ভারতে রেকর্ড উৎপাদন সত্ত্বেও গম আমদানিতে উল্লম্ফনের আভাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

২০২৪-২৫ বিপণন মৌসুমে ভারতে রেকর্ড গম উৎপাদনের পূর্বাভাস রয়েছে। এর পরও সেখানে শস্যটির আমদানি ব্যাপক মাত্রায় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস (এফএএস) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

সংস্থাটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এ মৌসুমে ভারতে গমের চাহিদা স্থিতিশীল থাকবে। কিন্তু এ সময় সরকারি পর্যায়ে শস্যটির মজুদ কমে যেতে পারে। এ কারণেই মূলত আমদানি বাড়বে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা আমদানিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

দ্য গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে এফএএস জানায়, ২০২৪-২৫ বিপণন মৌসুমে ভারতে ১১ কোটি ২৫ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে। অনুকূল আবহাওয়ায় আবাদ ও ফলন দুটোই ভালোল্রহয়েছে। আলোচ্য মৌসুমে ভারতে শস্যটির ব্যবহার দাঁড়াতে পারে ১১ কোটি ৩৫ লাখ টনে। অর্থাৎ উৎপাদনের চেয়ে বেশি ব্যবহার হবে।

ইউএসডিএর তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ভারত ১ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করেছিল। তবে ২০২৪-২৫ মৌসুমে আমদানি ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে ২০ লাখ টনে উন্নীত হবে। এর মধ্য দিয়ে সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো গমের নিট আমদানিকারকে পরিণত হতে যাচ্ছে দেশটি।

এফএএস জানায়, ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে ভারত রেকর্ড ৮০ লাখ টন গম রফতানি করেছিল। দুই বছর আগে রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৩ লাখ টন। তবে ২০২৪-২৫ মৌসুমে রফতানি কমে মাত্র তিন লাখ টনে নামতে পারে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর গমের বৈশ্বিক উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ১ শতাংশ বাড়তে পারে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান বৈশ্বিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করবে।

এফএও বলছে, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ গম উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর উৎপাদন সে উচ্চতায় না পৌঁছতে পারলে গত বছরের তুলনায় বাড়বে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এফএওর প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, চলতি বছর বিশ্বজুড়ে সব মিলিয়ে ৭৯ কোটি ৭০ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন