২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে চায় সুইডিশ জ্বালানি সংস্থা ভ্যাটেনফল। সংস্থাটি পর্যায়ক্রমে কয়লার ব্যবহার থেকে বেরিয়ে এসে বায়ু ও সৌরশক্তির জ্বালানির ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এর মাধ্যমে ভ্যাটেনফল নিট শূন্য নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা ১০ বছর এগিয়ে এনে ২০৪০ করেছে। খবর রয়টার্স।
ভ্যাটেনফলের প্রধান নির্বাহী এনা বর্গ এক বিবৃতিতে বলেন, জলবায়ু সংকট এখন অন্যতম বাস্তবতা হয়ে উঠেছে। কেবল দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে আমরা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছি না। বরং এক্ষেত্রে আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নেতৃত্ব দেয়ার জন্য অনেক সুযোগ দেখতে পাচ্ছি।
ভ্যাটেনফলের পূর্ববর্তী লক্ষ্যগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। অর্থাৎ সংস্থাটি ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানোর লক্ষ্য নিয়েছিল।
সংস্থাটির বর্তমান লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের কার্যক্রম থেকে কার্বন নিঃসরণ ২০১৭ সালের স্তরের তুলনায় ৭৭ শতাংশ কমিয়ে আনা। যেখানে এর আগের লক্ষ্য ছিল ৩৮ শতাংশ। পাশাপাশি সংস্থাটি তাদের বিক্রি করা পণ্যগুলোর ব্যবহার থেকেও কার্বন নিঃসরণ ২০ শতাংশের পরিবর্তে ৩৩ শতাংশ কমিয়ে আনবে।
ভ্যাটেনফল জানিয়েছিল, ২০২০ সালে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমিয়ে ১ কোটি ২০ লাখ টন থেকে এক কোটিতে নামিয়েছে। এখন লক্ষ্য নেয়া হয়েছে ২০৩০ সালে নিঃসরণের পরিমাণ ৬০ লাখ টনের নিচে নামিয়ে আনা। এর জন্য সংস্থাটি কয়লাচালিত শেষ ইউনিটগুলো জার্মানির দুটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বায়োমাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সংমিশ্রণে পরিবর্তন করবে।
সংস্থাটি বর্তমান সক্ষমতা ৩ দশমিক ৭ গিগাওয়াট বায়ু ও সৌরশক্তি কার্যক্রমকে চারগুণ বাড়িয়ে তুলবে এবং সংস্থার বৈদ্যুতিক চার্জিং পয়েন্ট ২০২০ সালের তুলনায় ২৫ গুণ বাড়িয়ে দেবে।