সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার

৮৩ শতাংশ শেয়ারের দর কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে হতাশাজনক পারফরম্যান্স পরিলক্ষিত হয়েছে। সময়ে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক শতাংশ পয়েন্ট হারিয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের প্রায় ৮৩ শতাংশেরই দাম কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আড়াই শতাংশের বেশি সূচক কমেছে। সূচক কমলেও দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় শতাংশ কমে হাজার ৫১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল হাজার ৬৮৭ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক শতাংশ কমে হাজার ৯৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল হাজার ৯৮৫ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দশমিক শতাংশ কমে হাজার ২১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল হাজার ২৪৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৩৯৪টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫৭টির, কমেছে ৩২৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১০টির দর।

গত সপ্তাহে সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, সিটি ব্যাংক, রেনাটা, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতনে সূচক কমেছে ৭১ পয়েন্ট।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট হাজার ৭৬৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৫৫৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে ছিল ৪৭৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে লাখ ৯৯ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন ছিল লাখ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য আনুষঙ্গিক খাত। ১২ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। মোট লেনদেনের ১১ দশমিক শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর ব্যাংক খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পাট তথ্যপ্রযুক্তি খাত বাদে বাকি সব খাতেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে দশমিক শতাংশ, জীবন বীমায় দশমিক শতাংশ সিরামিক খাতে শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন ছিল। এছাড়া শতাংশের বেশি নেতিবাচক রিটার্ন ছিল ভ্রমণ অবকাশ, খাদ্য আনুষঙ্গিক, বস্ত্র, চামড়া, সেবা আবাসন এবং সাধারণ বীমার শেয়ারে।

অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে ১৫ হাজার ৮১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৬ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৫১ শতাংশ কমে হাজার ৫২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল হাজার ৭৬৬ পয়েন্টে।

সিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৮১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৮ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৭টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ২৪৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫টির বাজারদর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন