দেশের পুঁজিবাজারে গতকাল থেকে লেনদেন শুরু হওয়া ইজেনারেশন লিমিটেডের শেয়ারদর প্রথম দিনেই ৫০ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল শেয়ারটির সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১৫ টাকা। সেই হিসাবে প্রথম দিনেই শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ টাকা বা ৫০ শতাংশ।
চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ইজেনারেশন লিমিটেডের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রথমার্ধে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা প্রায় ২৫ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৮ পয়সা। আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে প্রথমার্ধে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়াবে ৬৫ পয়সা।
এদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইজেনারেশনের নিট মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৩ পয়সা। আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে ইপিএস দাঁড়াবে ৩৬ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর ইজেনারেশনের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৯২ পয়সা (আইপিও-পূর্ব পরিশোধিত শেয়ারের ভিত্তিতে), আইপিও
শেয়ার বিবেচনায় নিলে যা দাঁড়াবে ২০ টাকা ৩৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ছিল ৬ কোটি। এর সঙ্গে আইপিও শেয়ার যোগ হলে মোট শেয়ার সংখ্যা দাঁড়াবে ৭ কোটি ৫০ লাখ।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইজেনারেশনের আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানিটির ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) নির্ধারিত শেয়ারের বিপরীতে প্রায় ৪০ দশমিক ৭৬ গুণ আবেদন জমা পড়ে। আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা ছিল ইজেনারেশনের। কিন্তু মোট আবেদন জমা পড়ে ৬১১ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৬ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা ও মিউচুয়াল ফান্ড ব্যতীত অন্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৭২ কোটি ৯ লাখ টাকার আবেদন জমা পড়ে।
গত ১২-১৮ জানুয়ারি ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতির মাধ্যমে ইজেনারেশনের সাধারণ শেয়ারের চাঁদা গ্রহণ চলে। ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৫তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও আবেদনে অনুমোদন দেয়া হয়। এ আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা দরে দেড় কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করেছে কোম্পানিটি।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত ১৫ কোটি টাকা দিয়ে ইজেনারেশন তাদের অফিসের জন্য বাণিজ্যিক স্পেস ক্রয়, ঋণ পরিশোধ, ডিজিটাল হেলথকেয়ার প্লাটফর্ম উন্নয়ন ও আইপিওর ব্যয় নির্বাহ করবে।