পুঁজিবাজারে এনআরবি ব্যাংকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ১ নভেম্বর গঠন করা এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়াকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বিএসইসির উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উপব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দীন।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এনআরবি ব্যাংক নির্ধারিত সীমার বাইরে গিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত করে বিষয়টি সত্যতা পাওয়ায় ব্যাংকটিকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটিও তাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংকটির একজন বিনিয়োগকারী কমিশনের কাছে ব্যাংকটির এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এসব কারণে ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখার জন্য কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র কামরুল আনাম খান বণিক বার্তাকে বলেন, এনআরবি ব্যাংক নির্ধারিত সীমার বেশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এনআরবি ব্যাংককে ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইনে একটি ব্যাংক অন্য কোনো ব্যাংক বা কোম্পানির কী পরিমাণ শেয়ার ধারণ করতে পারবে সেটির নির্ধারিত সীমা রয়েছে। কিন্তু এনআরবি ব্যাংক সেই নির্ধারিত সীমার বেশি পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারে বিনিয়োগ করে কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত ছিল। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে প্রধান অর্থ কর্মকর্তাকে (সিএফও) চাকরিচ্যুত করেছে এনআরবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
