ভ্যাট ফাঁকির দায়ে লুবনানের বিরুদ্ধে মামলা

বণিক বার্তা অনলাইন

পোশাক বিপননকারী প্রতিষ্ঠান লুবনান ট্রেড কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৪ দশমিক ৬০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

একজন গ্রাহকের সুনির্দিষ্ট ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ থাকায় জনাব মো. মাহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক এর নেতৃত্বে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি গোয়েন্দা দল রাজধানীর বাড্ডায় প্রতিষ্ঠানটির কারখানা এবং অফিসে অভিযান পরিচালনা করে। 

অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানের উপস্থিত প্রতিনিধির সহযোগিতায় বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করে ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকেগত বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময়ের প্রতিষ্ঠানটির মোট ১০৮টি শাখার জমাকৃত মূসকের সারসংক্ষেপের হিসাব (রিটার্ন অনুযায়ী), বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র, সিএ ফার্মের অডিট রিপোর্ট, কর্পোরেট চালানের কপি ও আমদানি এলসি সমূহের তথ্যসহ আনুষাঙ্গিক বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করা হয়।

 হয়। দীর্ঘ তদন্তশেষে ভ্যাট গোয়েন্দা দল প্রতিষ্ঠানটির মূসক ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দার তথ্য মতে, তদন্ত মেয়াদে বিক্রয়মূল্যের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি ৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৭ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রদেয় ভ্যাট এর পরিমাণ ছিল ৪১ কোটি ৫৮লাখ ১৫ হাজার ৯৯৫ টাকা।এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ১ কোটি ৭৫ হাজার ৫৭ লাখ ৪২৮ টাকার ফাঁকি উৎঘাটিত হয়।  

বিক্রয়মূল্যের বিপরীতে প্রযোজ্য এই ফাঁকিকৃত ভ্যাটের উপর ভ্যাট আইন অনুসারে চলতি সবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯৫ লাখ ২০ হাজার ৯২৯ টাকা সুদ আদায়যোগ্য হবে।

অন্যদিকে, তদন্ত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির স্থান ও স্থাপনার  ভাড়ার  বিপরীতে ৪ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৩৬৮ টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রদেয় ভ্যাট এর পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ৮০ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ১ লাখ  ১৩ হাজার ৭১২ টাকার ফাঁকি ধরা পড়ে। এই ফাঁকির উপরও ভ্যাট আইন অনুসারে মাস ভিত্তিক চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭৫ হাজার ১৮ টাকা সুদ যোগ হবে। 

তদন্তকালীন মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট অপরিশোধিত ভ্যাটের পরিমাণ ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫৪ টাকা এবং সুদ বাবদ ১ কোটি ১০ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৭ টাকাসহ মোট ৪ কোটি ৬০ লাখ ৯ হাজার ৪৪২ টাকা কর ফাঁকির তথ্য পাওয়া যায়।  

তদন্তে আরো দেখা যায় যে, প্রতিষ্ঠানটি সরকারের ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে নানা ধরের অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে, যা ভ্যাট আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।এসব অনিয়মের মধ্যে রয়েছে মাসিক রিটার্নে অসত্য তথ্য প্রদান করা এবং ভুয়া ভ্যাট চালান ইস্যু করা। 

এসকল অনিয়ম ও ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ এনে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর আজ এসংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন