তিন মাস ধরে নিম্নমুখী চীনের তামা আমদানি

বণিক বার্তা ডেস্ক

তিন মাস ধরে নিম্নমুখী চীনের তামা আমদানি। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারিক ধাতুটির বাজার চড়া। পাশাপাশি শিল্প-কারখানায় উৎপাদন খাতে শ্লথগতি ধাতুটির চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মূলত এসব কারণেই বিশ্ববাজার থেকে তামা ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে চীন।

বিশ্বের শীর্ষ তামা ব্যবহারকারী দেশ চীন। দেশটির জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস জানায়, গত মাসে চীন লাখ ২৮ হাজার ৪৩৮ টন অপরিশোধিত তামা তামাজাত পণ্য আমদানি করেছে। মে মাসের তুলনায় আমদানি দশমিক শতাংশ কমেছে। ওই মাসে আমদানি করা হয়েছিল লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ টন। অন্যদিকে গত বছরের জুনে চীন লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ টন অপরিশোধিত তামা তামাজাত পণ্য আমদানি করে। সে হিসাবে আমদানির পরিমাণ ৩৪ দশমিক শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

সিআরইউ গ্রুপের তামার বাজারবিষয়ক বিশ্লেষক তিয়ানজ্যু হে বলেন, তামার আকাশছোঁয়া দামের কারণে আমদানি কমেছে। এছাড়া বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনে তামার চাহিদা কিছুটা কমেছে। এটিও আমদানি হ্রাসে জ্বালানি জুগিয়েছে। তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে তামার উচ্চমূল্যের সঙ্গে স্থানীয় বাজার খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। সময় চাহিদা বাড়তে শুরু করলে ক্রয়াদেশও বাড়াবে আমদানিকারকরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, গত মে মাসে লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে তামার দাম দশমিক শতাংশ বেড়েছিল। ১০ মে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম টনপ্রতি ১০ হাজার ৭৪৭ ডলার ৫০ সেন্টে উঠে আসে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ। চলতি বছরের বেশির ভাগ সময়ই তামার দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এতে আমদানিকারকরা কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে পড়েন। তাদের মাঝে তামা আমদানিতে অনীহা দেখা দেয়। লকডাউন-পরবর্তী সময়ে চাহিদা তুঙ্গে ওঠায় বাজারদরে এমন উল্লম্ফন দেখা দেয় বলে জানান বিশ্লেষকরা।

ধাতব পণ্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে শিল্প-কারখানার উৎপাদন খাতে। করোনা মহামারীর প্রভাব এখনো খাতের পিছু ছাড়েনি। ফলে চার মাস ধরে খাতে নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। মূলত কাঁচামাল ক্রয়ে অতিরিক্ত ব্যয় এবং প্রধান রফতানি অঞ্চল গোয়াংডংয়ে মহামারীর তীব্র প্রভাব শিল্প খাতকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। যদিও অবকাঠামো নির্মাণ খাতের কার্যক্রম স্থিতিশীল রয়েছে।

জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) চীন ২৭ লাখ ৯০ হাজার টন তামা আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি দশমিক শতাংশ কমেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন