যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন অনুমোদন

বণিক বার্তা ডেস্ক

জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অল্প সময়ের মধ্যে আরো বেশিসংখ্যক মার্কিনকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে এটি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এটির মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজার-বায়োএনটেক মডার্নার পর তৃতীয় ভ্যাকসিন হিসেবে জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রয়োগ হতে যাচ্ছে। খবর রয়টার্স এনবিসি নিউজ।

যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পাওয়া আগের দুটি ভ্যাকসিন প্রতিরোধ সক্ষমতা তৈরির জন্য দুই ডোজ প্রয়োজন হলেও জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের একটি ডোজই এক্ষেত্রে যথেষ্ট বলে দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি। শনিবার অনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনটি কেবল ১৮ বছর বয়সী বয়স্কদের ওপর প্রয়োগ করা হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর আজ-কালের মধ্যেই এটির বিতরণ করা শুরু হবে বলে জানা গেছে।

নতুন ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদনের বিষয়ে এফডিএর ভারপ্রাপ্ত কমিশনার . জেনেট উডকুক বলেন, আমার মনে হয় ভ্যাকসিন নেয়ার সুযোগ হলে যে কারো উচিত এটি নেয়া। কারণ আমরা মনে করি অনুমোদন পাওয়া তিনটি ভ্যাকসিনই কার্যকর এবং এগুলো মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অবস্থা প্রতিরোধে সক্ষম। একই সঙ্গে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও প্রতিরোধ করবে এটি।

বিশ্বব্যাপী ৪৪ হাজার ব্যক্তির ওপর জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল করা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে কভিড-১৯- মারাত্মক অবস্থা মোকাবেলার ক্ষেত্রে এটি ৬৬ শতাংশ কার্যকর। টিকা নেয়ার চার সপ্তাহ পর থেকে এটি কার্যকর হবে। তবে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হসপিটালাইজ হওয়ার ঘটনা প্রতিরোধে এটি শতভাগ কার্যকর।  

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে জো বাইডেন ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই দ্রুত এটির লাগাম টেনে ধরতে কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যাপক ভিত্তিতে নাগরিকদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের আওতায় আনতে চাচ্ছেন তিনি। যার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের অনুমোদন। তবে পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অবহেলা করার পক্ষে নন তিনি। এজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য ভাইরাসের নতুন ধরন পরিস্থিতি যেকোনো সময় খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এজন্য নাগরিকদের নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো বিষয়গুলো আরো কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন