বিশ্লেষণ

উন্নয়নমুখী শাসনে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ আরো বড় ধরনের সংকটের মুখোমুখি হবে

ড. মুশতাক খান

ছবি : বণিক বার্তা

পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় আমাদের সামনে কী অপেক্ষা করছে তার রূপকল্প আঁকার দায়িত্ব পড়েছে আমার ঘাড়ে। আমি মনে করি ক্ষমতা বণ্টনের গভীর আন্তঃসংযোগ রয়েছে; রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, শাসন (গর্ভন্যান্স), অর্থনীতি ও রাজনীতির। ক্ষমতার বণ্টনের ক্ষেত্রে পুরো বিশ্বেই বড় আকারের পরিবর্তন ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এদিকে চীন, রাশিয়া, ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলো ক্ষমতায়িত হচ্ছে। ক্ষমতার এ পালাবর্তনে নানা ধরনের বৈশ্বিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। পৃথিবীতে যখনই এমন ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে তা নানা সংঘাত নিয়ে এসেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা ইউরোপে এ সংঘাত দেখছি, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে দেখছি। পশ্চিমা আধিপত্য এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এ সংঘাত কী অর্থ নিয়ে হাজির হচ্ছে। 

গত ২০ বছরের ইতিহাসের দিকে যদি তাকাই উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বৈদেশিক ঋণ, সহযোগিতা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। আমি স্রেফ বাংলাদেশ নিয়ে বলছি না, সার্বিকভাবে সব উন্নয়নশীল দেশর কথা বলছি। গত দুই দশকে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবির মতো সংস্থা থেকে আসা উন্নয়ন সহযোগিতা ও সফট লোনের গুরুত্ব ক্রমে কমতে শুরু করেছে। এ সময়ে অন্যান্য উৎস; যেমন চীনসহ বেশ কয়েকটি উৎস থেকে আসা বাণিজ্যিক ঋণ দ্রুত হারে বেড়েছে। এটা বিশ্ব ব্যবস্থায় পরিবর্তনেরই একটা অংশ।

গত ২০ বছরে পশ্চিমা দেশগুলো যেভাবে সুশাসনকে সংজ্ঞায়িত করেছিল তা উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বাস্তবায়নযোগ্য ছিল না। এটা ব্যর্থ কৌশল ছিল, যা কোনো উন্নয়নশীল দেশেই সম্ভব হয়নি। পশ্চিমা দেশগুলো যেভাবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে সুশাসনের আওতায় আনতে চেয়েছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ থেকে, বিশেষ করে চীন থেকে যে অর্থ এসেছিল, যার পূর্বশর্ত সুশাসন ছিল না, এটা বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে। গত ২০ বছরে দক্ষিণের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এসেছিল। কিন্তু অবকাঠামো ঠিক হলেও সুশাসন দুর্বল ছিল এখানে। 

আগে যেখানে বৈদেশিক ঋণের বড় উৎস ছিল পশ্চিমারা, এখন সেখানে চীন বৃহত্তম ঋণদাতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমা ঋণদাতার ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সুশাসনের ওপর জোর দিলেও চীনের এ ব্যাপারে মাথাব্যথা নেই। এটা বড় একটি পরিবর্তন বটে। এর ফলে অবশ্য কিছু সুবিধা যেমন তৈরি হয়েছে তেমনি নতুন সংকটও তৈরি হয়েছে। এর সুবিধা হলো, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এখন আর সুশাসনের জন্য চাপাচাপির মুখোমুখি হতে হয় না। আবার সবচেয়ে বড় ঝুঁকির জায়গা হলো, এখন আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে বিদেশ থেকে আসা ঋণ যেন ঠিকমতো কাজে লাগে এবং সময়মতো পরিশোধ হয়। একদিকে যেমন বিশাল সুবিধা অন্যদিকে বিশাল ঝুঁকি। 

