নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় স্থানীয় লোকজনের যৌক্তিক আন্দোলন এবং বিভিন্ন আবেদন-নিবেদনের পর অবশেষে ধ্বংসপ্রায় ‘বেতাই নদী’
পুনরুদ্ধার করে সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের পক্ষে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন খন্দকার গতকাল সকালে বেতাই নদীর তীরে সাইন বোর্ড স্থাপন করেন।
প্রাকৃতিক জলাধার নদীকে নদী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান জানান, এর মাধ্যমে স্থানীয় জনমনে স্বস্তি ফিরে পাবে। ভবিষ্যতে এ রকম জলাধারের প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
ভূমি অফিসের কাগজপত্র অনুযায়ী নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বেতাই ‘নদী’ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত। যদিও এটি দখল ও ভরাট হতে হতে সরু খালে পরিণত হয়েছে। এ সুযোগে একটি মহল বেতাইকে ‘নদী’র পরিবর্তে ‘খাল’ হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করছিল। জাতীয় নদীরক্ষা কমিশন অফিস থেকে নদীটি যথাযথভাবে পুনরুদ্ধারে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে বেতাই নদীর কাগজপত্র যাচাই করে নদীর নামটি পুনস্থাপন করা হয়।
সাম্প্রতিককালে কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেতাইকে ‘খাল’ হিসেবে দেখিয়ে ১১ কিলোমিটারজুড়ে খনন প্রকল্প চলছিল। কিন্তু স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ জানায়।
