কানাডায় খাদ্যশস্য উৎপাদন ৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: রয়টার্স

আসন্ন বিপণন মৌসুমে কানাডায় খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস মিলেছে। সম্প্রতি গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস (এফএএস)। খবর ওয়ার্ল্ডগ্রেইন ডটকম। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে গম। শস্যটির উৎপাদন লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে উৎপাদন বাড়লে দেশটিতে খাদ্যশস্যের আমদানি কমে আসবে বলেও মনে করছে এফএএস। সম্ভাবনা রয়েছে রফতানি বাড়ারও। 

এফএএস জানায়, ২০২৩-২৪ মৌসুমে কানাডায় খরার প্রভাবে খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। তবে ২০২৪-২৫ মৌসুমে উৎপাদন খরার প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। এক বছরের ব্যবধানে মোট উৎপাদন ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৬ কোটি ১৪ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে।  

২০২৪-২৫ মৌসুমে কানাডার মোট গম উৎপাদন ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে এফএএস। দেশটিতে শস্যটির উৎপাদন গত পাঁচ বছরের গড় থেকেও কিছুটা বেশি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।  

কানাডায় বিভিন্ন জাতের গমের মধ্যে ডুরুমজাতীয় গম উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে বসন্তকালীন গম উৎপাদন ২ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ৫২ লাখ টন হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

রিপোর্টে এফএএস আরো জানিয়েছে, উৎপাদন বাড়লে আগামী মৌসুমে কমে আসতে পারে আমদানি। ২০২৩-২৪ মৌসুমে দেশটি ছয় লাখ টন গম আমদানি করতে পারে। আগামী মৌসুমে সে তুলনায় ৫০ হাজার টন কমতে পারে। বিপরীতে শস্যটির রফতানি ৫ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ৪৭ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে।

কানাডায় মোট শস্য রফতানি এক বছরের ব্যবধানে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে এফএএস। এর মধ্যে গম রফতানি লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়লেও কমতে পারে ভুট্টা, ওট ও জব রফতানি। 

দেশটিতে ভুট্টা ও বার্লি উৎপাদন কিছুটা বেড়ে যথাক্রমে ১ কোটি ৫৪ লাখ ও ৮৯ লাখ টনে উন্নীত হবে বলেও পূর্বাভাস মিলেছে। এদিকে কানাডার প্রেইরি প্রদেশে অতিরিক্ত আর্দ্রতা, অভ্যন্তরীণভাবে পশুখাদ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং চারণভূমি বাড়ার কারণে অঞ্চলটিতে ভুট্টা আমদানি ৩০ শতাংশ কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন