২০২৪-২৫ বিপণন মৌসুমে ব্রাজিলে রেকর্ড পরিমাণ চিনি উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চিনি উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল আখের ঊর্ধ্বমুখী আবাদ উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সরকারি খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা কোনাব।
প্রতিবেদনটিতে কোনাব জানিয়েছে, নতুন বিপণন মৌসুমে ব্রাজিলে চিনি উৎপাদন রেকর্ড ৪ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টনে পৌঁছবে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। তবে আসন্ন মৌসুমে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে চিনি উৎপাদনের প্রধান উপকরণ আখের ফলন আগের তুলনায় কমতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
কোনাব জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ বিপণন মৌসুমে (এপ্রিল-মার্চ) ব্রাজিলের মোট আখের ফলন হবে ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার টন, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কম।
এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মোট আখ উৎপাদন ৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমার আশঙ্কা করছিল কোনাব। সে তুলনায় উৎপাদন কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে আখের আবাদি জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
দেশটির ৮৬ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে আখ আবাদ হতে পারে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক চিনি ব্যবসায়ী এ বিষয়ে বলেন, ‘কেউ কেউ ব্রাজিলে আখের আবাদি অঞ্চলের বৃদ্ধি দেখে অবাক হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের মতো অন্যান্য সংস্থা আবাদ আরো কম হবে বলে ধারণা করেছিল।’
এদিকে কোনাবের প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিউইয়র্কে চিনির দাম ৩ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে পূর্বাভাসে কোনাব জানিয়েছে, ব্রাজিলে চিনি ও ভুট্টাভিত্তিক ইথানল উৎপাদন ৪ শতাংশ কমে ৩৪১ কোটি ৪০ লাখ লিটার হতে পারে। তবে ভুট্টাভিত্তিক ইথানল উৎপাদন ১৬ শতাংশ বাড়বে।