রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও ছেলেসহ তিনজন মারা গেছেন। গতকাল সকালে রাজশাহী নগরী ও জেলার গোদাগাড়ীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জেলার তানোর উপজেলার বিল্লী এলাকার মোকসেদ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৯) এবং দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নন্দনপুর এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে সাজু মিয়া (৪০) ও তার শিশুপুত্র আব্দুল্লাহ আল আলিফ (১০)।
এদের মধ্যে নাজমুল হোসেন পেশায় গ্রাম্য চিকিৎসক। এলাকায় তার ফার্মেসি রয়েছে। আর সাজু মিয়া বেসরকারি সংস্থা দ্বীপশিখায় গোদাগাড়ীতে কর্মরত ছিলেন। উপজেলার বিজয়নগর এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করতেন তিনি।
গোদাগাড়ী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, সকাল ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন সাজু মিয়া। উপজেলার বিজয়নগর বাঁশলীতলা এলাকায় রাজশাহীগামী বিআরটিসির একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উল্টো দিকে গিয়ে তাদের চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান। গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে রাজশাহী নগর পুলিশের বোয়ালিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৮টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক হয়ে নগরীতে প্রবেশ করছিলেন নাজমুল হোসেন।
ওয়াসা ভবনসংলগ্ন সপুরা আহম্মেদ নগর এলাকায় বিপরীতগামী একটি যান তাকে পিষে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান নাজমুল। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে ভোলায় ফুফাতো ভাইয়ের মরদেহ দেখতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন দীপক চন্দ্র দে (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি গতকাল বিকালে লালমোহন উপজেলার আবুগঞ্জ বাজার নামক এলাকার। নিহত দীপক ভোলা পৌর কাচিয়া কলোনি এলাকার বিশ্বেসর চন্দ্র দের ছেলে। তিনি ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল চরফ্যাশনে তার ফুফাতো ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে দুপুরে নিজ কর্মস্থল থেকে মোটরসাইকেলযোগে চরফ্যাশনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের লালমোহন উপজেলার আবুগঞ্জ বাজার নামক এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দীপক।
