়বার নিয়েছেন ৫ উইকেট আর দুবার নিয়েছেন ৬ উইকেট। সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডধারী তাইজুল ৫ উইকেট নিয়েছেন একবার।

শেরেবাংলায় সর্বশেষ ৫ টেস্টেও দাপট দেখিয়েছেন স্পিনাররা। ওই ৫ টেস্টের মধ্যে ৩টিই জিতেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।