ক্যান্ডি টেস্টে ৭ উইকেটে ৫৪১ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেও স্বস্তিতে ছিল না বাংলাদেশ। শ্রীলংকার হয়ে দারুণ সূচনা করেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। দুজনের দৃঢ়তায় নির্বিঘ্নেই শতরান পেরিয়ে যায় সিংহলিজরা।
তবে চা-বিরতির আগে শেষ বলে থিরিমান্নেকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ
দলে স্বস্তি আনেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। এ সময় লংকানদের সংগ্রহ ছিল এক উইকেটে
১১৪ রান।
৮ ওভারে ১১ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে যায় শ্রীলংকা।
ফেরার পর চা-বিরতি পর্যন্ত ২৮
ওভারে এক উইকেট হারিয়ে বোর্ডে আরো ১০৩ রান যোগ করে স্বাগতিক দলটি। থিরিমান্নে ১২৫ বলে
৮ বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করে মিরাজের ঘূর্ণি বলের শিকার হন। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন
মিরাজ। করুণারত্নে অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে। ১১২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে এ রান সংগ্রহ করেন
লংকান দলনায়ক।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ
ছিল ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান। আজ সকালে আরো ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৬৭ রান যোগ করে ইনিংস
ঘোষণা করে অতিথিরা। এ পথে হাফ সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমাস দাস। লিটন
৫০ রান করে আউট হয়ে গেলেও মুশফিক ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
শ্রীলংকার বিশ্ব ফার্নান্দো ৯৬ রানে চার উইকেট নেন।
এছাড়া একটি করে উইকেট নেন সুরাঙ্গা লাকমল, লাহিরু কুমারা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।