করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নতুন সুরক্ষা নীতি চালু করেছে ওয়াল স্ট্রিট জায়ান্ট মরগান স্ট্যানলি।
নতুন নীতিতে মার্কিন বহুজাতিক এ ব্যাংকে কিছু অফিসে প্রবেশ করতে হলে কভিড-১৯ প্রতিরোধী সম্পূর্ণ টিকা গ্রহণ করতে হবে।
অর্থাৎ টিকা না নিলে কর্মী কিংবা গ্রাহক ব্যাংকটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
খবর বিবিসি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, মরগান স্ট্যানলির নিউইয়র্ক অফিসের যে কর্মীরা এখনো টিকা পাননি, তাদের বাড়িতে বসেই কাজ করতে হবে।
আগামী মাস থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে।
সে সময় অবশ্য কভিড-বিষয়ক অন্য বিধিনিষেধগুলো কিছুটা শিথিল হয়ে যাবে।
গত সপ্তাহে এ বিনিয়োগ ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী জেমস গরম্যান কর্মীদের অফিসে ফিরতে আহ্বান জানান।
এক অভ্যন্তরীণ নোটিসে বলা হয়, আগামী ১২ জুলাই থেকে সব কর্মী, শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগ পাওয়া কর্মী, গ্রাহক ও দর্শনার্থীদের মরগান স্ট্যানলির নিউইয়র্ক শহর ও ওয়েস্টচেস্টারের অফিস ভবনে প্রবেশের জন্য সম্পূর্ণ টিকা নেয়ার বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে।
এসব অফিসে কাজ চলাকালে মাস্ক পরা কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিধিনিষেধগুলো অপসারণ করতে চায় কর্তৃপক্ষ।
সে কারণেই প্রবেশের বিষয়ে এ কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে।
নিয়মটি কার্যকরের আগে থেকেই মরগান স্ট্যানলির অনেক বিভাগ তাদের কর্মক্ষেত্রে ‘ভ্যাকসিন অনলি’
ব্যবস্থা চালু করেছে।
যেমন ইনস্টিটিউশনাল সিকিউরিটিজ ও ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট বিভাগে কেবল টিকা নিযেছেন এমন কর্মীরাই অফিসে এসে কাজ করতে পারছেন।
যদিও এ মাসের শুরুতে জেমস গরম্যান বলেছিলেন, আপনি যদি নিউইয়র্ক শহরের কোনো রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন, তাহলে অফিসও করতে পারবেন।
নানা কারণেই তিনি কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে নিতে চান।
তিনি বলেন, যদি সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সব কর্মী অফিসে ফিরতে না পারেন, তবে তা খুবই হতাশাজনক হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যাংক জেপি মরগানের প্রধান জেমি ডিমন সম্প্রতি বলেছেন, জুলাই থেকেই তিনি কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে আনতে চান।
এর মধ্যে গোল্ডম্যান স্যাকস ব্যাংকারদের নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন কাজে ফেরার আগে টিকা-সংক্রান্ত নথি অফিসের কাছে জমা দেয়।
কর্মীদের টিকা নিতে উৎসাহ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বার্কলেসের প্রধান নির্বাহী জেস স্ট্যালে গত ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, বাড়িতে বসে কাজ করা কোনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।
যদিও গত মাসে বিবিসির এক জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের ৫০টির বেশি বড় প্রতিষ্ঠান এখনো কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেনি।