ঝড়,
শিলা-বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে খেতের পাকা বোরো ধান
নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দিন পার করছেন
কুড়িগ্রামের কৃষক। ফলে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত
সময় পার করছেন তারা।
এদিকে কৃষি বিভাগের তথ্যমতে
জেলায় এখন পর্যন্ত সম্পন্ন
হয়েছে ৪০ ভাগ ধান
কাটার কাজ। হারভেস্টার মেশিন দিয়ে হলেও খেতের
পাকা ধান দ্রুত ঘরে
তোলার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে, ফসলের
মাঠেই ধান মাড়াই করছেন
অনেক কৃষক। আবার কেউ শ্রমিক
দিয়ে কেটে নিচ্ছেন খেতের
পাকা ধান।
আর যাদের ধান এখনও পরিপক্ক
হয়ে উঠেনি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। সবার লক্ষ্য ঝড়-বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ
হওয়ার আগেই ঘরে ধান
তোলা।
কুড়িগ্রাম
সদরের বেলগাছা ইউনিয়রের কৃষক জয়নার আবেদীন
জানান, ধান কেটে জমিতেই
মাড়াই করে নিচ্ছি। কখন
বৃষ্টি নামবে তার ঠিক নেই।
শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এ
কারণে ধান ঘরে তুলতে
পাররে বাঁচি।
এ
বছর কোনো প্রকার রোগ-বালাইয়ের কবলে পড়েনি ধান
খেত। পাশাপাশি ফলন ভালো হওয়ায়
কৃষকরা খুশি হলেও বৈরি
আবহাওয়ায় চিন্তিত তারা।
কুড়িগ্রামের
উলিপুর উপজেলার দুর্গাপর এলাকার কৃষক এরশাদুল হক
জানান, খুব ভয়ে আছি,
আকাশের যে অবস্থা। কখন
জানি শিলাবৃষ্টি হয়, ঝড় হয়।
আর ঝড় হলেও কাঁচা-পাকা সব ধানেরই
ক্ষতি হবে। এ জন্য দ্রুত
ধান ঘরে তুলতে মাঠেই মাড়াই করছি।
কুড়িগ্রাম
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ
আল মামুন জানান, গত বছরের চেয়ে
এ বছর ধানের আবাদ
হয়েছে বেশি পরিমাণ জমিতে।
আমরা কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে হলেও দ্রুত
ধান কেটে ঘরে তোলার
পরামর্শ দিচ্ছি। এ পর্যন্ত ৪০ ভাগের বেশি
ধান কৃষকরা ঘরে তুলেছেন বলে
জানান তিনি।
গত
বছর জেলায় ১ লাখ ১৬
হাজার ৯শ ১০ হেক্টর
জমিতে বোরোর আবাদ হলেও এ
বছর হয়েছে ১ লাখ ১৭
হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর
জমিতে। আর চাল উৎপাদনের
লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫
লাখ সাড়ে ৬ হাজার
মেট্রিক টন।