ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির (ইউটিএস) সঙ্গে অংশীদারিত্বে ৫জি গবেষণাগার (ল্যাব) করার উদ্যোগ নিয়েছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক টেলিকম সংস্থা নকিয়া। এ লক্ষ্যে পাঁচ বছর একত্রে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি। এ যৌথ উদ্যোগে থাকবে ৫জি প্রদর্শনী অঞ্চল গঠন, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ল্যাবের অবকাঠামো। এছাড়া ৫জি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হবে ল্যাবটি। খবর জিডিনেট।
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনির বোটানিতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির টেকনোলজি ল্যাবেই মূলত ৫জি ল্যাব স্থাপিত হবে। ক্যাম্পাসের ৫জি প্রযুক্তিনির্ভর বিষয়গুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠান দুটি ও তাদের অংশীদাররা এটি ব্যবহার করতে পারবে। একই সঙ্গে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ও স্মার্ট সিটির মতোই সম্ভাব্য অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকবে ল্যাবটিতে।
নকিয়া বলছে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের (ইন্ডাস্ট্রি ৪.০) পথে ৫জি এবং ৬জি প্রযুক্তির সক্ষমতা যাচাই করার জন্য গবেষণার পরিবেশ তৈরিতে উদ্যোগটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। যেই বিপ্লব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন, কৃষিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মানুষ-রোবটের মিথস্ক্রিয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। এর পাশাপাশি চতুর্থ শিল্পবিপ্লব স্মার্ট গ্রিডে ইন্টারনেট অব এনার্জির ব্যবহার, এনার্জি স্টোরেজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এবং তারবিহীন শক্তি স্থানান্তরের জন্য আইওটির সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
পুরো অবকাঠামোর মধ্যে থাকবে ৫জি ল্যাব এবং প্রদর্শন ও পরীক্ষণ এলাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেকোয়িক রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি টেস্ট চেম্বার এখানে সরাসরি যুক্ত থাকবে। নকিয়া বলছে, চেম্বারটি নকিয়ার বিশাল এমআইএমও (মাল্টিপল ইনপুট অ্যান্ড মাল্টিপল আউটপুট) প্রযুক্তি এবং অন্যান্য অ্যান্টেনা প্রযুক্তির সম্ভাব্য সব পরীক্ষায় গবেষকরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া গবেষণাগার এবং মাঠ পর্যায়ের গবেষণায় ইউটিএস ক্যাম্পাস ৫জি কাভারেজ গ্রহণ করতে পারবে।
ওশেনিয়া অঞ্চলের দায়িত্বে নিয়োজিত নকিয়ার প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা রবার্ট জয়েস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক ল্যাবের বিদ্যমান উদ্ভাবনী সুযোগ-সুবিধার ওপর ভিত্তি করেই এ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, যা গবেষণাকে আরো উন্নত করতে এবং গবেষণা উপপ্রকল্পগুলোকে পরীক্ষা করতে গবেষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
এর আগে ২০১৮ সালের দিকে নকিয়া এবং ইউটিএসের মধ্যে ‘নকিয়া ৫জি স্কিল অ্যাকসিলারেটর’
শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেটিও ছিল মূলত বোটানি কেন্দ্রিক ‘টেক ল্যাব’
ক্যাম্পাসকে ঘিরেই। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি এ অংশীদারিত্বমূলক কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই ৫জি প্রযুক্তির দিকে নজর দিয়েছে নকিয়া। ২০১৯ সালে ভোডাফোন অস্ট্রেলিয়া তাদের ৫জি নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম সরবরাহকারী হিসেবে নকিয়াকে বেছে নিয়েছে। এর কয়েক মাস পরই সিডনির পশ্চিমাঞ্চলে ৫জি চালু করে ভোডাফোন।