আপনার কাছে যখন বৈদেশিক ঋণের বড় উৎস থাকে, বড় অংকের বৈদেশিক বিনিয়োগ হয় কিন্তু সুশাসনের জন্য কোনো ধরনের বৈশ্বিক চাপের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না, এমন সুযোগের কি ঝুঁকি হতে পারে? সবকিছুই তখন নির্ভর করে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ওপর। এ বিশাল সুবিধা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য উন্নয়নশীল দেশের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা আছে কি? কিছু দেশের সক্ষমতা আছে আবার কিছু দেশের সেটা নেই। আমরা যদি গত ১৫-২০ বছরের ইতিহাস দেখি তাহলে কী দেখব। বাংলাদেশের মতো দক্ষিণের উন্নয়নশীল দেশগুলোয় যে উন্নয়ন হয়েছে তার পেছনে ভূমিকা রেখেছে বৃহদাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন। অবকাঠামোতে বড় অংকের বিনিয়োগ এসেছে। সুশাসন যদি দুর্বল হয় তাহলে এ ধরনের অবকাঠামোগত বিনিয়োগে কী হতে পারে। বেশ কয়েকটি দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলি তাহলে দুই বা তিনটি ঘটনা ঘটে। 

সুশাসন দুর্বল হলে প্রথমত যা ঘটতে পারে, প্রকল্পগুলোয় অতিরিক্ত ব্যয় হয়। ধরেন ১০০ ডলারের রাস্তা তৈরি করছেন ২০০ ডলার ঋণ নিয়ে। ১০০ ডলারের রাস্তায় আপনাকে ২০০ ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ১০০ ডলারের রোড থেকে আপনার ওই পরিমাণ রাজস্ব আহরণ হবে না যা দিয়ে ২০০ ডলার পরিশোধ করা যায়। এটা কিন্তু শাসনব্যবস্থার সংকট। পাশ্চাত্যের শাসন না থাকলেও এমন উন্নয়নমুখী শাসন (ডেভেলপমেন্টাল গভর্ন্যান্স) ব্যবস্থা দরকার। কেউ কিন্তু আমাদের ওপর খবরদারি করছে না, নিজেদেরই নজর রাখতে হচ্ছে। 

দ্বিতীয় সংকট হচ্ছে, ১০০ ডলারের রাস্তা নির্মাণের জন্য যে অর্থ ছাড় দেয়া হচ্ছে তার পুরোটা কিন্তু ব্যবহার হচ্ছে না। যেখানে ১০০ ডলার ব্যয় প্রয়োজন সেখানে হয়তো ৫০ ডলার ব্যয় হচ্ছে। 

তৃতীয় যে সংকট তা হচ্ছে, চতুর্দিকে যখন এভাবে অর্থ ওড়াউড়ি করছে তখন কিন্তু অনেকের পকেটেই অতিরিক্ত অর্থ জমা হচ্ছে। আবার এ অবৈধ টাকা দেশে থাকছে না, পাচার হয়ে যাচ্ছে। যারা অর্থ লুট করেছে তারা সে অর্থ নিরাপদ কোনো গন্তব্যে পাঠাতে উদগ্রীব। এর ফলেই কিন্তু হুন্ডি, ব্যাংক খাতের সমস্যা তৈরি হয়েছে। বড় অংকের কালো টাকার কারণেই কিন্তু এ সংকটের সৃষ্টি। এ সর্বজনীন সংকটে কিন্তু অনেক দেশই পড়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে ৫২টি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র মারাত্মক ঋণের ঝুঁকিতে ছিল। মোট উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ৪০ শতাংশই এ ঝুঁকিতে। উন্নয়নমুখী শাসন ব্যবস্থার ঘাটতির ফলে এ দেশগুলো এ সংকটে পড়েছে। 

২০২৩ সালে বিশ্বব্যাংক এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২০-২৩ এ তিন বছরে ১৮টি দেশ সভরিন ডিফল্টের মুখোমুখি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলংকা ছিল এ তালিকায়। তিন বছরে যে পরিমাণ দেশ দেউলিয়া হয়েছে তা এর আগের ৩০ বছরের চেয়ে বেশি। তাহলে এখানে কোন ঘটনাগুলো ঘটছে তা অনুধাবন প্রয়োজন। 

এ ধরনের সংকটে আমাদের গভীরভাবে উপযোগী শাসনব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে। অনেক উন্নয়নশীল দেশ চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর কথা বলেন। তারা মনে করেন, দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন থাকলে উন্নয়ন সহজতর হয়। এখানে অথরিটারিয়ান বা কর্তৃত্ববাদী বলতে শক্তিশালী কোনো শাসকের শাসনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তারা মনে করেন, সে ধরনের শাসক থাকলে আমরা ঋণের অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারব এবং পরিশোধ করতে পারব। কিন্তু এ ধরনের চিন্তা ভুল এবং অতিসরলীকরণ। 

বর্তমানে বেশির ভাগ কর্তৃত্বপরায়ণ রাষ্ট্রগুলোই সংকটের মধ্যে রয়েছে। শ্রীলংকার রাজাপাকশে সরকারের দিকে তাকাই। শ্রীলংকার রাজাপাকশে আমাদের সামনে বড় উদাহরণ। তারা বড় অংকের অর্থ ব্যয় করে বৃহদাকার অবকাঠামো তৈরি করেছেন। কিন্তু ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন না। শ্রীলংকার রুপি অবমূল্যায়িত হতে হতে ডলারের বিপরীতে ৩০০-তে দাঁড়িয়েছে। একবার পতন শুরু হলে তা থামানো কিন্তু খুবই কঠিন। পাকিস্তানি রুপির মানও ডলারের বিপরীতে ২৮০-তে দাঁড়িয়েছে। 

চীনের শাসন পদ্ধতির সঙ্গে শ্রীলংকার শাসন পদ্ধতির পার্থক্য কোথায় যে কারণে রাজাপাকশে সরকার ব্যর্থ হলো? সহজ করে বললে, আমরা যখন কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের কথা বলি, আমাদেরকে ক্ষমতা অনুভূমিক (হরাইজন্টাল) ও উল্লম্বভাবে (ভার্টিক্যাল) বুঝতে হবে। অনুভূমিক বলতে আমরা বুঝি এমন ক্ষমতা, যার মাধ্যমে সমপর্যায়ের কাউকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আবার কাউকে ক্ষমতা থেকে দূরেও রাখা যায়। কিন্তু ফাইন্যান্স বা আর্থিক ব্যবস্থাপনায় এ ধরনের ক্ষমতা তেমন কার্যকরী নয়। আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আপনার প্রয়োজন ভার্টিক্যাল বা উল্লম্বিক ক্ষমতা। উল্লম্বিক ক্ষমতা থাকলে শাসকগোষ্ঠী নিম্নস্তরে থাকা ব্যক্তি ও ব্যবসার ওপর নীতিমালা আরোপ করতে পারে এবং কার্যকর করতে পারে। সেখানে সুশাসন থাকার বিষয়টি অতি জরুরি নয়, কারণ উন্নয়নমুখী শাসন সম্ভব। আমরা যদি বর্তমান চীন কিংবা ষাটের দশকের দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে তাকাই, তাহলে সেখানে অনেক উল্লম্বিক ক্ষমতা শক্ত ছিল। সেখানে কোনো কাজের জন্য যদি অর্থ বরাদ্দ হয় তাহলে তা পুরোপুরি কার্যকর হতে হবে। কেউ যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে তাহলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়। কিন্তু আমরা দুর্বল স্বৈরতান্ত্রিক ও কর্তৃত্বপরায়ণ দেশগুলোর দিকে যদি তাকাই তাহলে কী দেখব? কোনো কাজের জন্য রাষ্ট্রের অর্থ নিয়ে লোপাট করলেও তারা শাস্তি পাচ্ছে না। যখন কেউ অর্থ অপচয় করে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হয় শাসকগোষ্ঠী যদি তাদের শাস্তির আওতায় আনতে ব্যর্থ হয় তাহলে কিন্তু মারাত্মক সমস্যা। 

বর্তমানে বাংলাদেশে যে আলোচনা দরকার তা হলো, আদালত কিংবা আইনের শাসনের মাধ্যমে নয়, শাসকগোষ্ঠীকেই শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের কিন্তু ভালো আইনের শাসন নেই। তাই আইনের শাসন উন্নতির পশ্চিমা প্রেসক্রিপশনে আমাদের সমস্যার সমাধান মিলবে না। এক্ষেত্রে উন্নয়নমুখী শাসন কার্যকর হতে পারে, যদি শাসকগোষ্ঠীর এ ক্ষমতা থাকে। দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনে যদি কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে তাদের টুঁটি চেপে ধরা হয়। সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা অন্য খাতে ব্যয় করা সম্ভব নয়। কঠোর নীতি গ্রহণের মাধ্যমে অর্থ পাচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এটা পশ্চিমা অর্থে আইনের শাসনের মাধ্যমে করা হয়নি, কিন্তু সেটা বেশ কার্যকর উন্নয়নমুখী শাসন ব্যবস্থার প্রক্রিয়া বটে। এখন আমাদের যদি ভালো আইনভিত্তিক প্রক্রিয়া না থাকে তাহলে প্রত্যক্ষ ও কার্যকর কোনো পথ খুঁজতে হবে। 

আমরা যদি নিয়মতান্ত্রিক সমাধান না করতে পারি তাহলে আমাদের সরাসরি কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা অর্থ পাচার করছে, ঋণ খেলাপি করছে, জনগণের টাকা আত্মসাৎ করছে নানা প্রকল্পের নামে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে বড় রাঘববোয়ালদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। যদি চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে লক্ষ করেন, দেখবেন তারাও এভাবেই সংকট মোকাবেলা করেছে। তারা মানুষকে আদালতে নিয়ে ২০ বছর নষ্ট করে না বিচারের জন্য। তারা দ্রুত সংশোধনীর পথ অবলম্বন করে। উন্নয়নশীল দেশে আইনের শাসন কাজ করে না। এখানে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের পথে হাঁটতে হবে। আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে আমার কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেখানে আমি মানুষকে বলতে শুনেছি যে পশ্চিমা নীতি এখানে কাজ করবে না। পশ্চিমাদের কাছে রাষ্ট্রের উন্নয়ন মানে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন। আমি এ কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। আমি সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি উন্নয়নের জন্য উন্নয়নমুখী শাসন প্রয়োজন। আমি এরই মধ্যে বলেছি যে, ৪০ শতাংশ উন্নয়নশীল দেশ সংকটে রয়েছে, তারা এ কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মানে ৬০ শতাংশ সংকটে নেই। আমাদের চেষ্টা করতে হবে আমরা যেন এ ৬০ শতাংশের মধ্যে চলে আসতে পারি যারা সংকটে নেই। 

বাংলাদেশের পক্ষে এটি করা সম্ভব হতেও পারে। তবে এজন্য রাজনৈতিক নেতাদের তাৎক্ষণিকভাবে কিছু শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর পদক্ষেপগুলো কী হতে পারে—আমার মনে হয় তা কারোরই অজানা নয়। শুধু বাস্তবায়ন দরকার। যেসব দেশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে তারা উন্নতির পথে এগিয়ে গেছে। উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে এটি বড় ধরনের একটি সুযোগ। আমাদের সম্পদও রয়েছে। 

কিন্তু আমরা যদি উন্নয়নমুখী শাসনে ব্যর্থ হই, তা হলে বাংলাদেশ আরো বড় ধরনের সংকটের মুখোমুখি হবে। 

ড. মুশতাক খান: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন

(দৈনিক বণিক বার্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের যৌথ আয়োজনে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায়)

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন