খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে শয্যা সংকট

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, খুলনা

খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে বর্তমানে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন শয্যা না থাকায় ইউনিটের মেঝেতে শয্যা করা হয়েছে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক-নার্সদের

খুলনা ১০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ বলেন, গতকাল সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিলেন ১২৫ জন এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন ৯৫ জন (রেড জোন) করোনা সন্দেহ রোগী (ইয়েলো জোন) ছিলেন ৩০ জন

দুপুরের মধ্যে আরো পাঁচজন রোগী ভর্তি হন এর মধ্যে দুজনকে ইয়েলো জোন থেকে রেড জোনে নেয়া হয় গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে ১৩ জন এইচডিইউতে ১২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন

তিনি বলেন, খুলনায় করোনা হাসপাতাল হওয়ার পর একসঙ্গে ১৩০ জন রোগী ভর্তি প্রথম এর আগে ১০০ রোগীর কাছাকাছি ভর্তি হয়েছে তবে এবার যে পরিমাণ রোগী ভর্তি হচ্ছে, তা আগে কখনো হয়নি এত রোগীর চাপ সামলাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে

তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে লজিস্টিক সাপোর্ট তুলনামূলক অনেক কম রোগীর চাপ দেখে মনে হচ্ছে আরো একটি ইউনিট করতে হবে চিকিৎসক নার্সের সংখ্যা বাড়াতে হবে আর তা না হলে রোগী সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে

এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে খুলনা নগরের তিনটি জেলার একটি উপজেলায় কঠোর বিধিনিষেধ অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে পরিপালিত হচ্ছে

এক সপ্তাহের ওই বিধিনিষেধের প্রথম দুদিন মোটামুটি পরিপালিত হলেও রোববার তেমনটি দেখা যায়নি নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বড় বড় মার্কেট বন্ধ তবে খোলা রয়েছে বিভিন্ন গলির দোকান সকাল থেকে নগরে পর্যাপ্ত ইজিবাইক থ্রি-হুইলার চলাচল করছে সেগুলোতে চার থেকে পাঁচজন করে যাত্রী ছিল, স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই ছিল না

খুলনা জেলা প্রশাসক জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, কঠোরভাবেই বিধিনিষেধ পরিপালন করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে

তিনি বলেন, প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কেউ দোকান খুলে থাকলে তা জানার কথা নয় তবে মানুষকে বিধিনিষেধ মানাতে জেলা প্রশাসনের আটজন ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন